মেয়র সাদিক আবদুল্লাহ দায়িত্বে বসলেও অচলাবস্থা কাটেনি বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের Latest Update News of Bangladesh

সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৩:৩৪ অপরাহ্ন

বিজ্ঞপ্তি :
Latest Update Bangla News 24/7 আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি ভয়েস অব বরিশালকে জানাতে ই-মেইল করুন- inbox.voiceofbarishal@gmail.com অথবা hmhalelbsl@gmail.com আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।*** প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে!! বরিশাল বিভাগের সমস্ত জেলা,উপজেলা,বরিশাল মহানগরীর ৩০টি ওয়ার্ড ও ক্যাম্পাসে প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে! ফোন: ০১৭৬৩৬৫৩২৮৩
সংবাদ শিরোনাম:




মেয়র সাদিক আবদুল্লাহ দায়িত্বে বসলেও অচলাবস্থা কাটেনি বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের

মেয়র সাদিক আবদুল্লাহ দায়িত্বে বসলেও অচলাবস্থা কাটেনি বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের




স্টাফ রিপোর্টার:
নতুন মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ দায়িত্বে বসলেও অচলাবস্থা কাটেনি বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের। নগর ভবনের কাজে গতি এলেও বন্ধ রয়েছে প্রায় সব ধরনের অর্থনৈতিক কর্মকা-। এমনকি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন বকেয়া পড়েছে ৩ মাস। ক্যাজুয়াল এবং মাস্টার রোলে কর্মরতদেরও একই অবস্থা। সেইসঙ্গে বন্ধ রয়েছে উন্নয়ন কর্মকা-ের বিল পরিশোধসহ যাবতীয় পাওনা পরিশোধ। এদিকে নগরীর বিভিন্ন সড়কের জরুরি মেরামত ও সংরক্ষণ কাজের জন্যে ৫৩ কোটি টাকার বিশেষ বরাদ্দ চেয়ে মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠিয়েছেন নতুন মেয়র। এই বরাদ্দ পাওয়া গেলে বর্ষায় বরিশালে ক্ষতিগ্রস্ত সড়কগুলোর মেরামতে জরুরি ভিত্তিতে কাজ শুরু হবে বলে জানিয়েছেন তিনি। জুন মাসের প্রথমদিকে বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচনী তফসিল ঘোষণার পর থেকেই মূলত এ প্রতিষ্ঠানের কর্মকা-ে স্থবিরতা দেখা দেয়। নির্বাচনী ডামাডোলের সঙ্গে সঙ্গে তৎকালীন মেয়র বিএনপি নেতা আহসান হাবিব কামাল দলীয় মনোনয়ন প্রাপ্তি থেকে বঞ্চিত হলে অঘোষিতভাবে অকার্যকর হয়ে পড়েন তিনি। মূলত তখন থেকেই বন্ধ হয়ে যায় নগর ভবনের অর্থনৈতিক কর্মকা-। বন্ধ হয়ে যায় ঠিকাদারসহ অন্যান্য পাওনাদারের বকেয়াসহ সব ধরনের অর্থ প্রদান। নতুন মেয়র কে আসবে কিংবা কোন কাজে তিনি খুশি বা অখুশি হবেন- এই ভাবনাই মূলত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অসহযোগিতার শিকার হতে থাকেন কামাল। এ রকম অবস্থার মধ্যে জুলাই মাসের মাঝামাঝি সময়ে পদোন্নতি পেয়ে ফেনীর জেলা প্রশাসক হিসেবে বদলি হয়ে যান নগর ভবনের তৎকালীন মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা (সিও) ওয়াহিদুজ্জামান। বিধান অনুযায়ী যে কোনো বিল বা চেক পাস থেকে যৌথভাবে সিও এবং মেয়রের স্বাক্ষর থাকতে হয় বিধায় সিও চলে যাওয়ার পর আরও বিপাকে পড়েন তৎকালীন মেয়র। সেই থেকে এখন পর্যন্ত প্রায় সাড়ে ৩ মাসেও সিটি কর্পোরেশনে নতুন কোনো সিও নিয়োগ না পাওয়ায় দেখা