শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ১০:৫৩ অপরাহ্ন
আরিফ বিল্লাহ নাছিম, কলাপাড়া (কুয়াকাটা) প্রতিনিধি:
পটুয়াখালীর কুয়াকাটায় ইউরিয়া সারের সংকটে কৃষকদের মধ্যে হাহাকার সৃষ্টি হয়েছে। গত তিন-চার ধরে এ সংকট দেখা দিয়েছে। ফলে কৃষকদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। এ অঞ্চলের কৃষকরা আমন ধানের বীজ রোপন সবেমাত্র শেষ করেছেন। কৃষি অফিস বলছে ২-৩ দিনের মধ্যে এ সংকট কেটে যাবে। আর কৃষকরা বলছে বর্তমান আবহাওয়া জমিতে সার ছিটানোর উপযোগী সময়।
সরেজমিনে দেখা গেছে, মহিপুর থানার লতাচাপলী ইউনিয়নের কৃষকরা আলীপুর বাজারে সার কিনতে এসে পাচ্ছে না। তাদের চোখে মুখে হতাশার ছাপ লক্ষ্য করা গেছে। জমিতে সার ছিটানোর উপযোগী সময় সার না পেলে তাদের অপূরণীয় ক্ষতি হবে এমনটাই জানিয়েছেন কৃষকরা। লতাচাপলী ইউনিয়নের মাইটভাঙ্গা গ্রামের কৃষক হারুন অর রশিদ আলীপুর বাজারে এসে সার কিনতে পারে নি। তিনি এ প্রতিনিধিকে বলেছেন, আমি প্রত্যেকটি দোকানে গিয়েছি। কিন্তু সার পাইনি। আমার জমিতে এখন সার না দিলে ব্যাপক ক্ষতি হবে। তার কথার সূত্রপাত ধরে সারের দোকানে গিয়ে জানা গেছে, আলীপুর বাজারের কোন দোকানে সার নেই। দুই এক বস্তা সার আছে খুচরা বিক্রয় করার জন্য। কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে ডিলার বা দোকানদাররা বেশি দামে বিক্রয় করছেন এমন কোন অভিযোগ পাওয়া যায় নি। তবে সরকার কর্তৃক নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে বেশি দামে সকল দোকানদার সার বিক্রয় করছেন এ কথ সত্য। তাদের দাবি সরকার প্রতি বস্তা সারের মূল্য ৮’শ টাকা নির্ধারণ করলেও ৮’শ ত্রিশ টাকায় দোকানে সার পৌঁছে। তারা ৮’শ চল্লিশ-পঞ্চাশ টাকা সার বিক্রয় করেন।
এ বিষয়ে কথা হয় লতাচাপলী ইউনিয়নের দায়িত্বে থাকা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদের সাথে। তিনি বলেন, বর্তমানে আলীপুরে কোন দোকানে সার নেই। আজ (শনিবার) সন্ধ্যায় মহিপুর থেকে ৫০ বস্তা সার আনা হবে। আগামী ২-৩ দিনের মধ্যে এখানে পর্যাপ্ত সার আসবে বলে আশা করা যাচ্ছে।
Leave a Reply