মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:৩৮ পূর্বাহ্ন
ভোলা প্রতিনিধি॥ ভোলা সদর উপজেলার মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রের কৈশোরবান্ধব স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্র পরিদর্শন করেছে তিন সদস্যের ইউনিসেফের প্রতিনিধি দল। পরে তারা কৈশোরবান্ধব স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্র আসা কিশোর-কিশোরীদের সঙ্গে বিভিন্ন সমস্যা ও সেবার মান নিয়ে কথা বলেন।মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) দুপুরে ইউনিসেফের প্রতিনিধিরা প্রথমে মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রের মেডিকেল অফিসার ডা. পরভীন বেগমের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করে কেন্দ্রের খোজঁ-খবর নেয়।
প্রতিনিধি দলে ছিলেন- জাতিসংঘের শিশু বিষয়ক সংস্থা ইউনিসেফের হেলথ অফিসার ফারহানা সামস সুমি, ইউনিসেফের শিশু সুরক্ষা কর্মকর্তা মো. জামিল হোসেন, ডা. সবরিনা প্রমুখ।এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন- কোস্ট ট্রাস্ট আইইসিএম প্রকল্পের প্রকল্প সমন্বয়কারী মো. মিজানুর রহমান, কোস্ট ট্রাস্ট আইইসিএম প্রকল্পের প্রকল্প সমন্বয়কারী মো. মিজানুর রহমান, এপিসি দেবাশীষ মজুমদার, মিডিয়া অফিসার আদিল হোসেন প্রমুখ।
এ সময় কিশোর-কিশোরী ইউনিসেফ প্রতিনিধি দলকে জানায়, কৈশোরবান্ধব স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রে মানসম্মত করতে হলে সেবার মান নিশ্চিত করতে হবে। পাশাপাশি বিভিন্ন স্কুলে শিক্ষকেরা যৌন স্বাস্থ্য নিয়ে কথা বলতে সংকোচ বোধ করেন। তাই কিশোর-কিশোরী দল তৈরি করে তাদের প্রশিক্ষণ দিতে হবে।
শিক্ষার্থীরা স্কুলে যাওয়া আসার সময় স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রগুলো খোলা রাখার ব্যবস্থা করতে হবে। যেন শিক্ষার্থীরা স্কুলে যাওয়া আসার পথে সহজেই সুবিধা পেতে পারে। কৈশোরবান্ধব সেবা কেন্দ্র থেকে সেবা নিতে পারে।
কৈশোরবান্ধব স্বাস্থ্যকেন্দ্রে আসা কিশোর-কিশোরীর পাশাপাশি অভিভাবকদেরও পরামর্শের আওতায় আনতে হবে। সরকারি-বেসরকারি স্কুল, কলেজ ও মাদরাসায় কিশোর কিশোরীদের স্বাস্থ্য ও পুষ্টির অবস্থা পর্যবেক্ষণ আওয়তায় আনার অনুরোধ জানায়। শুধু তাই নয়, চরাঞ্চলের কিশোর-কিশোরীদের বাল্যবিয়ে ও কৈশোরকালীন গর্ভধারণ রোধে আরও উদ্যোগ গ্রহণ করার দাবি জানায়।
এছাড়াও কৈশোরবান্ধব সেবা সম্পর্কে সকল কিশোর-কিশোরীদের সচেতন করতে বিভিন্ন স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্র স্বেচ্ছাসেবক দল তৈরি করার কথা জানায়। উল্লেখ্য, ইউনিসেফের সহায়তায় সরকারিভাবে ভোলা সদর, লালমোহন ও চরফ্যাশন উপজেলায় ৬৬টি কৈশোরবান্ধব স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্র পরিচালিত হয়ে থাকে। পরে প্রতিনিধি দলটি শিবপুর ইউনিয়ন স্বাস্থ্যকেন্দ্র ও কিশোরী ক্লাব পরিদর্শন করেন।
Leave a Reply