শুক্রবার, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ১০:৫০ পূর্বাহ্ন
উজিরপুর প্রতিনিধি॥ বরিশালের উজিরপুর উপজেলার গুঠিয়া ইউনিয়নের কাকরাধারী গ্রামে ধর্ষণচেষ্টা মামলায় গ্রেপ্তার দুই আসামিকে ছিনিয়ে নিয়েছে আসামির সহযোগিরা। এ সময় হামলায় দুই পুলিশ কর্মকর্তাসহ ৪ জন আহত হয়। এ ঘটনায় নামধারী ৮ জন এবং অজ্ঞাতনামা আরো ১২ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করা হয়। শুক্রবার সকালে আহত থানার এসআই নিজামউদ্দিন বাদী হয়ে এ মামলা দায়ের করেন।
মামলার এজাহারভুক্ত আসামিরা হলেন, গুঠিয়া এলাকার বাসিন্দা নারী নির্যাতন মামলার আসামি সহোদর সুমন রাঢ়ি ও সুজন রাঢ়ি, সবুজ, সোহেল, আনোয়ার ও রুবেলসহ ৮ জন। এদের মধ্যে শুক্রবার দুপুরে রুবেলকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার রাতে আসামি ও তাদের সহযোগিদের হামলায় আহত এসআই নিজামুদ্দিন ও এএসআই নুরুল ইসলামসহ স্থানীয় ২ ব্যক্তিকে উপজেলা হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
উজিরপুর মডেল থানার ওসি জিয়াউল আহসান জানান, গত মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলার গুঠিয়া আইডিয়াল কলেজের এক ছাত্রীকে ধর্ষণের চেষ্টা করে সহোদর বখাটে সুমন রাঢ়ি ও সুজন রাঢ়ি। এ ঘটনায় ছাত্রীর বাবা বুধবার উজিরপুর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা দায়ের করেন। বৃহস্পতিবার রাতে গুঠিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ছত্তার মোল্লা ও তার সহযোগী শাহআলম সরদার শিক্ষার্থীর পরিবারকে চাপ দিয়ে সালিশে বসতে বাধ্য করে।
শিক্ষার্থীদের পরিবার থেকে এ খবর দেয়ার পর সেখানে পুলিশ গিয়ে ওই সহোদরকে গ্রেপ্তার করে থানায় নেয়ার সময় তাদের ওপর হামলা করে আসামি ছিনিয়ে নেয় শালিশের আয়োজকরা। হামলায় পুলিশের দুই পুলিশ সদস্য এবং স্থানীয় দুই ব্যক্তি আহত হয়। আহত পুলিশ সদস্যদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
ওসি আরো জানান, এ ঘটনায় নামধারী এবং অজ্ঞাতসহ ২০ জনকে আসামি করে আহত এসআই নিজামুদ্দিন বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেছেন। এজাহারভুক্ত আসামিদের গ্রেপ্তারে পুলিশের অভিযান চলছে।
Leave a Reply