সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ০১:২২ পূর্বাহ্ন
ভোলা প্রতিনিধি॥ ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলার টবগী ইউনিয়নের এক কিশোরীকে(১৭)বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে একাধিকবার ধর্ষণের পাওয়া গেছে। ওই ঘটনার অভিযোগে থানায় মামলা হয়েছে। শনিবার দু’জনের নাম উল্লেখ করে আসামি করে মামলা দায়ের করেন ওই কিশোরীর মা। শনিবার দুপুরে পুলিশ ওই মামলার প্রধান আসামি অলক চন্দ্রকে(২৮)গ্রেপ্তার করেছে।মামলার এজাহারে বাদী অভিযোগ করেন, তাঁর মেয়েকে বিদ্যালয়ে যাওয়া আসার পথে বোরহানউদ্দিন উপজেলার টবগী ইউনিয়নের স্থানীয় যুবক অলক চন্দ্র দে উত্ত্যক্ত করতেন। একসময় তাঁর মেয়েকে প্রেমের ফাঁদে ফেলেন তিনি। চলতি বছর এসএসসি পাস করার পরে তাঁর মেয়েকে একাধিকবার পরিবারের অজান্তে ঘুরতে নিয়ে যান তিনি।
এরপর তাঁর মেয়েকে ধর্ষণ করেন অলক।বিষয়টি জানাজানি হলে ছেলের বাড়িতে বিয়ের প্রস্তাব নিয়ে যান তাঁরা। তখন অলকের পরিবার ২০ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করে।বাদী আরও লিখেছেন, নিরুপায় হয়ে মেয়ের মতামত নিয়েই পরিবারের পক্ষ থেকে তাকে অন্যত্র বিয়ে দেয়া হয়।কিন্তু মেয়ে শ্বশুরবাড়ি যেতে না যেতেই অলক আবারও ওই কিশোরীর সঙ্গে যোগাযোগ করে তাকে ফিরে আসতে বলে। ফিরে আসলেই তাঁদের বিয়ে হবে, এ রকম আশ্বাসও দেয়া হয়। কিন্তু মেয়ে ফিরে এলেও অলক তাকে গ্রহণ করেন না। একপর্যায়ে কিশোরী বিষপানে আত্মহত্যার চেষ্টা করে। পরে প্রাকে চিকিৎসা দিয়ে সুস্থ করার পর তাঁরা আইনের আশ্রয় নেন।
ওই কিশোরী জানান, অলক প্রতিবার তাঁর ইচ্ছার বিরুদ্ধে শারীরিক সম্পর্ক করেছেন। বিয়ের আশ্বাস দিয়েছেন। তাঁর ঘর করার জন্যই স্বামীর বাড়ি থেকে স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর দিয়ে ফিরে এসেছেন, কিন্তু অলক বিয়ে করেননি।কিশোরী এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার দাবি করে।এলাকা সূত্র ও পুলিশ জানায়, স্থানীয় লোকজন মেয়েটিকে বিয়ের জন্য অলককে চাপ প্রয়োগ করলে এবং মেয়েটির পরিবার থানায় গিয়ে অভিযোগ দায়ের করলে তিনি এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যান।
পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য অলকের মাকে ধরে আনে। তখন স্বজনেরা অলককে পুলিশের হাতে তুলে দিয়ে তাঁর মাকে ছাড়িয়ে আনেন।বোরহানউদ্দিন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মাজহারুল আমিন জানান, এ ঘটনায় মেয়েটির মা বাদী হয়ে মামলা করেছেন। পুলিশ ওই মামলার আসামি অলককে গ্রেপ্তার করেছে। মেয়েটিকে ভোলা সদর হাসপাতালে শারীরিক পরীক্ষার জন্য নেয়া হয়েছে।পরীক্ষা শেষে তাকে সেইফ হোমে পাঠানো হবে। কারণ, মেয়েটির অপ্রাপ্ত বয়স্ক।
Leave a Reply