সোমবার, ০৭ জুলাই ২০২৫, ০৫:০৮ অপরাহ্ন
আগৈলঝাড়া প্রতিনিধি।। করোনা মোকাবেলায় বরিশাল জেলার আগৈলঝাড়ায় স্বাস্থ্যবিধি না মানার তীব্র প্রতিযোগীতা দেখা যাচ্ছে সর্বত্র।
অনেকেই অভিযোগ করেছেন, উপজেলা সদরসহ বিভিন্ন হাট-বাজারে প্রশাসনের মনিটরিং এবং ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা না হওয়ায় গ্রামের হাটবাজার থেকে শুরু করে শহরের হাট-বাজারগুলোতে স্বাস্থ্যবিধি মানার বালাই নেই কারো মধ্যেই। স্বাস্থ্য সুরক্ষা পোষাক ও উপকরণ ব্যবহারের ক্ষেত্রে বেশির ভাগ মানুষই উদাসিন। হাটবাজার ও রাস্তায় চলাচলকারী অধিকাংশকে মাস্ক ব্যববহার করতে দেখা যায় না।
প্রশাসনের পক্ষ থেকে শুরুতে জনসচেতনামুল প্রচার-প্রচারনা চালানো হলেও গত মে মাস থেকে সচেতনতামুলক প্রচার প্রচারণা স্থিমিত হয়ে পরে। ফলে স্বাস্থ্যবিধি না মেনে পূর্বের মতো বসছে সকল সাপ্তাহিক হাট-বাজার। এতে আগৈলঝাড়ায় করোনা ছড়িয়ে পড়ার আতংক বেড়েই চলেছে।
জানা গেছে, এ পর্যন্ত আগৈলঝাড়ায় ৩’শ জনের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। যার মধ্যে ১৬ জনের শরীরে করোনা সনাক্ত হয়েছে। করোনা শুরুর পরে লকডাউনের প্রথমে চায়ের দোকানগুলোতে বসে চা খাওয়ার ব্যবস্থা অপসারন করা হলেও বর্তমানে ফিরে এসেছে লকডাউনের আগের অবস্থা। অকারনেই হাট-বাজার, সড়ক, দোকানে সাধারণ লোকজন ঘুরে বেড়ালেও প্রশাসনিক কোন তৎপরতা না থাকায় প্রতিদিন তা বেড়ে চলায় স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে রয়েছে উপজেলার বাসিন্দারা। সরকার সাধারণ ছুটির পর জীবন-জীবিকার তাগিদে সীমিত পরিসরে সরকার সবকিছু খুলে দেওয়ার পর থেকে স্বাস্থ্যবিধি না মানার যেন প্রতিযোগীতায় নেমেছে লোকজন।
উপজেলা হাসপাতাল প্রধান ডা. বখতিয়ার আল মামুন বলেন, উপজেলায় এ পর্যন্ত ৩’শ জনের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে যার মধ্যে ১৬ জনের দেহে করোনা পজেটিভ এসেছে। স্বাস্থ্যবিধি বা সামাজিক দূরত্ব মানা না হলে ভবিষ্যতে ভয়াবহ আকারে উপজেলায় করোনা সংক্রমন ছড়িয়ে পরতে পারে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার রওশন ইসলাম চৌধুরী বলেন, উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে মাঝে মধ্যে বাজার মনিটরিং করা হচ্ছে।
উপজেলা চেয়ারম্যান মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রইচ সেরনিয়াবাত বলেন, বর্তমানে উপজেলার কোথাও স্বাস্থ্যবিধি বা সামাজিক দূরত্ব মানা হচ্ছে না। স্বাস্থ্যবিধি বা সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে প্রশাসনিকভাবে যতটুকু তৎপরতা দরকার তা উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোন নির্বাহী ক্ষমতা প্রয়োগ করা হচ্ছে বলে আমার মনে হচ্ছে না।
Leave a Reply