অধ্যাপক ড. আনিসুজ্জামানের মৃত্যুতে মন্ত্রিপরিষদের শোক Latest Update News of Bangladesh

বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ১২:১৮ পূর্বাহ্ন

বিজ্ঞপ্তি :
Latest Update Bangla News 24/7 আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি ভয়েস অব বরিশালকে জানাতে ই-মেইল করুন- inbox.voiceofbarishal@gmail.com অথবা hmhalelbsl@gmail.com আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।*** প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে!! বরিশাল বিভাগের সমস্ত জেলা,উপজেলা,বরিশাল মহানগরীর ৩০টি ওয়ার্ড ও ক্যাম্পাসে প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে! ফোন: ০১৭৬৩৬৫৩২৮৩




অধ্যাপক ড. আনিসুজ্জামানের মৃত্যুতে মন্ত্রিপরিষদের শোক

অধ্যাপক ড. আনিসুজ্জামানের মৃত্যুতে মন্ত্রিপরিষদের শোক




ভয়েস অব বরিশাল ডেস্ক॥ জাতীয় অধ্যাপক ড. আনিসুজ্জামানের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ মন্ত্রিপরিষদের সদস্য, রাজনীতিকসহ বিশিষ্টজনেরা।

বৃহস্পতিবার (১৪ মে) বিকালে রাজধানীর সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

সর্বজন শ্রদ্ধেয় বিশিষ্ট এই শিক্ষাবিদের মৃত্যুতে দেশের জন্য অপূরণীয় ক্ষতি হয়েছে বলে এসব শোকবার্তায় উল্লেখ করা হয়। শোকবার্তায় ড. আনিসুজ্জামানের আত্মার শান্তি কামনা এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানানো হয়।

প্রধানমন্ত্রীর প্রেস উইং থেকে পাঠানো এক শোকবার্তায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাঁর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ড. আনিসুজ্জামানকে অত্যন্ত শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করেন।

স্মৃতিচারণ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমি ছিলাম স্যারের টিউটোরিয়াল গ্রুপের শিক্ষার্থী।’ প্রধানমন্ত্রী এ সময় শিক্ষা ক্ষেত্রে তাঁর অনন্য অবদানের কথা কৃতজ্ঞতার সঙ্গে স্মরণ করেন। তিনি আরও বলেন, তাঁর মতো বিদগ্ধ ও জ্ঞানী মানুষের মৃত্যুতে দেশের এক অপূরণীয় ক্ষতি হলো।
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের শোকবার্তায় মরহুমের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন এবং তাঁর শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।

তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেন, প্রজ্ঞা ও শুদ্ধ চেতনায় দীপ্ত এ মানুষটির চলে যাওয়া দেশের জন্য এক অপূরণীয় ক্ষতি।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ. কে. আব্দুল মোমেন তার শোকবার্তায় বলেন, ‘অধ্যাপক আনিসুজ্জামান ৫০ বছরের বেশি সময় ধরে আমার ব্যক্তিগত ও পারিবারিকভাবে অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ ব্যক্তি ছিলেন। তিনি ছিলেন এক আলোকবর্তিকা। তাঁর মৃত্যুতে জাতি একজন শ্রেষ্ঠ সন্তানকে হারালো। প্রগতিশীল চেতনার অধিকারী এ মহান ব্যক্তিকে বাঙালি জাতি চিরদিন স্মরণ রাখবে।’
অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল শোকবার্তায় বলেন, দেশে শিক্ষা, সাহিত্য, গবেষণায় জাতীয় অধ্যাপক আনিসুজ্জামান অসামান্য অবদান রেখেছেন। দেশ ও জাতির জন্য তাঁর অবদান জাতি সবসময় শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করবে।

শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেন, ‘অধ্যাপক আনিসুজ্জামান ছিলেন একজন আলোকিত মানুষ। দেশে গুণগত শিক্ষার প্রসার ও জ্ঞানভিত্তিক সমাজ বিনির্মাণে তিনি অনবদ্য ভূমিকা রেখে গেছেন। তাঁর মতো একজন গুণী শিক্ষাবিদের মৃত্যুতে জাতির যে ক্ষতি হলো, তা সহজে পূরণ হওয়ার নয়।’

