মঙ্গলবার, ০৮ অক্টোবর ২০২৪, ০১:৫৩ পূর্বাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদক: বরিশাল বিভাগের ছয় জেলার ১৯ উপজেলা ও বরিশাল জেলায় চারটি উপজেলা পরিষদের নির্বাচনের প্রথম ও দ্বিতীয় দফার ভোট গ্রহণ শেষ। বাকি রয়েছে দুই ধাপের নির্বাচন। নির্বাচনে সাবেক চেয়ারম্যানদের ভরাডুবি হয়েছে।
অনুষ্ঠিত নির্বাচনগুলোয় বিভাগ ও জেলার মধ্যে প্রথমবারের মতো জাতীয় পার্টির লাঙল প্রতীক নিয়ে প্রথম মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন মোসা. মাকসুদা আক্তার (শোভা)। আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয় জানিয়েছে, ১৯ উপজেলায় মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে লাঙল প্রতীকের প্রার্থী হিসেবে শুধু শোভাই ছিলেন।
রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, মুলাদী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে স্বতন্ত্র ফুটবল প্রতীকের প্রার্থী সামিমা নাসরিনের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন শোভা।
ভোটগ্রহণ শেষে প্রাপ্ত ফলাফলের হিসেব অনুযায়ী মোসা. মাকসুদা আক্তার (শোভা) ৩২ হাজার ৯০৬ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার প্রতিদ্বন্দ্বী সদ্য সাবেক উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান সামিমা নাসরিন পেয়েছেন ২৩ হাজার ৫৪৩ ভোট। সাধারণ ভোটাররা বলছেন, পরিচিত প্রতীকের পাশাপাশি প্রার্থীর যোগ্যতা বিজয়ের ক্ষেত্রে অনেকটাই কাজে এসেছে।
এ উপজেলায় ভাইস চেয়ারম্যান পদে মো. অহিদুজ্জামান তালুকদার উড়োজাহাজ প্রতীকে ৩১ হাজার ৩৪৪ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার প্রতিদ্বন্দ্বী সদ্য সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান কাজী মাইনুল আহসান সবুজ পেয়েছেন ২৫ হাজার ২৪০ ভোট।
এছাড়া চেয়ারম্যান পদে কেন্দ্রীয় যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. জহির উদ্দিন খসরু দোয়াত কলম প্রতীকে ৩৩ হাজার ৩৭ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রার্থী সদ্য সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মো. তারিকুল হাসান খান মিঠু পেয়েছেন ২৬ হাজার ৯৯৩ ভোট। আর ঘোড়া প্রতীকের প্রার্থী তারেক আহমদ খান পেয়েছেন ১৩৩ ভোট।
নির্বাচনে ঘোষিত ফলাফল অনুযায়ী সাবেক ও অভিজ্ঞরা সবাই পরাজিত হয়েছেন নতুনদের কাছে।
স্থানীয় ভোটাররা বলছেন, দীর্ঘদিন পরে ভোটাররা তাদের পছন্দের প্রার্থীকে বেছে নেওয়ার সুযোগ পেয়ে সেটিকে কাজে লাগিয়েছেন। আর তাই সাবেকদের ভরাডুবি হয়েছে।
স্থানীয় ভোটার ষাটোর্ধ সেলিম হাওলাদার বলেন, অনেকদিন পর ভোটাররা মুলাদীতে নির্বাচনের স্বাদ পাইয়ে দিয়েছেন প্রার্থীদের। এবার নবনির্বাচিতদের কাছে জনভোগান্তি লাঘবের আর্জি সবার।
সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মো. তারিকুল হাসান খান মিঠুর স্বজনদের কাছে জিম্মি মীরগঞ্জ ফেরিঘাটের জুলুম থেকে মুক্তি মিললেই আপাতত সন্তুষ্টি পাবেন মুলাদী-হিজলার ভোটাররা। তাদের মতে এই ফেরিঘাটের জুলুমই কাল হয়েছে অভিজ্ঞ সাবেক জনপ্রতিনিধিদের।
নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মনদীপ ঘরাই বলেছেন, মঙ্গলবার সকাল থেকে সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোট হয়েছে। মুলাদী উপজেলায় মোট ভোটার সংখ্যা ১ লাখ ২৩ হাজার ২৬৭ জন। এ উপজেলায় ৭২ টি কেন্দ্রে ভোট নেয়া হয়। মুলাদী উপজেলায় পড়েছে শতকরা ৩৪ দশমিক ৯১ ভাগ ভোট।
Leave a Reply