রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৭:১৭ পূর্বাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদক: বরিশাল নগরীর ২১ নং ওয়ার্ড হাতেম আলী কলেজ চৌমাথা এলাকায় মাদক বিক্রিতে বাধা দেয়ায় বরিশাল মহানগর ছাত্রলীগ এবং ২১ নং ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি সৈয়দ নির্জন (২৫)কে কুপিয়ে গুরুতর আহত করা হয়েছে। চাপাতি ও দা দিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে নির্জনের শরীর ও মাথায় এলোপাতাড়ি ভাবে বেশ কয়েকটি আঘাত করা হয়েছে।
এতে তার মাথায় ১৮টি সেলাই লেগেছে। এছাড়াও তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত প্রাপ্ত হয়ে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। হাসপাতালে আহত নির্জনের পরিবারের সাথে কথা বললে তারা জানান, নির্জন প্রতিদিনের মতোই হাতেম আলী কলেজ ক্যাম্পাসে পড়াশোনা ও অবসর সময় পার করে।কলেজের ভিতর বহিরাগত কিছু ছেলেরা এসে মাদকের আখরা তৈরী করতে চেয়েছিল।
এবং মাঝে মাঝে সন্ধ্যার পরে তারা কলেজের মধ্যে মাদক সেবনের একটি স্থান করে নিয়েছিল,এবং বিভিন্ন এলাকার মাদক সেবনকারীরা এখানে এসে মাদক ক্রয় করতো। এইসব বিষয় নির্জন জানতে পেরে তাদের বেশ কয়েকবার নিষেধ করে। কিন্তু তারা তাদের মাদক ব্যাবসা চালিয়ে যাচ্ছিল। একপর্যায়ে নির্জন তাদের পূনরায় মাদক ব্যাবসা বন্ধ করতে বললে তারা সংজ্ঞবদ্ধ হয়ে নির্জনের উপর হামলার পরিকল্পনা করতে থাকে। গত ৩০শে এপ্রিল সন্ধ্যার পরে নির্জন যখন বাসা থেকে গোরস্থান রোড ২১নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর কার্যালয়ের দিকে যাওয়ার পথে তারা নির্জনকে হত্যার উদ্দেশ্যে অতর্কিত হামলা চালায়।
একপর্যায়ে স্থানীয় জনতার ধাওয়া খেয়ে হামলাকারীরা নির্জনকে ফেলে রেখে সেখান থেকে চলে যায়। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে। নির্জনের পরিবার আরো জানায়, নির্জনকে হত্যার উদ্দ্যেশ্যে যে হামলা করা হয়েছে তার প্রেক্ষিতে বরিশাল আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন।
বরিশাল মহানগর ছাত্রলীগ নেতা এবিষয়ে মন্তব্য করে বলেন, ঘটনাটি মাদকের সাথে সম্পৃক্ত নেই। নির্জন ও রাকিব দুজনই খুব ভালো বন্ধু ছিলো হঠাত করে এরকম কি হয়েছে তা আমার জানা নেই। তবে বিষয়টি সমাধানের জন্য ২১ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মান্না ভাই দুজনকেই ডেকেছিলেন।তিনি আরো বলেন, সম্পূর্ণ ঘটনাটি কাউন্সিলর মান্না ভাইয়ের অফিসের সিসি ফুটেজে রয়েছে বলে জানান তিনি।
এ বিষয়ে ২১ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর সাঈদ আহমেদ মান্নার বক্তব্যের জন্য ফোন দিলে তার নাম্বার বন্ধ পাওয়া যায় ।
এ বিষয়ে কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি মোঃ নুরুল ইসলাম বলেন, ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থল ও বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে গিয়ে আহতের স্বজনদের সঙ্গে পুলিশ সদস্যরা কথা বলেছেন, হামলাকারীদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলমান রয়েছে।
Leave a Reply