শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ১১:২৮ পূর্বাহ্ন
বরগুনা প্রতিনিধি॥ বরগুনা পৌর শহরের গ্রীন রোডে মোবাইলের সেলফি ক্যামেরা নিজের দিকে চালু রেখে ফাঁস দিয়ে জেরিন ইসলাম নামে এক কলেজছাত্রীর আত্মহত্যার খবর পাওয়া গেছে। শুক্রবার সকালে তার ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
আত্মহত্যার সময় মোবাইলের ক্যামেরা কেন নিজের দিকে ফিরিয়ে চালু রেখেছিল জেরিন? এ প্রশ্ন পরিবার, প্রতিবেশী ও পুলিশের। রহস্য উদঘাটনে কাজ শুরু করেছে পুলিশ।
সবার ধারণা- কাউকে ভিডিও কলে রেখে আত্মহত্যা করেছেন জেরিন ইসলাম। প্রশ্ন উঠেছে- কাকে ভিডিও কলে রেখেছিলেন তিনি? কী কথা হয়েছে দুজনের মধ্যে? কেন আত্মহত্যার ঘটনা ঘটল? সব প্রশ্নের উত্তর খুজছে পুলিশ।
নিহত জেরিন ইসলাম বরগুনা সদর উপজেলার বুড়িরচর ইউনিয়নের নাপিতখালী গ্রামের দুবাই প্রবাসী জলিল মৃধার মেয়ে। তিনি বরগুনা সরকারি কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিলেন। পৌর শহরের গ্রীন রোডে ভাড়া বাসায় মা ও ভাইকে নিয়ে থাকতেন জেরিন।
নিহতের স্বজনরা জানান, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় জেরিনের মা গ্রামে এক অসুস্থ আত্মীয়কে দেখতে যান। বাসায় জেরিন একাই ছিলেন। সকালে এক প্রতিবেশী বাথরুমে যাওয়ার সময় তাকে ডাক দিয়ে কোনো সাড়া না পেয়ে বাথরুম থেকে ফিরে জানালার ফাঁক দিয়ে তার লাশ ঝুলতে দেখে অন্য প্রতিবেশীদের ডাক দেন। এরপর পুলিশ এসে ঘরের আড়ার সঙ্গে ওড়নায় ঝুলন্ত জেরিনের লাশ উদ্ধার করে।
ঐ সময় ঘরে থাকা ফ্রিজের উপরে সেলফি ক্যামেরা চালু করা অবস্থায় একটি স্মার্টফোন পাওয়া যায়। পুলিশের ধারণা- কাউকে ভিডিও কলে রেখে আত্মহত্যা করেছেন জেরিন ইসলাম। কিন্তু কাকে ভিডিও কলে রাখা হয়েছিল? নাকি তিনি নিজেই আত্মহত্যার ভিডিও করছিলেন সে বিষয়ে জানার চেষ্টা চলছে। স্মার্টফোনটি জব্দ করেছে পুলিশ।
নিহতের মা পিয়ারা বেগম বলেন, আমি সুস্থ মাইয়াডারে রাইখা মোর এক অসুস্থ আত্মীয়রে দেখতে গেছিলাম। সকালে হুনি মোর মাইয়াডায় নাই। কি এমন হইলো কিছুই বুঝদে পারলাম না। তোরা মোর মাইয়ারে আইন্না দে। মোবাইলে ক্যারে রাখছিলো আমনেরা হেইয়া খুঁইজ্জা বাইর করেন।
বরগুনা সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মাইনুল ইসলাম বলেন, আমি ঘটনাস্থলে গিয়েছি। লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে। সেলফি ক্যামেরা চালু করা স্মার্টফোনটি জ্বব্দ করে পরীক্ষা করা হচ্ছে। এ ঘটনার মূল রহস্য উদঘাটনে সব ধরনের প্রচেষ্টা চালানো হচ্ছে। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
Leave a Reply