শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০২:৫০ অপরাহ্ন
আমতলী প্রতিনিধি॥ ইলিশ প্রজননকে নিরাপদ করতে ২২ দিন নিষেধাজ্ঞার পরে বরগুনার আমতলীর পায়রা (বুড়িশ্বর) নদীতে পুরোদমে মাছ শিকার শুরু হয়েছে। বাজারগুলোতে ক্রেতা-বিক্রেতার আনাগোনা ও সরগরম হয়ে উঠেছে। জেলেদের জালে ইলিশ ধরা পড়লেও প্রতিটি মা মাছের পেটে ডিম রয়েছে বলে ক্রেতা-বিক্রেতা সূত্রে জানা গেছে।
প্রজনন মৌসুমকে নিরাপদ করতে সরকার ঘোষিত ২২ দিন ইলিশ শিকারে নিষেধাজ্ঞা মেনে এ উপজেলার কোন জেলেই পায়রা (বুড়িশ্বর) নদীতে মাছ শিকারে নামেননি। ২৫ অক্টোবর মধ্যরাত থেকে নিষেধাজ্ঞা উঠে যাওয়ার পর নদীতে মাছ শিকারে নামেন তারা। আগের তুলনায় জেলেদের জালে বেশি পরিমাণে ইলিশ ধরা পড়ছে বলে জেলেরা জানায়। বর্তমানে বাজারে ইলিশের দামও পূর্বের চেয়ে অনেক বেশি থাকায় জেলেরা অনেক খুশি।
জেলে খলিল, রফিক, ইউনুস, হালিমসহ অনেকে জানান, যথাসময় ইলিশ শিকারে নিষেধাজ্ঞা না দেওয়ায় মা ইলিশ ডিম ছাড়তে পারেনি। এ কারণে শিকার করা প্রতিটি ইলিশ মাছের পেটে ডিম রয়েছে।
বাজারে প্রচুর পরিমাণে ইলিশ মাছের সরবরাহ রয়েছে। তবে ক্রেতা অনেক থাকলেও বিক্রি কম। বর্তমানে বাজারে প্রতি কেজি ঝাটকা ইলিশ ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা, ৫০০ থেকে ৭০০ গ্রাম ওজনের প্রতি কেজি ইলিশ ৭০০ থেকে ৮৫০ টাকা এবং প্রতি কেজি ও তার চেয়ে বেশি ওজনের প্রতি কেজি ইলিশ ১২০০ টাকা থেকে ১৪৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
মাছ বিক্রেতা মো. রুবেল মিয়া বলেন, বাজারে প্রচুর পরিমাণে ইলিশের সরবরাহ থাকলেও দাম আগের তুলনায় অনেক বেশি। তাই বিক্রি কম হচ্ছে।
ক্রেতা মাহবুবুর রহমান বলেন, বাজারে ইলিশের দাম অনেক বেশি। আমি দর দাম করে ৫০০ থেকে ৬০০ গ্রাম ওজনের এক কেজি ইলিশ কিনেছি ৮৫০ টাকায়।
উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা হালিমার সরদার বলেন, প্রশাসন, পুলিশ ও মৎস্য বিভাগের যৌথ অভিযানে এবারের অভিযান সফল হয়েছে। জেলেদের জালে প্রচুর পরিমাণ ইলিশ ধরা পড়ার সংবাদ পেয়েছেন। গত বছর শীতে নদীতে প্রচুর পরিমাণে ইলিশ মাছ পাওয়া গেছে। এবারও সে অনুযায়ী আরো বেশি ইলিশ ধরা পড়বে বলে তিনি আশাবাদী।
Leave a Reply