রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১১:৩৫ পূর্বাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদক॥ বরিশালে সুরভী লঞ্চের কেবিন থেকে নারী গার্মেন্টসকর্মীর লাশ উদ্ধারের দুই দিনের মাথায় রহস্য উন্মোচনে সফল হয়েছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। নারীর হন্তারককে পিরোজুপর থেকে গ্রেপ্তারে করে পুরো বিষয়টি সামনে নিয়ে এসেছে এলিট ফোর্স।
গ্রেপ্তার ব্যক্তির নাম সুমন (৩৫)। পিরোজপুরের ভান্ডারিয়া উপজেলার নকবুল্লা গ্রামের মানিক সিপাহীর ছেলে সুমন রাজধানী ঢাকা সদরঘাটের ফল বিক্রেতা।
তাকে গ্রেপ্তারের পরে সোমবার বেলা ১টার দিকে বরিশালের রুপাতলীস্থ র্যাব সদর দপ্তরে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে খুনের ঘটনাটি বর্ণনা দিয়েছেন কর্মকর্তারা।
র্যাব কর্মকর্তারা জানিয়েছে- গ্রেপ্তার সুমন এবং নিহত গার্মেন্টসকর্মী শারমিন আক্তার আঁখির মোবাইল ফোনের পরিচয়ের সূত্র ধরে প্রেমের সম্পর্ক ছিল। উভয়ের সংসার সন্তান থাকলেও তারা পরিচয় গোপন রেখে পরকীয়া প্রেম চালিয়ে আসছিলেন।
গত শক্রবার প্রেমিক আঁখি আক্তারকে নিয়ে ঢাকা সদরঘাট থেকে এমভি সুরভী লঞ্চের নিচ তলার স্টাফ কেবিনে ওঠেন ফল বিক্রেতা সুমন। রাত ১১টার দিকে সে অনৈতিক প্রস্তাব দিলে বিবাহের আগে এতে সম্মত নন বলে জানিয়ে দেন আঁখি।
এতে ক্ষুব্ধ হয়ে রাতে কেবিনের ভেতরে গলাটিপে শ্বাসরোধ করে গার্মেন্টসকর্মীকে হত্যা করে এবং লঞ্চটি খুব শনিবার সকালে বরিশাল নৌবন্দরে এসে পৌছলে কৌশলে পালিয়ে যান সুমন।
সকালে বরিশাল পুলিশ নারীর লাশ উদ্ধারের পরে এই ঘটনায় আসামিদের অজ্ঞাত দেখিয়ে কোতয়ালি মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়।
বরিশাল র্যাবের উপ-অধিনায়ক মেজর সজিবুল ইসলাম জানান, তথ্যপ্রযুক্তির মাধ্যমে নিশ্চিত হয়ে খুনি সুমনকে রোববার রাতে গ্রামের বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করেন। পরবর্তীতে বিস্তার জিজ্ঞাসাবাদে সে গার্মেন্টসকর্মীকে শ্বাসরোধ করে খুনের বিষয়টি স্বীকার করেছে।
পরে কোতয়ালি মডেল থানায় দায়ের করা মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানান এই র্যাব কর্মকর্তা।
Leave a Reply