বাংলাদেশে তিন করোনা রোগী শনাক্ত Latest Update News of Bangladesh

মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ০৭:১৯ অপরাহ্ন

বিজ্ঞপ্তি :
Latest Update Bangla News 24/7 আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি ভয়েস অব বরিশালকে জানাতে ই-মেইল করুন- inbox.voiceofbarishal@gmail.com অথবা hmhalelbsl@gmail.com আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।*** প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে!! বরিশাল বিভাগের সমস্ত জেলা,উপজেলা,বরিশাল মহানগরীর ৩০টি ওয়ার্ড ও ক্যাম্পাসে প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে! ফোন: ০১৭৬৩৬৫৩২৮৩
সংবাদ শিরোনাম:




বাংলাদেশে তিন করোনা রোগী শনাক্ত

বাংলাদেশে তিন করোনা রোগী শনাক্ত




ভয়েস অব বরিশাল ডেস্ক॥ বাংলাদেশে তিন করোনা রোগী শনাক্ত করা হয়েছে। এদের মধ্যে দু’জন পুরুষ, একজন নারী। তারা তিনজনই বাংলাদেশি। জানা যায়, আক্রান্ত দু’জন ইতালির দুটি শহর থেকে সম্প্রতি দেশে ফিরেছেন। আর তাদের সাথে থেকে তৃতীয়জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। আক্রান্ত সবাই একই পরিবারের সদস্য। আইইডিসিআরের পরিচালক মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা রোববার দুপুরে জানান, আক্রান্তদের মধ্যে দু’জন পুরুষ, একজন নারী। তারা তিনজনই বাংলাদেশি। এদের মধ্যে দু’জন ইতালির দুটি শহর থেকে সম্প্রতি দেশে ফিরেছেন। এদের মধ্যে একজনের সংস্পর্শে আসায় পরিবারের আরেক সদস্য আক্রান্ত হয়েছেন।

মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা বলেন, ‘তাদের সবার অবস্থাই স্থিতিশীল। তিনজনকেই হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। বাংলাদেশে করোনা ছড়িয়ে পড়ার মতো কোনো পরিস্থিতি হয়নি। স্কুল-কলেজ বন্ধ করে দেওয়ার মতো পরিস্থিতি হয়নি।’

ওই তিনজনের সংক্রমণের বিষয়ে শনিবার নিশ্চিত হওয়ার কথা জানিয়ে অধ্যাপক ফ্লোরা বলেন, ‘দুজন দেশে আসার পর তাদের উপসর্গ দেখা দেয়। আমাদের হটলাইনে ফোন দিলে আমরা তাদের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষাগারে পাঠাই। সেখানে দুজনের পজেটিভ আসে। তাদের কন্টাক্টে থাকা চারজনকে পরীক্ষা করেছি। একজন পজেটিভ। বাকিরা নেগেটিভ এসেছে।’

সেব্রিনা বলেন, ‘আশঙ্কা করছি না আরও ছড়িয়ে পড়বে। প্রত্যেকের মাস্ক পরে ঘুরে বেড়ানোর কোনো দরকার নেই।’ এদিকে করোনায় আক্রান্তদের এদের বয়স বিশ থেকে পয়ত্রিশ বছরের মধ্যে বলে জানা গেছে। বাংলাদেশের সকল বাসিন্দাকে বিশেষভাবে সতর্ক থাকার জন্য পরামর্শ দেয়া হয়েছে।

গত বছরের ডিসেম্বর মাসে চীনের হুবেই প্রদেশের উহানে উৎপত্তি হয় করোনাভাইরাসের। পরে চীনের অন্যান্য প্রদেশ এবং বিশ্বের নানা দেশে ছড়িয়ে পড়ে। এর আগে ভারত ও পাকিস্তানেও করোনায় আক্রান্ত রোগী পাওয়া যায়। কিন্তু বাংলাদেশে রোগী শনাক্ত হওয়ার ঘটনা এই প্রথম।

করোনাভাইরাসে মৃতের সংখ্যা বাড়ছেই। এখন পর্যন্ত ১ লাখ ৬ হাজার ১৯৫ জন এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে। প্রাণঘাতী এই ভাইরাসে মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩ হাজার ৬শ জনে। এছাড়া এই ভাইরাসে আক্রান্ত ৬০ হাজার ১৯০ জন চিকিৎসা শেষে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছে। বিশ্বব্যাপী ১০৩টি দেশ ও অঞ্চলে এই ভাইরাসের প্রকোপ ছড়িয়ে পড়েছে।

