শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ১১:৩০ অপরাহ্ন
বরগুনা সংবাদদাতা।। বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা জেলা স্কুলের অষ্টম শ্রেণির এক শিক্ষার্থীর মৃত্যুর ঘটনাকে কেন্দ্র করে চিকিৎসককে মারধরের ঘটনায় করা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করেছে শিক্ষার্থীরা। রোববার বিকেল ৫টার দিকে বরগুনা প্রেস ক্লাব চত্বরে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করে তারা।
শিক্ষার্থীরা জানায়, চিকিৎসকের অবহেলায় তাদের সহপাঠীর মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় চিকিৎসকের বিচার না হয়ে উল্টো রোগীর স্বজনদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা করা হয়েছে। এ সময় ‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস’ বলে স্লোগান দেয় শত শত শিক্ষার্থী।১৯ জুন রাতে বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে আব্দুল্লাহ (১৪) নামের এক রোগী ভর্তি হয়। সে বরগুনা জেলা স্কুলের অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী।
বমির পাশাপাশি আব্দুল্লাহর প্রেশার হঠাৎ কমে আসায় শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে বরিশাল হাসপাতালে ভর্তি করার পরামর্শ দেন কর্তব্যরত চিকিৎসক মশিউর রহমান।চিকিৎসক মশিউর রহমান বলেন, অসুস্থ আব্দুল্লাহকে বরিশাল না নিয়ে বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে অবস্থান করায় রাত ১২টার দিকে মৃত্যু হয়। এরপর রোগীর স্বজনরা আমার ওপর হামলা চালায়।
এদিকে,এ ঘটনার পরদিন সকাল থেকে কর্মবিরতির ডাক দিয়ে মানববন্ধন করেন বরগুনা জেনারেল হাসপাতালের চিকিৎসক, নার্স ও অফিস সহকারীরা।বরগুনা জেনারেল হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ডা. সাইফুল ইসলাম শাকিল বলেন, বমির সঙ্গে লো-প্রেশার নিয়ে আব্দুল্লাহকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তাকে সব ধরনের চিকিৎসা দেয়ার পরও যখন অবস্থার উন্নতি হচ্ছিল না তখন বরিশাল হাসপাতালে ভর্তির পরামর্শ দেন চিকিৎসক মশিউর রহমান।
রোগীর স্বজনরা তাকে বরিশাল না নিয়ে চিকিৎসকের ওপর চড়াও হয়। একপর্যায়ে আব্দুল্লাহর মৃত্যু হলে চিকিৎসক মশিউর রহমানকে মারধর করেন রোগীর স্বজনরা। এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার না হওয়া পর্যন্ত প্রতিদিন এক ঘণ্টা কর্মবিরতি পালন করবেন চিকিৎসক, নার্স ও অফিস সহকারীরা।
এ ঘটনায় লাঞ্ছিত চিকিৎসক মশিউর রহমান বাদী হয়ে শুক্রবার মৃত আব্দুল্লাহর বড় ভাই সাইফুল ইসলামসহ অজ্ঞাত চারজনের বিরুদ্ধে একটি মামলা করেছেন।মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে আন্দোলনরত জেলা স্কুলের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী সাহাব জানায়, আমড়া খাওয়ার পর পেট ব্যথা হয় শিক্ষার্থী আব্দুল্লাহর। এরপর পেট ব্যথা কমাতে সেভেন আপ খায়।
এতে আরও অসুস্থ হয়ে পড়ে আব্দুল্লাহ।পরে তাকে বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ভর্তির পর কোনো চিকিৎসক তার চিকিৎসা না দেয়ায় মৃত্যু হয়েছে।
Leave a Reply