শোকবার্তায় ভূমিমন্ত্রী বলেন, “স্বাধীনতা পুরস্কারপ্রাপ্ত জাতীয় অধ্যাপক আনিসুজ্জামান আমাদের ৫২-এর ভাষা আন্দোলন ও ৭১-এর জাতীয় মুক্তির জন্য ঐতিহাসিক সংগ্রামে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেন। পরবর্তী প্রতিটি গণতান্ত্রিক আন্দোলনেও তিনি ওতপ্রোতভাবে জড়িত ছিলেন। স্বাধীন রাষ্ট্রের সংবিধান রচনায় অবদান রাখাসহ বাংলাদেশ, বাংলা ভাষা ও সাহিত্যে তাঁর অনুসন্ধানী গবেষণার জন্য তিনি পাথেয় হয়ে থাকবেন। তাঁর মৃত্যুতে দেশ ও জাতি একজন বিশিষ্ট বুদ্ধিজীবী এবং পথপ্রদর্শককে হারালো।’

কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক শোকবার্তায় বলেন, এ দেশের শিক্ষা, সংস্কৃতি-সাহিত্যে এবং প্রগতিশীল আন্দোলনে তিনি ছিলেন উজ্জ্বল নক্ষত্র। তার মতো একজন প্রথিতযশা লেখক ও শিক্ষাবিদের মৃত্যু দেশ ও জাতির জন্য অপূরণীয় এক ক্ষতি।

বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেন, অধ্যাপক আনিসুজ্জামান ছিলেন একজন আলোকিত মানুষ। দেশে গুণগত শিক্ষার প্রসার ও জ্ঞানভিত্তিক সমাজ বিনির্মাণে তিনি অনবদ্য ভূমিকা রেখে গেছেন। তাঁর মতো একজন গুণী শিক্ষাবিদের মৃত্যুতে জাতির যে ক্ষতি হলো, তা সহজে পূরণ হওয়ার নয়।

মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক শোকবার্তায় বলেন, ‘ ড. আনিসুজ্জামানের মৃত্যুতে বাংলাদেশ তথা বাঙালি জাতি ‘জ্ঞানের বাতিঘর’ ও ‘শিক্ষা-সাহিত্যের অভিভাবক’কে হারালো। তাঁর মৃত্যু বাঙালি জাতির জন্য অপূরণীয় এক ক্ষতি। বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের ইতিহাস এবং শিক্ষা-সাহিত্যে ড. আনিসুজ্জামানের অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে।’
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী শ. ম. রেজাউল করিম শোকবার্তায় জানান, “দেশের শিক্ষাক্ষেত্রে ড. আনিসুজ্জামান ছিলেন এক উজ্জ্বল বাতিঘর। তাঁর মতো কিংবদন্তি শিক্ষাবিদের মৃত্যু দেশ ও জাতির জন্য অপূরণীয় ক্ষতি। তাঁর শূন্যস্থান পূরণ হওয়ার নয়। শিক্ষাক্ষেত্রে তাঁর অনবদ্য অবদান ও তাঁর বর্ণাঢ্য কর্মজীবন এ দেশের ইতিহাসে তাঁকে স্মরণীয় করে রাখবে।’

স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক শোকবার্তায় বলেন, ‘প্রফেসর আনিসুজ্জামান শিক্ষাক্ষেত্রে জাতির জন্য ছিলেন আশীর্বাদস্বরূপ। তিনি দুই বাংলার মানুষের কাছেই প্রিয়মুখ ছিলেন। তাঁর অসংখ্য শিক্ষার্থী দেশের পাশাপাশি গোটা পৃথিবীতেই ছড়িয়ে রয়েছে। তাঁর মতো একজন গুণী শিক্ষাবিদের মৃত্যুতে জাতির অপূরণীয় ক্ষতি হয়েছে। কোনও কিছুর বিনিময়েই এই ক্ষতি পূরণ হওয়ার নয়।’