শুধুমাত্র চীনের মূল ভূখণ্ডেই করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ৮০ হাজার ৬৯৬ এবং মৃত্যু হয়েছে ৩ হাজার ৯৭ জনের। চীনের পর করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি দক্ষিণ কোরিয়ায়। দেশটিতে এই ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ৭ হাজার ১৩৪ এবং মৃত্যু হয়েছে ৫০ জনের।

চীনের বাইরে সবচেয়ে বেশি মৃত্যুর ঘটনা ইতালিতে। সেখানে আক্রান্তের সংখ্যা ৫ হাজার ৮৮৩ এবং মৃত্যু হয়েছে ২৩৩ জনের। অপরদিকে, ইরানে এখন পর্যন্ত ৫ হাজার ৮২৩ জন এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে এবং মারা গেছে ১৪৫ জন।

জাপানে নোঙ্গর করা প্রমোদতরী ডায়মন্ড প্রিন্সেসের ৬৯৬ যাত্রী এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে এবং মৃত্যু হয়েছে ছয়জনের। জার্মানিতে এই ভাইরাসে ৮শ জন আক্রান্ত হয়েছে। ফ্রান্সে ৯৪৯ জন আক্রান্ত হয়েছে এবং মারা গেছে ১৬ জন। জাপানে আক্রান্ত হয়েছে ৪৬১ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ৬ জনের।

স্পেনে আক্রান্ত ৫২৫ এবং মৃত্যু হয়েছে ১০ জনের, যুক্তরাষ্ট্রে আক্রান্ত ৪৩৮, মৃত্যু ১৯। সুইজারল্যান্ডে আক্রান্ত ২৬৮ এবং মারা গেছে ১ জন, যুক্তরাজ্যে আক্রান্ত ২০৯ মৃত্যু ২। ইরাকে আক্রান্ত ৫৪, মৃত্যু ৪। ভারতে ৩৪ জন আক্রান্ত হয়েছে। তবে দেশটিতে এখন পর্যন্ত এই ভাইরাসে আক্রান্ত কোনো রোগীর প্রাণহানি ঘটেনি।

এছাড়া, সুইডেন আক্রান্ত ১৬১, সিঙ্গাপুরে ১৩৮, নেদারল্যান্ডসে আক্রান্ত ১২৮ এবং মৃত্যু ১, নরওয়েতে আক্রান্ত ১২৭, বেলজিয়ামে ১০৯, হংকংয়ে ১০৮, মালয়েশিয়ায় ৯৩, অস্ট্রিয়ায় ৮১, অস্ট্রেলিয়ায় আক্রান্ত ৭৭, মৃত্যু ৩, বাহরাইনে ৮৫, কুয়েতে ৬১, কানাডায় ৬০, থাইল্যান্ডে ৫০ এবং মৃত্যু ১, তাইওয়ানে আক্রান্ত ৪৫ এবং মৃত্যু ১, গ্রিসে ৬৬, আমিরাতে ৪৫, আইসল্যান্ডে ৫০, সান মারিনোতে ২৬ জন আক্রান্ত এবং মৃত্যু ১, ডেনমার্কে আক্রান্ত ২৭, লেবাননে ২৮, ইসরাইলে ২৫, চেক রিপাবলিকে ২৬, আয়ারল্যান্ডে ১৯, আলজেরিয়াতে ১৯, মিসরে ৪৮ এবং ভিয়েতনামে ১৭ জন এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে।

অপরদিকে, ওমানে ১৬, ফিলিস্তিনে ১৯, মিসরে ১৫, ফিনল্যান্ডে ১৯, ব্রাজিলে ১৯, ইকুয়েডরে ১৪, পর্তুগালে ১৩, রাশিয়াতে ১৫, ক্রোয়েশিয়ায় ১২, কাতারে ১২, ম্যাকাউতে ১০, এস্তোনিয়ায় ১০, জর্জিয়ায় ১৩, রোমানিয়ায় ১৩, আর্জেন্টিনায় ৯, স্লোভেনিয়ায় ১২, আজারবাইজানে ৯, বেলারুশে ৬, মেক্সিকোতে ৭, পাকিস্তানে ৬, ফিলিপাইনে আক্রান্ত ৬ এবং মৃত্যু ১, সৌদি আরবে ৭, চিলিতে ৭, পোল্যান্ডে ৬, স্লোভাকিয়ায় ৩, পেরু ৬, ইন্দোনেশিয়ায় ৪, নিউজিল্যান্ডে ৫, সেনেগালে ৪ ও হাঙ্গেরিতে ৫ জন আক্রান্ত হয়েছেন।

