শুক্রবার, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ০৮:৩৭ অপরাহ্ন
পটুয়াখালী প্রতিনিধি॥ করোনা পরিস্থিতির কারণে প্রায় সাড়ে তিন মাস ধরে অনেকটাই নিস্তেজ দিন কাটাচ্ছে ‘সাগর কন্যা’ খ্যাত পর্যটন কেন্দ্র কুয়াকাটা। নেই কোনো পর্যটকের আনাগোনা। নেই কোনো ব্যবসায়িক কোলাহল। বন্ধ রয়েছে সব আবাসিক হোটেল ও মোটেল।
তবে এ পরিস্থিতি পাল্টানোর চিন্তা ভাবনা করছে জেলা প্রশাসন। এরইমধ্যে আগামী ১ জুলাই থেকে এখানকার পর্যটন নির্ভর ব্যবসা খুলে দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
পটুয়াখালী জেলা প্রশাসন গত ১৮ মার্চ কুয়াকাটায় পর্যটকদের ভ্রমণের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করায় এখানকার সবকিছু বন্ধ ছিল।
কুয়াকাটায় প্রায় ১২০টি হোটেল-মোটেল রয়েছে। সেগুলো খোলার প্রস্তুতি হিসেবে গত ৫, ৬ ও ৯ জুন করোনাকালীন হোটেল-মোটেল ব্যবস্থাপনা ও পর্যটকদের স্বাস্থ্য সুরক্ষার জন্য কর্মীদের তিন দিনের প্রশিক্ষণ দেয়া হয়।
কুয়াকাটা হোটেল-মোটেল ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সহযোগিতায় বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ড এ প্রশিক্ষণের আয়োজন করে।
খাবার হোটেল মালিক-কর্মচারী, ভ্যান-অটোচালক, ভাড়ায় চালিত মোটরসাইকেল চালকেরাও সে প্রশিক্ষণের আওতায় ছিলেন বলে জানিয়েছে কুয়াকাটা হোটেল-মোটেল ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন।
অ্যাসোসিয়েশন সাধারণ সম্পাদক মোতালেব শরীফ বলেন, একজন পর্যটক গাড়িসহ আসলে প্রথমে নির্দিষ্ট পোশাকে সজ্জিত হোটেল কর্মীরা গাড়িসহ মালামাল জীবাণুনাশক স্প্রে করে নেবে।
গেস্টের কক্ষ আগে থেকেই স্বাস্থ্যবিধি অনুসারে ব্যবহার উপযোগী করা হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, নির্দিষ্ট ব্যক্তি কিংবা ব্যক্তিরা একই কক্ষে অবস্থান করবেন।
এ ছাড়া পর্যটন এলাকার ভ্যান, অটো, মোটরসাইকেলসহ যানবাহন ব্যবহারের আগে জীবাণুনাশক স্প্রে করার বিষয়টি নিশ্চিত করা হবে।
যানবাহনে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে চলাচল করতে হবে। সৈকতে বেঞ্চিতে অবস্থানকালেও সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে। এরইমধ্যে হোটেল ম্যানেজমেন্টের সঙ্গে জড়িত পর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের তিন দিনের প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে।
কলাপাড়া ইউএনও আবু হাসনাত মোহাম্মদ শহিদুল হক বলেন, ব্যবসা পরিচালনায় প্রতিটি হোটেল ও মোটেলকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। অন্যথায় তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
Leave a Reply