মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ০৬:৩৭ অপরাহ্ন
ভয়েস অব বরিশাল ডেস্ক॥ পরাধীন বাঙালির বুকে মুক্তির মন্ত্র গেঁথে দিয়েছিলেন। তিনি বলেছিলেন, বাংলার মানুষ হাসবে, বাংলার মানুষ খেলবে, বাংলার মানুষ মুক্ত হয়ে বাস করবে, বাংলার মানুষ পেট ভরে ভাত খাবে- এই আমার সাধনা, এই আমার জীবনের কাম্য। স্বপ্নের স্বাধীন সোনার বাংলায় শ্রদ্ধা ও ভালোবাসায় স্মরণে মুক্তির মহানায়ক। ওপারে ভালো থাকুন প্রিয় বঙ্গবন্ধু। জন্মশতবর্ষে বাংলার মানুষের ভালোবাসা আমরণ। ক্ষণজন্মা এ নেতার জন্মদিনে শ্রদ্ধা ও ভালোবাসার মিছিলে সামিল হয়েছে ভয়েস অব বরিশাল পরিবার।
একশ বছর আগে আজকের এই দিনে (১৯২০ সালের ১৭ মার্চ) গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় জন্মগ্রহণ করেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তিনি বাঙালি জাতির পিতা, স্বাধীন বাংলার স্থপতি। তার কাছে চিরঋণী লাল সবুজের এই পতাকা। জন্মদিনে দেশের প্রতিটি প্রান্ত থেকে দেশের কোটি মানুষের ভালোবাসায় বঙ্গবন্ধু। বছর জুড়ে থাকছে মুজিববর্ষের আয়োজন। জন্মশতবর্ষকে স্মরণীয় করতে মুজিববর্ষের আয়োজন বিশ্ব দরবারেও অনন্য স্থান করে নিয়েছে। মুক্তির জন্য মহানায়কের জন্ম : ২০ থেকে প্রস্থান, জীবনের খণ্ডচিত্রে লড়াই সংগ্রামে বাঙালির মহানায়ক হয়ে ওঠেন বঙ্গবন্ধু। ২৩ বছর বয়সে ১৯৪৩ সালে তৎকালীন পূর্ব বাংলায় প্রাদেশিক মুসলিম লীগের কাউন্সিলর হন শেখ মুজিব। সময়ের চক্রে ৪৮-এ রাষ্ট্রভাষা বাংলার দাবিতে ধর্মঘটে গ্রেফতার হন তিনি। এরপর থেকেই পথে ফেরে আলো, পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী মুসলিম লীগের যুগ্ম সম্পাদক ও সাধারণ সম্পাদক হন তিনি।
৬৬তে আওয়ামী মুসলীম লীগের সভাপতি হন বঙ্গবন্ধু। উত্থাপন করেন বাঙালির মুক্তির দাবি ছয় দফা। এরপরই পাক শাসকদের চক্ষুশূলে পরিণত হন মুজিব। ৬৮তে আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলার এক নম্বর আসামি করা হয় তাকে। ৬৯-এ বাংলার মানুষের গণ প্রতিরোধের মুখে শেখ মুজিবকে মুক্তি দিতে বাধ্য হয় পাক শাসক গোষ্ঠী। মুক্ত হয়েই বাংলায় বঙ্গবন্ধু’ উপাধিতে ভূষিত হন শেখ মুজিব। সেখান থেকেই দেন আলাদা রাষ্ট্র গঠনের ডাক। ৭১-এ ৭ মার্চ বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতার ঘোষণার পরই মুক্তির সংগ্রামে রণাঙ্গনে ঝাঁপিয়ে পড়ে বাংলার মানুষ। লাখো শহীদের বুকের তাজা রক্তের বিনিময়ে ও মা-বোনের সম্মান বিসর্জনে বিশ্ব মানচিত্রে স্থান করে নেয় স্বাধীন ও সার্বভৌম বাংলাদেশ। ৭২-এ পরাজিত পাকিস্তান কারাগার থেকে বঙ্গবন্ধুকে মুক্তি দিয়ে বাংলার বুকে ফিরিয়ে দিতে বাধ্য হয়। ৭৩-এ স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম জাতীয় নির্বাচনে জয়ী হয়ে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে সরকার গঠন করে।
এরপরই তার স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার কাজ শুরু করেন তিনি। স্বল্প সময়ের মধ্যে যুদ্ধবিধ্বস্ত একটি দেশে সংবিধান উপহার দেন জাতির পিতা। বিশ্বের কাছে হাত না পেতে নিজেদের সক্ষমতাকে কাজে লাগিয়ে বাংলার মানুষের ভাগ্য বদলে কাজ শুরু করেন শেখ মুজিবুর রহমান। সে পথ আর দীর্ঘ হয়নি কিছু বিপথগামী সেনা সদস্যের জন্য। ৭৫-এ সেই কালো রাতে বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করে সদ্য স্বাধীন বাংলার মানুষের ভাগ্য কেড়ে নেওয়া হয়। স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীলগ্নে বাংলার মানুষ আজো মনে রেখেছে তাদের অবিসংবাদিত নেতাকে। কালের আবর্তে মানুষের মনে মহানায়করা জন্ম জন্মান্তর মৃত্যুঞ্জয়ী।
Leave a Reply