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন জানান, ‘প্রফেসর আনিসুজ্জামান শিক্ষাক্ষেত্রে জাতির জন্য ছিলেন আশীর্বাদস্বরূপ। তাঁর অসংখ্য শিক্ষার্থী দেশের পাশাপাশি গোটা পৃথিবীতেই ছড়িয়ে রয়েছে। তাঁর মতো একজন গুণী শিক্ষাবিদের মৃত্যু জাতির জন্য অপূরণীয় ক্ষতি। কোনও কিছুর বিনিময়েই এই ক্ষতি পূরণ হওয়ার নয়।”

ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেন, ‘জাতীয় অধ্যাপক আনিসুজ্জামান ছিলেন একটি উজ্জ্বল নক্ষত্র। তার মৃত্যুতে জাতি এক অমূল্য রত্নকে হারালো। ৫২-এর বাংলা ভাষা আন্দোলন, ঊনসত্তরের গণআন্দোলন, একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধ, স্বাধীন বাংলাদেশের সংবিধান প্রণয়ন, বাংলা ভাষা ও সাহিত্যে তার অনুসন্ধানী গবেষণা এবং শিক্ষা বিস্তারে তার অবদান চিরদিন তার স্মৃতিকে স্মরণ করবে। তার মৃত্যুতে যে শূন্যতা সৃষ্টি হয়েছে তা কোনও দিনও পূরণ হওয়ার নয়। কম্পিউটারে বাংলা ভাষা প্রয়োগে আমার ব্যক্তিগত উদ্যোগকে উৎসাহিত করার পাশাপাশি আন্তর্জাতিকভাবে বাংলা ভাষার প্রাপ্য সম্মান আদায়ের লড়াইয়ে তিনি ছিলেন আপসহীন। ড. আনিসুজ্জামান তার কর্মের মাধ্যমে আমাদের মাঝে বেঁচে থাকবেন।

শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন শোকবার্তায় বলেন, প্রফেসর আনিসুজ্জামান ছিলেন একজন আলোকিত মানুষ। দেশে গুণগত শিক্ষার প্রসার ও জ্ঞানভিত্তিক সমাজ বিনির্মাণে তিনি অনবদ্য ভূমিকা রেখে গেছেন। তাঁর মতো একজন গুণী শিক্ষাবিদের মৃত্যুতে জাতির যে ক্ষতি হলো, তা সহজে পূরণ হওয়ার নয়।

প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমদ শোকবার্তায় বলেন, অধ্যাপক ড. আনিসুজ্জামান ভাষা আন্দোলন ও বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন। এছাড়াও তিনি দেশ ও জাতির যেকোনও ক্রান্তিলগ্নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। তার মৃত্যুতে দেশ একজন অভিভাবককে হারালো।

বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেন, ‘আমাদের ছেড়ে চলে গেলেন আরও একজন কিংবদন্তি। তিনি বলেন, আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধে ছিল আনিস স্যারের গৌরবময় ভূমিকা। মুজিবনগর সরকারের পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য হিসেবে কাজ করেছেন তিনি। আনিস স্যার ছিলেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ অনেক শিক্ষকেরও শিক্ষক। আনিস স্যারের মৃত্যুতে আমরা একজন অভিভাবককে হারালাম।’

তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসান বলেন, ‘বাঙালির জাতিসত্তার জাগরণ, সংগ্রামের সোপান ও বিনির্মাণে ড. আনিসুজ্জামান যে অবদান রেখে গেছেন তা সোনার হরফে লেখা থাকবে । প্রাজ্ঞিক দৃঢ়তা, রুচির শুদ্ধতা এবং মানবিক ঔদার্যের শিখায় আলোকিত সমাজ গঠনে নিরন্তর প্রয়াসের জন্য জাতি তাঁকে শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করবে।

শোকবার্তায় শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার বলেন, দেশে শিক্ষা, সাহিত্য, গবেষণায় জাতীয় অধ্যাপক আনিসুজ্জামান অসামান্য অবদানে রেখেছেন। দেশ ও জাতির জন্য তাঁর অবদান জাতি সবসময় শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করবে।

