বানারীপাড়ায় রোজাদার গৃহবধুর হত্যা কারীদের ফাঁসির দাবিতে সংবাদ সম্মেলন Latest Update News of Bangladesh

মঙ্গলবার, ০৮ জুলাই ২০২৫, ০৬:১৫ অপরাহ্ন

বিজ্ঞপ্তি :
Latest Update Bangla News 24/7 আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি ভয়েস অব বরিশালকে জানাতে ই-মেইল করুন- inbox.voiceofbarishal@gmail.com অথবা hmhalelbsl@gmail.com আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।*** প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে!! বরিশাল বিভাগের সমস্ত জেলা,উপজেলা,বরিশাল মহানগরীর ৩০টি ওয়ার্ড ও ক্যাম্পাসে প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে! ফোন: ০১৭৬৩৬৫৩২৮৩
সংবাদ শিরোনাম:




বানারীপাড়ায় রোজাদার গৃহবধুর হত্যা কারীদের ফাঁসির দাবিতে সংবাদ সম্মেলন

বানারীপাড়ায় রোজাদার গৃহবধুর হত্যা কারীদের ফাঁসির দাবিতে সংবাদ সম্মেলন

বানারীপাড়ায় রোজাদার গৃহবধুর হত্যা কারীদের ফাঁসির দাবিতে সংবাদ সম্মেলন




মো. সুজন মোল্লা,বানারীপাড়া॥ ছিলেন অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন রোজাদার। শ্বশুরবাড়ি থেকে নিজ ভূমি বাবার বাড়িতে যেখানে শিশু থেকে বড় হওয়া পর্যন্ত কতই না হৈছে করেছেন সেখানে বেড়াতে এসে লাশ হলেন মাহমুদা (২৮)। ভাগ্যের লিখন না যায় খন্ডন। বিধাতার লেখায় এটাই ছিলো তার অদৃষ্টে।

 

তার গর্ভে ধারণ করা সন্তানটিও দেখে যেতে পারলো না পৃথিবী নামক এই নিষ্টুর জায়গাটি। অনাগত সন্তানের মায়ের ওপরে যখন ঘাতকরা আঘাত করছিলো হয়তো ওই আঘাতের যন্ত্রনা তাকেও কাতর করছিলো। লিখতে গিয়ে শিউরে ওঠার মতোই অবস্থা। বরিশালের বানারীপাড়ার ঘটনা লিখছি। আর ওই অন্তঃসত্ত্বা রোজাদার গৃহবধু মাহমুদা (২৮) হত্যা মামলার আসামীদের ফাঁসির দাবিতে তার হতদরিদ্র আহত বৃদ্ধ বাবা ও মা সহ পরিবারের সদস্যরা আজ দারস্ত হয়েছেন মিডিয়ার কাছে,করেছেন সংবাদ সংম্মেলন।

 

মঙ্গলবার (৭ জুলাই) বিকেলে বানারীপাড়া প্রেসক্লাব কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে নিহত মাহমুদার পিতা তোতা মিয়া লিখিত বক্তব্যে তার মেয়ের ঘাতকদের ফাঁসির দাবি জানান।

 

এসময় তিনি তার একমাত্র অন্তঃসত্ত্বা ও রোজাদার মেয়ের হত্যকান্ডের শিকার হওয়ার সেই দিনের মর্মান্তিক ঘটনার বর্ননা করতে গিয়ে কাঁদলেন অজর দাঁড়ায়।

 

তিনি অভিযোগ করেন আসামীরা জামিনে বের হয়ে তার ঘর ভাংচুর করা সহ তাকে ও মামলার বাদী তার ছেলে সবুজকে হত্যার চেষ্টা চালাচ্ছে,প্রতিনিয়ত দিচ্ছে হুমকি। তাদেরকে মামলা তুলে নেওয়ার জন্যও নানাভাবে হয়রানি করছে।

 

তিনি আরও বলেন,এছাড়াও আসামীদের কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা নিয়ে তাদের রক্ষায় পার্শ্ববর্তী পিরোজপুর জেলার স্বরূপকাঠি উপজেলার সুঠিয়াকাঠি গ্রামের আলম মহুরী ও রুসিয়া নামের এক নারী অপতৎপরতা চালাচ্ছে। সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন নিহত মাহমুদার একমাত্র ছেলে জিসান (৯), ভাই মামলার বাদী সবুজ,মা হাফিজা বেগম,ভাবি সীমা,চাচাতো ভাবী পারুল,চাচি রাশিদা,দাদি মিনারা বেগম প্রমুখ।

 

