শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৩:২৪ পূর্বাহ্ন
অনলাইন ডেস্ক:পটুয়াখালীর কুয়াকাটা দেশের একমাত্র সমুদ্র সৈকত যেখান থেকে সূর্যোদয় ও সূর্যাস্ত দেখা যায়। এ কারণে বছরে অধিকাংশ সময়েই এখানে ভিড় জমে পর্যটকদের। সৈকতের পাশে দীর্ঘ নারকেল গাছের সারির কারণে এর সৌন্দর্য অন্যমাত্রা লাভ করেছে।সমুদ্রমন্থনের পাশাপাশি পূর্বদিকে গঙ্গামতি বা গজমতির বন হয়ে লাল কাঁকড়ার চর, এবং পশ্চিম দিকে শ্বাসমূলীয় ফাতরার বন; সাগরের প্রান্ত ছুঁয়ে ছুঁয়ে কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই ঘুরে দেখা যায় ১৮ কিলোমিটার দীর্ঘ এই সৈকতের বহুবিধ রূপ-রঙ।
তবে সরেজমিনে দেখা যায়, সম্প্রতি সৈকতে ভাঙনের ফলে প্রায় বিলীন হতে বসেছে নারকেল বাগান। অপরদিকে যান চালকদের বেপেরোয়া উপস্থিতির কারণে নিরাপত্তাহীনতায় ভূগছেন পর্যটকরা। স্থানীয়রা জানান, ভোর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত সৈকতে বেপরোয়া গতিতে চলছে মোটরসাইকেল, ইজিবাইক, মাহেন্দ্র ও ইঞ্জিনচালিত ভ্যান। ফলে প্রতিদিনই ঘটছে দুর্ঘটনা।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, মোটরসাইকেল চালকরা পর্যটকদের জন্য সংরক্ষিত এলাকায় ঢুকে যাত্রী পাওয়ার প্রতিযোগিতা করছেন। একজন যাত্রী পেলেই কয়েকজন চালক তাকে ঘিরে ধরেন। এসময় চালকদের আচরণও সহনীয় থাকে না। এমনকি সৈকতে মোটরবাইকের বেপরোয়া চলাচলের কারণে নানাবিধ সমস্যায় পড়ছেন পর্যটকরা।
বরিশাল থেকে ঘুরতে আসা ব্যবসায়ী রহমত গাজী বলেন, ‘মাঝে মাঝে এখানে আসতে হয়। তবে সৈকতে গেলেই আতঙ্কে থাকি।সৈকত সংলগ্ন এলাকার মোটরসাইকেল চালক মো. মিজান বলেন, ‘মোটরসাইকেল নিয়ে বিচের ছাতা এলাকার মধ্যে আসার সুযোগ নেই। তবে এলেও পুলিশ তেমন কিছু বলে না। শুধু বের হয়ে যেতে বলে। আর ওপরের চাপ থাকলে তখন জরিমানা করে।এ ব্যাপারে পর্যটন পুলিশ জোন কুয়াকাটার পরিদর্শক মো. মনিরুজ্জামান বলেন, ‘এখানে পর্যটকদের নিরাপত্তার জন্য গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলোতে পুলিশ থাকে। বিচ (সৈকত) হয়ে বিভিন্ন দিকে যাতায়াতের জন্য মোটর যানবাহন চলাচল করে থাকে। তবে সেগুলোর মূল বিচে যাওয়ার নিয়ম নেই।
আর এখানে পর্যটন পুলিশের কোনও ধরনের অ্যাকশান নেওয়ার সুযোগ নেই। কোনও অপরাধে কাউকে ধরা হলে মামলা করাসহ আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য থানা পুলিশের কাছে যেতে হয়।
Leave a Reply