সোমবার, ০৭ জুলাই ২০২৫, ০১:১৬ অপরাহ্ন
শাকিল মাহমুদ ।। করোনা পরিস্থিতির মুখে ঈদুল ফিতরে ব্যবসায় ব্যাপক ধস হলেও আসন্ন পবিত্র ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে নতুন করে আশায় বুক বাঁধছেন ব্যবসায়ীরা। দীর্ঘ দীনের সাধারণ ছুটির পর সীমিত পরিসরে সবকিছু খুলে দেওয়ায় ধীরে ধীরে মানুষ নতুন পরিস্থিতির সঙ্গে অভ্যস্ত হয়ে উঠছেন। সব মিলিয়ে ঈদুল আজহায় বিক্রিবাট্টা হওয়ার ব্যাপারে আশাবাদী ব্যবসায়ীরা।
চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ৩১ জুলাই কিংবা ১ আগস্ট ঈদুল আজহা উদযাপিত হবে।
কিন্তু সারাবছরই ভিড় জমে থাকা নগরীর এসব দোকানগুলো করোনা আশঙ্কায় এখনও ক্রেতাশূন্য। হাজী মহাসীন মার্কেট,চক বাজার,সিটি মার্কেট,ফাতেমা সেন্টার, কাঠপট্টি, লাইন রোড, হেমায়েত উদ্দিন রোড ও পদ্মাবতি এলাকাসহ সবখানেই একই দৃশ্য। কিন্তু আসন্ন ঈদুল আজহা ঘিরে এ পরিস্তিতিতে অনেকটাই কেটে যাবে বলে আশা করছেন ব্যাবসায়ীরা। ফলে এ উৎসব ঘিরে নতুন করে প্রস্তুতি নিচ্ছেন তারা।
বর্তমান পরিস্থিতির ব্যাপারে হাজী মহাসীন মার্কেট এর এক ব্যবসায়ী জানান, বরিশালের মার্কেট গুলো এখনও ফাঁকা। আমরা ক্রেতাদের জন্য অপেক্ষা করছি। তবে এখনও ক্রেতার দেখা পাওয়াটা বেশ দুষ্কর। ঈদুল ফিতরে যারা নতুন পোশাক কেনেননি, তারা ঈদুল আজহায় কিনবেন, আমরা এখন এ প্রত্যাশায় আছি। দেখা যাক কী হয়।
চকবাজার এলাকার এক ব্যবসায়ী বলেন, বিপণি বিতানের মূল ক্রেতারা মা-বোনেরা। তারা মূলত বিকেলের পর মার্কেটে আসেন। কিন্তু এর আগ পর্যন্ত বিকেল ৪টায় মার্কেট বন্ধ করে দেওয়ায় আমাদের সেই ক্রেতারা আসেননি। এখন সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত মার্কেট খোলা, তাতেও খুব একটা লাভ হবে না। কারণ ৭টায় মাগরিবের আজান দেয়। মার্কেট বন্ধ করার সময় রাত ৮টা পর্যন্ত করলে ভালো হতো। ঈদের প্রস্তুতির বিষয়ে তিনি বলেন, আমরা আশাবাদী যে, আসন্ন কোরাবানির ঈদ ঘিরে ব্যবসায়ীরা কিছুটা হলেও লাভের মুখ দেখবো।
এদিকে কিছু কিছু ব্যবসায়ী রোজার ঈদের পণ্যের পাশাপাশি কোরবানির ঈদ মাথায় রেখে নতুন ডিজাইনের পোশাকও আনছেন। লাইন রোড এলাকার এক ব্যবসায়ী বলেন, রোজার ঈদে আমাদের মার্কেট খোলা ছিল। কিছু বিক্রিবাট্টা হয়েছে। কোরবানির ঈদে সেটা বাড়বে বলে আশা করছি।
এদিকে সচেতন মহল মনে করছেন, আগামী ঈদেও ব্যবসার কোনো সম্ভাবনা নেই। অতি প্রয়োজন ছাড়া কেউই এখন ঘর থেকে বের হচ্ছেন না। রাস্তায় যে মানুষ দেখছেন, সবাই পেটের দায়ে বের হয়েছেন। শখ করে কেনাকাটা করার মানুষের সংখ্যা ৫ শতাংশও হবে না। সুতরাং সামনের উৎসব ঘিরেও লাভ বা ব্যবসা কোনোটাই হবে না। বরং কোরবানির পশুর হাটের মাধ্যমে নতুন করে করোনা ভাইরাস ছড়ানোর আশঙ্কা রয়েছে।
Leave a Reply