প্রসঙ্গত উপজেলার মধ্য ইলুহার গ্রামের তোতা মিয়া হাওলাদার ও তার চাচাতো ভাই গাফফার হাওলাদারের পরিবারের মাঝে দীর্ঘদিন ধরে জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধ চলে আসছিলো। এর জের ধরে ২৫ এপ্রিল প্রথম রোজার দিন দুপুরে দু’পক্ষের মধ্যে ঝগড়ার এক পর্যায়ে আসামীরা তোতা মিয়া হাওলাদার (৬৫), তার স্ত্রী হাফিজা বেগম (৫৫) ও বেড়াতে আসা তাদের একমাত্র মেয়ে রোজাদার চার মাসের অন্তঃস্বত্ত্বা মাহমুদাকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে আহত করে।

 

গুরুতর আহত অবস্থায় তাদের বানারীপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসার পরে মাহমুদা বেগমকে আশংকাজনক অবস্থায় বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে রেফার করা হয়।

 

সেখান থেকে পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করার পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২৮ এপ্রিল মঙ্গলবার সকাল ৯টায় সে মারা যায়। ওই হাসপাতালে তার লাশের ময়না তদন্ত সম্পন্ন হওয়ার পরে বানারীপাড়ায় মধ্য ইলুহার গ্রামে স্বামীর বাড়ির পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।

 

এ ব্যপারে নিহত ওই গৃহবধুর ভাই সবুজ বাদী হয়ে চাচা গাফফার হাওলাদার,চাচি দোলেনা বেগম (৪৫), তিন সহোদর চাচাতো ভাই ফোরকান (২৬) ,ফরিদ (২৪) ও শাকিল (১৯) কে আসামী করে থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। হত্যা মামলার ৫ আসামীকে ৯ জুন গ্রেফতার করে পুলিশ।

 

ওই দিন দুপুর সাড়ে ১২টায় বানারীপাড়া পৌর শহরের বাসষ্ট্যান্ড এলাকা থেকে বানারীপাড়া থানার ওসি শিশির কুমার পাল ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ইন্সপেক্টর (তদন্ত) জাফর আহম্মেদের নেতৃত্বে পুলিশ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে হত্যা মামলার এজাহারনামীয় আসামী গাফফার হাওলাদার(৫৫), তার স্ত্রী দোলেনা বেগম (৪৫), তার তিন ছেলে ফোরকান (২৬), ফরিদ (২৪) ও শাকিল (১৯) কে গ্রেফতার করে। পরে ১৮ জুন আসামী গাফ্ফার হাওলাদার (৫৫), তার স্ত্রী দোলেনা বেগম (৪৫) ও ছোট ছেলে শাকিল (১৯) জামিনে বের হন।

 

গত ২৭ জুন শনিবার রাত ১টার দিকে জামিনে থাকা আসামীদের নেতৃত্বে অজ্ঞাত লোকজন হত্যা মামলার বাদী সবুজের বাড়িতে গিয়ে তাকে ও তার পিতা তোতা মিয়াকে নাম ধরে ডেকে খুঁজতে থাকে। এক পর্যয়ে তারা ঘরের বেড়া ভেঙ্গে ভিতরে প্রবেশ করতে চাইলে বাদীর পরিবারের লোকজন ডাকচিৎকার দেয়।

 

এসময় বাড়ির অন্য ঘরের লোকজন এগিয়ে এলে আসামীরা বাদী সবুজ ও তার পিতা তোতা মিয়াকে মামলা তুলে না নিলে হত্যার হুমকি দিয়ে চলে যায়। এদিকে এর আগের দিন ২৬ জুন শুক্রবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে ইলুহার গ্রামের বাবুলের দোকানের পশ্চিম পাশের রাস্তায় বাদী সবুজকে একা পেয়ে আসামী ফোরকানের মামা মনির ও কবির এবং চাচা খলিল মামলা তুলে নিতে নানা হুমকি ধামকি দেয়।

 

অভিযোগ রয়েছে মনির ও কবিরকে হত্যা মামলায় আসামী করে থানায় এজাহার দেওয়া হলেও রহস্যজনকভাবে মামলা রুজুর সময় তাদের নাম বাদ দেওয়া হয়।

 

এদিকে এ দুটি ঘটনার কথা উল্লেখ করে তার ও পরিবারের জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে হত্যা মামলার বাদী সবুজ ২৮ জুন সকালে থানায় সাধারণ ডায়েরী করেন।

 

এর প্রেক্ষিতে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ইন্সপেক্টর (তদন্ত) জাফর আহম্মেদ ২৯ জুন সোমবার বিকালে বিষয়টি তদন্তের জন্য ঘটনাস্থলে যান।

সোশ্যাল মিডিয়াতে শেয়ার করুন



Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *










Facebook

© ভয়েস অব বরিশাল কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed BY: AMS IT BD