দেয় চরম স্থবিরতা। এদিকে ৩১ জুলাইয়ের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ নেতা সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ মেয়র নির্বাচিত হলেও সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতার কারণে ২৩ অক্টোবরের আগে তার দায়িত্ব গ্রহণের কোনো সুযোগ ছিল না। ফলে অনেকটাই অভিভাবকহীনভাবে চলতে থাকে নগর ভবন। মাঝে সাবেক মেয়র আহসান হাবিব কামাল মন্ত্রণালয় থেকে সিওরস্থলে সচিবর নামে অর্থনৈতিক ক্ষমতার অনুমোদন আনার চেষ্টা করলেও তা সফল হয়নি। উল্টো নগর ভবনের উন্নয়ন এবং রাজস্ব খাতের টাকা খামখেয়ালিভাবে খরচের অভিযোগ ওঠে তার বিরুদ্ধে। চলমান এ পরিস্থিতিতে ৪ অক্টোবর মন্ত্রণালয়ে পদত্যাগপত্র জমা দেন আহসান হাবিব কামাল। সেইসঙ্গে পুরোপুরি শূন্য হয়ে যায় মেয়রের পদ। এসব জটিলতায় বাকি পড়ে যায় কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ২ মাসের বেতন। সেই সঙ্গে থমকে থাকে নিত্যদিনের পাওনা পরিশোধ। ২২ অক্টোবর প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে শপথ অনুষ্ঠিত হয় নতুন মেয়র সাদিক আবুদল্লাহর। ২৩ অক্টোবর বরিশালে এসে মেয়রের দায়িত্ব গ্রহণ করেন তিনি। এসব প্রক্রিয়া চলার মধ্যে এখানে দায়িত্বে থাকা সচিব মো. ইসরাইল মিয়ার বদলিরও গুঞ্জন ওঠে। অবশ্য শেষ পর্যন্ত তাকে এখান থেকে বদলি করা হয়নি। পুনরায় রাখা হয় সচিবের পদে। এতকিছু এবং নতুন মেয়র দায়িত্ব নেয়ার পরও প্রকারান্তরে স্থবিরই থাকে নগর ভবন। কারণ সিও পদে নতুন কাউকে নিয়োগ না দেয়া। কেননা মেয়রের একার স্বাক্ষরে অর্থনৈতিক কর্মকা- পরিচালনার কোনো বিধান সিটি কর্পোরেশনের নেই। নতুন সিওর যোগদান কিংবা সরকারের প্রতিনিধি হিসেবে নিদেনপক্ষে যদি সচিবকেও অর্থনৈতিক ক্ষমতা পরিচালনার অংশীদার করা হয় শুধু তাহলেই বেতনসহ অন্যান্য বিল পরিশোধের ক্ষমতা পাবে নগর ভবন। এদিকে মাসের পর মাস ধরে চলমান এসব জটিলতায় বকেয়া বেতনের পরিমাণ গিয়ে দাঁড়ায় ৩ মাসে। এ ছাড়া অন্যান্য পাওনার পরিমাণও দিন দিন বাড়তে থাকে। সর্বশেষ পাওয়া হিসাব অনুযায়ী নগর ভবনের কাছে বিভিন্ন ব্যক্তি এবং প্রতিষ্ঠান মিলে পাবে কম করে হলেও সাড়ে ৩শ’ কোটি টাকা। এসব বিষয় নিয়ে আলাপকালে নয়া মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ বলেন, ‘এটা ঠিক যে অর্থনৈতিক কর্মকা-ে স্থবিরতা চলছে, কিন্তু তার মানে এই নয় যে নগর ভবনের সেবামূলক কাজে সমস্যা হচ্ছে। আপনারা দেখেছেন যে আগে দিনভর নগরীতে চলত ময়লা অপসারণের কাজ। কিন্তু এখন আমরা ভোর ৫টার মধ্যে তা শেষ করছি। চলমান উন্নয়ন কাজগুলোও কিন্তু বন্ধ হয়নি। সড়ক সংস্কার এবং মেরামতের জন্যে সরকারের কাছে ৫৩ কোটি টাকার বিশেষ বরাদ্দ চেয়েছি আমরা। আশা করছি সেটিও পেয়ে যাব। তাছাড়া আমি দায়িত্ব গ্রহণের পরপরই নগরীর উন্নয়নে ১২০ কোটি টাকার প্রকল্প বরাদ্দ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। নতুন সিও আজকালের মধ্যেই যোগদানের কথা রয়েছে। এরপর আর কাজকর্মে কোনো জটিলতা থাকবে না। সূত্র-যুগান্তর

সোশ্যাল মিডিয়াতে শেয়ার করুন



Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *










Facebook

© ভয়েস অব বরিশাল কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed BY: AMS IT BD