বৃহস্পতিবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ০৪:৪৪ পূর্বাহ্ন
ভয়েস অব বরিশাল ডেস্ক॥ বরিশাল সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) বাসায় হামলার ঘটনার বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে কথা হয়েছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
বাংলাদেশ মহিলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত ১৫ আগস্ট উপলক্ষে স্মরণসভায় অংশ নিয়ে তিনি এ কথা বলেন। কাদের বলেন, ‘আমি এই অনুষ্ঠানে আসার আগে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেছি। আমি পুলিশ কমিশনারের সঙ্গেও কথা বলেছি। পুলিশ জানিয়েছে তারা ১৫ জনকে গ্রেপ্তার করেছে। দোষীদের ধরতে অভিযান চলছে।
‘নেত্রীর নির্দেশে কাজ করছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। কাউকে ছাড় দেয়া হবে না’, বলেন কাদের। তিনি বলেন, ‘এটা আওয়ামী লীগ, এটা বিএনপি নয়। নিজেদের দলের কেউ অপরাধ করলে শাস্তি দেয়ার দৃষ্টান্ত বিএনপিতে নেই। আওয়ামী লীগ আমলে শেখ হাসিনা এমন ভূরি ভূরি দৃষ্টান্ত দিয়েছেন। আপন লোকদের শাস্তি দিয়ে, জেলে পাঠিয়ে প্রমাণ দিয়েছেন।’
শোক দিবসের ব্যানার অপসারণের জেরে সিটি করপোরেশন ও আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের সঙ্গে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ের (ইউএনও) আনসার বাহিনী ও পুলিশের সংঘর্ষ হয় বুধবার মধ্যরাতে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বরিশাল সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কার্যালয়ের সামনে বুধবার রাতে শোক দিবসের ব্যানার খুলতে যান বরিশাল সিটি করপোরেশনের কর্মচারীরা। এ সময় ব্যানার খোলার কারণ জানা নিয়ে ইউএনও মুনিবুর রহমানের সঙ্গে সিটির প্রশাসনিক কর্মকর্তা স্বপন কুমার দাসের কথা-কাটাকাটি হয়।
প্রশাসনিক কর্মকর্তার সঙ্গে থাকা আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা ওই সময় ইউএনওর সঙ্গে বিবাদে জড়িয়ে পড়েন। পরে সেখানে উপস্থিত আনসার সদস্যদের সঙ্গে হাতাহাতি শুরু হলে উপস্থিত আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা ইউএনওর বাসায় হামলার চেষ্টা চালান। এ সময় আনসার সদস্যরা গুলি ছুড়লে প্রশাসনিক কর্মকর্তা স্বপন কুমার দাসসহ চারজন আহত হন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, যুবলীগ নেতা শাহরিয়ার বাবু, হারুন অর রশিদ ও তানভীরকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
সংঘর্ষের পর ইউএনও কার্যালয়ের সামনে পুলিশ অবস্থান নিলে আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ ও যুবলীগের নেতা-কর্মীরা ফের ইউএনওর বাসভবনে হামলার চেষ্টা করেন।
এ সময় পুলিশ ও সরকারদলীয় নেতা-কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। এতে আহত হন বেশ কয়েকজন। এ ঘটনার পর থেকেই থমথমে বরিশাল নগরী। সিটি মেয়রের বাসার সামনে সকাল থেকে দেখা গেছে পুলিশের ব্যাপক উপস্থিতি।
Leave a Reply