শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০২:৫১ অপরাহ্ন
ইমতিয়াজুর রহমান।।জাতীয় নির্বাচনের পর আগামী মার্চ মাসে দেশব্যাপী উপজেলা নির্বাচনের আলোচনা এখন সবখানে। সেই আলোচনায় পিছিয়ে নেই দ্বীপ জেলা ভোলাতেও । উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের দিনক্ষণ এখনো ঠিক না হলেও নির্বাচনকে কেন্দ্র করে চায়ের কাপে যেন নির্বাচনী আলোচনার ঝড় উঠেছে। কে হচ্ছেন ভোলা সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান প্রার্থী তা চুড়ান্ত না হলেও চেয়ারম্যান পদে সাম্ভব্য প্রার্থীরা ইতমধ্যে তোড়জোর শুরু করে দিয়েছেন।
প্রার্থী হতে রাজনৈতিক মাঠে নিজেদের দক্ষতা ও যোগ্যতাকে গুরুত্ব দিচ্ছেন কেউ কেউ। প্রার্থী হিসাবে যাদের নাম শোনা যাচ্ছে তাদের মধ্যে জেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সম্পাদক এনামুল হক আরজু অন্যতম।
তৃর্নমুলের রাজনীতি থেকে উঠে আশা এ নেতা ভোলা সদর আসনের সংসদ সদস্য তোফায়েল আহমেদ এর একজন আদর্শবান কর্মী হিসাবে সর্বমহলে বেশ পরিচিত। রাজনীতিতে তার যেমনি সফলতা রয়েছে ঠিক তেমনি রয়েছে সুনামও।
বর্ষিয়ান নেতা তোফায়েল আহমদের হাত ধরে ১৯৯১ সালে রাজনীতিতে আসেন এনামুল হক আরজু। এরপরে তিনি ছাত্রলীগ, যুবলীগ,স্বেচ্ছসেবকলীগ ও জেলা আওয়ামীলীগের বিভিন্ন পদে ছিলেন। রাজনীতি করতে গিয়ে একাধিকবার বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের হামলা, মামলা, নির্যাতন এবং কারাবাস করতে হয়েছে।
এনামুল হক আরজু ৯২-৯৩ সালেল দিকে জেলা ছাত্রলীগের আহবায়ক ছিলেন। এরপর তিনি ৯৫-৯৬ সালে ছাত্রলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি ছিলেন। পরে জেলা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এবং কিছুদিনর জন্য যুবলীগের সাধারন সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন।২০১৪ সালের দিকে জেলা যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক ছিলেন পরে তিনি স্বেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি হন।
২০১৬ সালের দিকে তিনি জেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সম্পাদক হিসাবে দায়িত্ব পান। ২৮ বছরের রাজনৈনিক ক্যারিয়ারে সফলভাবে প্রতিটি পদে দায়িত্ব পালন করেন তিনি।জেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সম্পাদক এনামুল হক আরজু বলেন, আমাদের নেতা তোফায়েল আহমদের হাত ধরে আমি রাজনীতিতে এসেছি, তিনি যদি আমাকে যোগ্য মনে করেন তাহলে আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আমি সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হবো।
তোফায়েল আহমেদের নির্দেশে কাজ করবো। আমার রাজনীতির জীবনে তার নিদের্শ ছাড়া আমি একটি সেকেন্ডও চলিনি।
এনামুল হক আরজু আরো বলেন, রাজনীতি করতে গিয়ে রাজনৈতিক প্রতিহিংশার একাধিক মিথ্যা মামলা মামলা স্বীকার হয়েছি। এছাড়াও যৌথ জিজ্ঞাসাবাদ সেলে নির্যাতনের স্বীকার হই।
তখন (২০০২ সালের দিকে) চোখ বেধে আমাকে নির্যাতন করা হয়। তখন বেচেঁ ফিরতে পারবো কিনা তা নিয়েও ছিলো সংশয়।
এদিকে দল থেকে মনোনয়ন পেলে নিজের যোগ্যতাকে কাজে লাগিয়ে তৃর্নমূল নিয়ে কাজ করার আগ্রহ রয়েছে বলেও জানান আরজু । তিনি বলেন, ভোলা সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হতে চাই। দল যদি আমাকে যোগ্য মনে করে তাহলে জনকণ্যানে কাজ করবো। দলের জন্য নিবেদিত কাজ করে যাবো।
অপরদিকে চুড়ান্তভাবে কে হচ্ছেন ভোলা সদর উপজেলা পরিষদে চেয়ারম্যান পদের প্রার্থী সে দিকে তাকিয়ে আছেন সদর উপজেলার ভোটাররা। উল্লেখ্য, ১৩টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভা নিয়ে গঠিত ভোলা সদর উপজেলায় ৩লাখ ৯৯ হাজার ২৪ জন। এদের মধ্যে পুরুষ ভোটার ১ লাখ ৮০ হাজার ৪৬ জন এবং নারী ভোটার ১ লাখ ৫৮ হাজার ৭৮ জন। এখানে নতুন ভোটার বেড়েছে ৪৪ হাজার ৭৭২জন।
Leave a Reply