মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ০৫:২৭ পূর্বাহ্ন
মঠবাড়িয়া প্রতিনিধি॥ পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় ইকো পার্কে ঘুরতে নিয়ে ষষ্ঠ শ্রেণির এক মাদ্রাসা ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। ওই ছাত্রীর পিতা বাদী হয়ে বুধবার থানায় ওই মামলাটি দায়ের করেন।
এতে ধর্ষক নাঈম শরীফ (২১) তার বড় ভাই মো. মহারাজ শরীফ (২৮) ও মা তহমিনা বেগমকে (৫০) আসামি করা হয়েছে। এ মামলায় ধর্ষকের বড় ভাই অভিযুক্ত মহারাজ শরীফকে বুধবার রাতে গ্রেফতার করে। বৃহস্পতিবার দুপুরে তাকে আদালতে সোপর্দ হয়েছে। এ মামলার আসামিরা উপজেলার তেঁতুল বাড়িয়া (ভাঙ্গাপোল) এলাকার হানিফ শরিফের ছেলে ও স্ত্রী।
মামলার এজাহার সূত্রে জানায়, ধর্ষিতা মাদ্রাসা ছাত্রী ও ধর্ষক মো. নাঈম শরীফ সম্পর্কে খালাতো ভাই-বোন। নাঈম শরীফ এর আগে বিভিন্ন সময় ওই ছাত্রীকে প্রেমের প্রস্তাবসহ বিভিন্ন কুপ্রস্তাব দিয়ে আসছিল। এ বিষয়ে ওই মাদ্রাসাছাত্রীর বাবা তার ভায়রার ছেলে ওই ধর্ষক নাঈমের বড় ভাই মহারাজ ও তার মা তহমিনাকে জানায়।
তারা নাঈমকে সর্তক না করে বিবাহের প্রস্তাব দেয় এবং ভাই ও মা এর সহযোগিতায় নাঈম বিভিন্ন ধরনের ক্ষতি সাধনের চেষ্টা করে। তারই ধারাবাহিকতায় গত মঙ্গলবার বিকালে ওই মাদ্রাসাছাত্রীকে ফুঁসলিয়ে পার্শ্ববর্তী ভান্ডারিয়া উপজেলায় ইকো পার্কে ঘুরতে নিয়ে যায়। পরে রাতে সেখান থেকে ফিরে ধানীসাফা বাজার-ফুলঝুড়ি বাজার সড়কের পাশে মুজাম্মেল হোসেনের পরিত্যক্ত ঘরে রাত্রিযাপন করে। সেখানে ওই মাদ্রাসাছাত্রীকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোর করে রাতব্যাপী ধর্ষণ করে। বিষয়টি ধর্ষকের মা ও তার বড় ভাইকে জানালে তারা বিচারের আশ্বাস দিয়ে ধর্ষককে বাড়িতে পালিয়ে যেতে সহায়তা করে।
মঠবাড়িয়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আবদুল হক জানান, এ ব্যাপারে ওই মাদ্রাসাছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে বুধবার রাতে থানায় মামলা করেছেন। এ মামলায় অভিযুক্ত মহারাজকে গ্রেফতার করে বৃহস্পতিবার দুপুরে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।
তিনি আরও জানান, ধর্ষণের শিকার ওই মাদ্রাসাছাত্রীকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য বুধবার সকালে পিরোজপুর জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়ে পাঠানো হয়েছে। এ মামলায় ধর্ষকসহ অন্য আসামিদের গ্রেফতারে পুলিশ তৎপর রয়েছে।
Leave a Reply