সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৫:২৩ পূর্বাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টার ॥
আজ বরিশাল সিটি কর্পোরেশন’র সাবেক সফল মেয়র, সংসদ সদস্য এবং মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি শওকত হোসেন হিরনের ৬৩তম জন্ম বার্ষিকী। ১৯৫৬ সালের এই দিনে তিনি বরিশাল নগরের আলেকান্দাস্থ তার নিজ মামার বাড়িতে জন্মগ্রহন করেন। তার পিতা পুলিশের সাব্-ইন্সপেক্টর আবুল হাসেম সরদার, মা জয়নব বেগম। তার পৈতৃক নিবাস পটুয়াখালী জেলার বাউফল থানাধীন কালিশুড়ি ইউনিয়নের আড়াইনাও গ্রাম। শৈশব-কৈশোর থেকে জীবনের প্রায় পুরো সময়টাই তিনি বরিশাল তথা আলেকান্দা অঞ্চলে থাকেন। নুরিয়া হাইস্কুল থেকে ম্যাট্রিকুলেশন ও বিএম কলেজ থেকে স্নাতক করে শওকত হোসেন হিরন ১৯৭৩ সালে আইন মহাবিদ্যালয় থেকে এল.এল.বি পাস করেন। তখন থেকেই তিনি রাজনীতির সাথে যুক্ত হন।
১৯৮৮ সালে মাত্র ২২ বছর বয়সে তিনি বাংলাদেশের সর্বকনিষ্ঠ উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন জনগনের প্রত্যক্ষ ভোটে। এ থেকেই বোঝা যায় তার জনসম্পৃক্ততা এবং কি অমিত সম্ভাবনাময় এই রাজনীতিবিদ, জনপ্রতিনিধি এবং দক্ষ প্রশাসক প্রায় একাই শতাব্দী প্রাচীন একটা শহরকে টেনে তুলে মেরুদন্ডের উপর ভর করে দাড়াতে শেখান। আজীবন অস্রাম্প্রদায়িক ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী শওকত হোসেন হিরন ১৯৮৬ সালের দিকে আওয়ামী লীগে যোগ দেন এবং মৃত্যূর পূর্ব পর্যন্ত মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। বলতে গেলে তিনি একাই বরিশাল আওয়ামী লীগকে সাংগঠনিকভাবে শক্তিশালী করে নগর ভবন পর্যন্ত পৌছে দেন। প্রয়াত জননেতা শওকত হোসেন হিরন’র ৬২তম জন্মবার্ষিকীতে তার একনিষ্ঠ অনুসারী বাকসুর ভিপি মঈন তুষার এক বিবৃতিতে বলেন, শেরে-বাংলা, মহাত্মা অশ্বিনী দত্ত, খান বাহাদুর হাশেম আলি খান, বিপ্লবী দেবেন ঘোষ প্রমুখ বরেন্য ব্যক্তিদের পদচারনায় ধন্য বরিশালকে তিলোত্তমা নগরে পরিনত করেছেন শওকত হোসেন হিরন।
এমন এক অন্তঃপ্রান মানুষের জন্য একটা শহর শতাব্দী ধরে অপেক্ষা করে টিকে থাকা শেষ অস্তিত্ব নিয়ে। তিনি গোটা বরিশালকে বদলে দিতে চেয়েছিলেন, বদলে দিয়েছেন। আর সময় পাননি তিনি তাই অনেক কিছুই করা হয়নি। জন্মের ঋন মৃত্যূ দিয়ে শোধ করে চলে গেছেন। আমরা তার দোলনাটা দেখিনি তবে তাকে বহন করা লাশের খাটটা দেখেছি সেটা স্টীলের না কাঠের হলে ভালো হতো এসব কথা আজ বলতে চাইনা । কারন আজ অবশ্যই একটা শুভ দিন, আমার আমাদের জন্য, শতাব্দীরও প্রাচীন একটি নগরের জন্য যার নাম বরিশাল.. এসেছে সন্ধ্যার কাক ঘরে ফিরে/মাঠের আধাঁর পথে শিশু কাদেঁ/কার শিশু বলো তুমি-শুধালাম, উত্তর দিলো না কিছু বটে/ কেউ নেই কোনদিকে-মাঠে পথে কুয়াশার ভীড়ে/ তোমারে শুধাই কবি তুমিও কি জানো কিছু এই শিশুটির..? ( জীবনানন্দ দাস )
Leave a Reply