স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য্য শোকবার্তায় জানান, ‘দেশের শিক্ষাক্ষেত্রে ড. আনিসুজ্জামান ছিলেন এক উজ্জ্বল নক্ষত্র। তাঁর মতো কিংবদন্তি শিক্ষাবিদের মৃত্যু দেশ ও জাতির জন্য অপূরণীয় ক্ষতি। তাঁর শূন্যস্থান পূরণ হওয়ার নয়। শিক্ষাক্ষেত্রে তাঁর অনবদ্য অবদান ও বর্ণাঢ্য কর্মজীবন এ দেশের মানুষের জন্য অনুসরণীয় হয়ে থাকবে। দেশের প্রতিটি সংকটকালে তাঁর বক্তব্য, মন্তব্য এবং ভূমিকা দেশবাসীর জন্য দিকনির্দেশক হিসেবে কাজ করেছে।’

সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ শোকবার্তায় বলেন, ‘বাংলাদেশের শিক্ষা ও সংস্কৃতি ক্ষেত্রে প্রফেসর আনিসুজ্জামান ছিলেন এক উজ্জ্বল নক্ষত্র। অনাবিল সমাজহিতৈষী, গণতান্ত্রিক প্রগতিশীল চেতনা, সুশীল বুদ্ধিবৃত্তিক চর্চা ও ব্যক্তিগত মনীষা দিয়ে তিনি নিজেকে পরিণত করেছিলেন দেশের অগ্রগণ্য পুরুষে। দেশের ক্রান্তিলগ্নে তিনি জাতিকে সঠিক পথের দিশা দেখিয়েছেন বারবার। শিক্ষা ও সংস্কৃতি প্রসারে তাঁর রয়েছে অনবদ্য ভূমিকা। তাঁর মতো একজন গুণী শিক্ষাবিদের মৃত্যু দেশ ও জাতির জন্য এক অপূরণীয় ক্ষতি।’

এছাড়াও ড. আনিসুজ্জামানের মৃত্যুতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, বস্ত্র ও পাট বিষয়ক মন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রী ইয়াফেস ওসমান, সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী, নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, মহিলা ও শিশুবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা, শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান নওফেল গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেন।
উল্লেখ্য, জাতীয় অধ্যাপক আনিসুজ্জামান আজ বৃহস্পতিবার (১৪ মে) রাজধানীর সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে বিকাল ৪টা ৫৫ মিনিটে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮৩ বছর। তিনি দীর্ঘদিন ধরে ফুসফুসে সংক্রমণসহ বিভিন্ন জটিল রোগে ভুগছিলেন।

বাংলাদেশের প্রখ্যাত এই শিক্ষাবিদ ও লেখক ১৯৩৭ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি কলকাতার পশ্চিমবঙ্গের ২৪ পরগনা জেলার বসিরহাটে জন্মগ্রহণ করেন। স্কুলে থাকাবস্থাতেই ঢাকায় সপরিবারে চলে আসেন তিনি। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণকারী এই বিশিষ্ট লেখক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের অধ্যাপক হিসেবে তার কর্মজীবন শেষ করে অবসর জীবনযাপন করছিলেন। তিনি ভাষা আন্দোলন (১৯৫২), ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থান (১৯৬৯) ও ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন। এছাড়াও বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর ১৯৭২ সালে ড. কুদরাত-এ-খুদাকে প্রধান করে গঠিত জাতীয় শিক্ষা কমিশনের সদস্য ছিলেন। বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস নিয়ে তার গবেষণা বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। তিনি ২০১২ সাল থেকে মৃত্যুর আগ পর্যন্ত বাংলা একাডেমির সভাপতি ছিলেন। ২০১৮ সালের ১৯ জুন বাংলাদেশ সরকার তাকে জাতীয় অধ্যাপক হিসেবে নিয়োগ দিয়েছিল।

সোশ্যাল মিডিয়াতে শেয়ার করুন



Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *










Facebook

© ভয়েস অব বরিশাল কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed BY: AMS IT BD