রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০১:০৭ পূর্বাহ্ন
বরগুনা প্রতিনিধি:বরগুনার আমতলীতে আসমা বেগম (২৯) নামের এক গৃহবধূকে পিটিয়ে গুরুতর জখম করার অভিযোগ পাওয়া গেছে ভাসুর মুছা খাঁনের বিরুদ্ধে।আহত গৃহবধূকে আজ শনিবার (৯ মার্চ) দুপুরে আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনা ঘটেছে শনিবার বরগুনার আমতলী উপজেলার চাওড়া বৈঠাকাটা গ্রামে।
জানা গেছে, উপজেলার আঙ্গুলকাটা গ্রামের আজিজুর রহমান মুন্সির কন্যা আসমাকে ২০০৭ সালে বৈঠাকাটা গ্রামের গনি খাঁনের ছেলে কলিমুল্লাহ খানের সাথে বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই ভাসুর মুছা খাঁন ছোট ভাই কলিমুল্লাহ খাঁনের স্ত্রী আসমাকে মেনে নিতে পারেনি। ওই সময় থেকেই ছোট ভাইকে তার স্ত্রী আসমাকে তালাক দেয়ার জন্য চাপ দিয়ে আসছিল বড় ভাই মুছা।
এতে রাজি হয়নি ছোট ভাই কলিমুল্লাহ। এ নিয়ে দুই ভাইয়ের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। শনিবার সকালে ভাসুর মুছা খাঁনের সাথে আসমার ঝগড়া হয়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে বড় ভাই ছোট ভাইকে মারধর শুরু করে। স্বামী কলিমুল্লাহকে রক্ষায় স্ত্রী আসমা বেগম এগিয়ে গেলে তাকে বেধরক মারধর করে। ভাসুরের মারধরে আসমার ডান হাতের বৃদ্ধাঙ্গুল ভেঙে যায় এবং শরীরের বিভিন্ন স্থানে ফুলা জখম হয়। খবর পেয়ে স্বজনরা তাকে উদ্ধার করে আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লক্সে ভর্তি করেছে।
গৃহবধূ আসমা কান্নাজনিত কন্ঠে বলেন, আমার ভাসুর আমাকে তালাক দেয়ার জন্য আমার স্বামীকে বিভিন্ন সময় চাপ দেয়। আমার স্বামী তার কথায় রাজি হয়নি। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে আমার ভাসুর বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন অযুহাতে আমাকে মারধর করে আসছে।এ বিষয়ে মুছা খাঁনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তার মুঠোফোন বন্ধ পাওয়া গেছে।
আমতলী থানার ওসি নুরুল ইসলাম বাদল (তদন্ত) বলেন, খবর পেয়ে হাসপাতালে পুলিশ পাঠিয়েছি। অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
Leave a Reply