এছাড়া লুক্সেমবার্গে ৩, উত্তর মেসিডোনিয়ায় ৩, বসনিয়ায় ৩, ডোমিনিক প্রজাতন্ত্রে ২, মরক্কোতে ২, আফগানিস্তান ৪, কম্বোডিয়া ২, বুলগেরিয়া ২, ক্যামেরুন ২, মালদ্বীপ ২, দক্ষিণ আফ্রিকা ২ জন এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে। অপরদিকে, আন্দোরা, আর্মেনিয়া, জর্ডান, লাটভিয়া, লিথুনিয়া, মোনাকো, নেপাল, নাইজেরিয়া, শ্রীলঙ্কা, তিউনিসিয়া, ইউক্রেন, ভুটান, কোস্টারিকা, ভ্যাটিকান সিটি, গিব্রালটার, সার্বিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা এবং টোগোতে একজন করে এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) এই ভাইরাসের সংক্রমণকে বৈশ্বিক স্বাস্থ্যবিষয়ক জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছে। বছরের এই সময়ে অনেকেই বেড়াতে বের হন। ব্যবসা ও পড়াশোনার কাজেও অনেককে দেশের বাইরে যেতে হয়। অনেকে আকাশ পরিবহনে ও বিমানবন্দরে চাকরি করেন। কাজেই করোনাভাইরাস নিয়ে এমন ব্যক্তি ও তাদের পরিবারের উদ্বেগ থাকাটাই স্বাভাবিক। কিছু বিষয়ে সচেতন থাকলে সহজেই এই ভাইরাসের সংক্রমণ এড়ানো যায়।

# প্রথম কথা হলো, যত দিন করোনাভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে না আসে, তত দিন চীন, বিশেষ করে দেশটির হুবেই প্রদেশের উহান শহর ভ্রমণ না করাই ভালো।

# বাইরে যেকোনো জায়গায় রেলিং, দরজার নব, গেট, হাতল, কম্পিউটারের মাউস, টাকা, পাসপোর্ট ইত্যাদি স্পর্শ করার পরপরই হাত ধুয়ে ফেলতে হবে। তবে সব জায়গায় সাবান-পানি পাওয়া যায় না। তাই ব্যাগে বা পকেটে হ্যান্ড স্যানিটাইজার রাখুন। চোখ, নাক ও মুখে হাত বা আঙুল লাগানো থেকে বিরত থাকুন।

# জ্বর-কাশি থাকলে ভ্রমণ বাতিলের চেষ্টা করুন। ভ্রমণরত অবস্থায় এই দুই উপসর্গের সঙ্গে শ্বাসকষ্ট শুরু হলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হোন। চীন বা অন্য আক্রান্ত এলাকায় সম্প্রতি সফর করে থাকলে তা চিকিৎসককে জানান।

# যেকোনো জ্বর-কাশির রোগী থেকে অন্তত ৬ ফুট দূরে থাকার চেষ্টা করতে হবে। প্রয়োজনে মাস্ক ব্যবহার করতে হবে। বিশেষ করে বিমানবন্দরের কর্মীদের মাস্ক ব্যবহার করা এখন অপরিহার্য।

# হাঁচি-কাশি এলে কনুইয়ের ভাঁজে নাক, মুখ গুঁজে দিন। টিস্যু পেপার ব্যবহার করে সঙ্গে সঙ্গে তা নিরাপদ জায়গায় বা বিনে ফেলতে হবে।

# মাস্ক ব্যবহার করলে খেয়াল রাখতে হবে যেন নাক-মুখ ঢাকা থাকে। একবার ব্যবহার্য মাস্ক নিরাপদ জায়গায় ফেলে হাত ধুয়ে ফেলতে হবে।

# খাবার ভালোভাবে রান্না করে খেতে হবে।

# যেখানে-সেখানে থুতু ফেলা যাবে না।

# পশুপাখি সঙ্গে নিয়ে ভ্রমণ নিরাপদ নয়। পশুপাখির খামারে যেতে হলে সুরক্ষামূলক গ্লাভস, মাস্ক ও গাউন পরতে হবে।

# হোটেলে খাবার টেবিল, ট্রে, ওয়াশ রুম পরিষ্কার ও পরিশোধিত কি না, তা আগে নিশ্চিত হয়ে নিতে হবে। বেয়ারাকে হাত পরিষ্কার করে পরিবেশন করতে বলুন।

# সারিতে দাঁড়াতে হলে নিজের সুরক্ষার ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে।

# ভ্রমণের পর ১৪ দিন পর্যন্ত সতর্ক থাকতে হবে। এ সময় লোকসমাগমে না যাওয়াই ভালো।

সোশ্যাল মিডিয়াতে শেয়ার করুন



Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *










Facebook

© ভয়েস অব বরিশাল কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed BY: AMS IT BD