মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ০৪:২৪ পূর্বাহ্ন
অনলাইন ডেস্ক:বরিশাল সদর উপজেলা আনসার কোম্পানি কমান্ডার সঞ্জিব সিংহকে হয়রানির ওপর রাখতে একটি বিশেষ মহল দৌড়ঝাপ শুরু করেছে। বিশেষ করে তাঁর চাকুরিস্থলে বেশকিছু ভেগ অভিযোগ তুলে ধরে সুবিধাও নিতে চাইছে। পাশাপাশি সেই অভিযোগের অনুলিপি পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে বরিশালের বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর দপ্তরগুলোতে।
মুলত ওই মহলটি চাইছে অভিযোগগুলো প্রতিষ্ঠিত করে আনসার কমান্ডার সঞ্জিবকে বড় ধরনের একটি ধাক্কা দিতে। বিশেষ করে তাঁর চাকুরি ক্ষেত্রে বড় ধরনের জটিলতা সৃষ্টি সেখান থেকে বিতাড়িত করার বিষয়টি সামনে এসেছে।
এই ষড়যন্ত্র সফল করতে চাকুরিচ্যুত আনসার সদস্য সোহাগ হোসেন তালুকদারকে সামনে রেখে বাংলাদেশ কৃষক ফেডারেশন বরিশাল জেলা কমিটি নেতারা এক ধরনের ফায়দা লুটতে চাইছেন। কারণ এই সোহাগ তালুকদার সংগঠনটির জেলা কমিটির সহ-সাধারণ সম্পাদক। এই কারণেই সংগঠনের নেতারা তাঁর অনুকুলে অবস্থান রেখে সঞ্জিবকে হয়রানির ওপর রাখতে মরিয়া হয়ে উঠেছেন।
কিন্তু অনেকটা স্বচ্ছ মনের মানুষ রাষ্ট্রীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত আনসার কমান্ডার সঞ্জিব সম্পর্কে জেলার শীর্ষ কর্মকর্তারা ওয়াকিবহাল থাকায় তেমন একটা সুবিধা নিতে পারছে না। ফলে ওই মহলটি এখন তাকে হয়রানির ওপর রাখতে এখন মিডিয়াপাড়ায় দৌড়ঝাপ শুরু করেছে।
সর্বশেষ বুধবার (০৯ জানুয়ারি) চাকুরিচ্যুত আনসার সদস্য সোহাগ তালুকদারের ওপর হামলার একটি মিথ্যে অভিযোগ তুলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে অভিযোগ করা হয়েছে। অবশ্য সেই অভিযোগের অনুলিপি বরিশালের পত্রিকা অফিসগুলো পৌঁছে দেওয়া পরবর্তী সংবাদ প্রকাশে অনুরোধও রাখছে।
এই ষড়যন্ত্রের অভিযোগ বাংলাদেশ কৃষক ফেডারেশন বরিশাল জেলা কমিটির সভাপতি হারুন ভান্ডারির বিরুদ্ধে। মুলত তিনিই স্ত্রী রেহেনা বেগম মিতু ও সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক হালিম মহুরিকে নিয়ে কোমর বেঁধে মাঠে নেমেছেন। কিন্তু খোঁজ-খবর নিয়ে এই ঘটনার নেপথ্যে যে সব তথ্য উপাত্ত্ব পাওয়া গেছে তা শুনে অনেকেই হকচকিয়ে যাবেন।
যদিও এই বিষয়টি সম্পর্কে আনসার ও ভিডিপির উর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও অবহিত। অবশ্য তারাই পুরো ঘটনা তদন্ত করে সোহাগকে চাকুরিচ্যুত করেছিলেন।
বরিশাল আনসার ও ভিডিপি অফিস সূত্র জানিয়েছে- সার্টিফিকেট জালিয়াতি করে চাকুরি নেওয়ার অভিযোগে সোহাগ তালুকদারকে ২০১৮ সালের ৪ জুন নোটিশ করে উপজেলা আনসার ও ভিডিপি কর্মকর্তা মো. আফজাল হোসেন। পরবর্তীতে একই মাসের ২৪ জুন তাকে কৈফিয়ত তলব করে জেলা কমান্ড্যান্ট উপ-পরিচালক মো. কামাল হোসেন। কিন্তু সোহাগ কোন সদুত্তোর না দিতে পারায় একই বছরের ২০ আগস্ট চাকুরি থেকে অব্যহতি দেওয়া হয়।
এই চাকুরিচ্যুতের ঘটনায় আনসার কমান্ডার সঞ্জিবের সম্পৃক্ততা অভিযোগ তুলে সেই দিন থেকেই তাকে হয়রানির ওপর রাখতে শুরু হয় দৌড়ঝাপ। এমনকি একটি মামলায় ফাঁসানোর চেষ্টা করা হয়েছিল।
মুলত সেখানে ব্যর্থ হয়েই এবার হামলার অভিযোগ তোলা হয়েছে। অবশ্য এটিও যে ষড়যন্ত্রের অংশ তা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে স্পষ্ট হওয়া গেছে।’
আশ্চর্যের বিষয় হচ্ছে- সোহাগের ওপর হামলার অভিযোগ আনা হলেও তিনি নিজেই তা অস্বীকার করেছেন। এমনকি তিনি বলছেন বিষয়টি কাউনিয়া পুলিশের মধ্যস্ততায় মিমাংসা হয়েছে। তাছাড়া এবার যে হামলার অভিযোগ আনা হয়ে তাও তদন্ত করলে স্পষ্ট হবে। তিনি আরও বলেন- ২০১১ সাথে আইনশৃঙ্খলায় স্বর্ণপদক ও ২০১৬ সালে বাংলাদেশ আনসার পদক লাভ করেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাকে নিজ হাতে পুরস্কার তুলে দেন।’
মুলত এতে ঈর্ষান্বিত হয়েই ওই মহলটি ষড়যন্ত্র শুরু করেছে।’ তবে অভিযোগকারী কৃষক নেতা হারুন ভান্ডারি বলছেন- অভিযোগটি পুরোপুরি সত্য। এই ঘটনায় তিনি আইনী পদক্ষেপ নেবেন।
Leave a Reply