বুধবার, ০৮ জানুয়ারী ২০২৫, ০২:৩৮ পূর্বাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টার : বরিশাল সদর উপজেলার শায়েস্তাবাদ ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ডে বেড়িবাঁধে পানি উন্নয়ন বোর্ডের অবহিত ছারাই কালবার্ট নির্মান।হটাৎ বেড়িবাঁধে কোন পরিকল্পনা ছাড়াই এ কালবার্ড দেয়ায় পানিবন্ধী হয়ে পরেছে প্রায় পাচ শতাধিক পরিবার।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়,কোন সুইচিং পদ্ধতি ছারাই বেড়িবাঁধে কার্পেটিং রাস্তা টিকানোর কথা বলে কালবার্ট করেন এলজিইডি।যার ফলে বেড়িবাঁধের প্রায় পাচ শতাধিক পরিবার পানিবন্ধি হয়ে পরে ।এছারাও ফসলী জমিসহ মাছচাষীদের পরতে হচ্ছে চরম দূর্ভোগে।জানা যায়,অতিরিক্ত পানি বেড়ে যাওয়ায় লাখ-লাখ টাকার মাছ চলে যায় একাধিক মাছচাষীর।বটতলা থেকে হাওলাদার বাড়ি পর্যন্ত এক কিলো কার্পেটিং রাস্তা হয় কিছুদিন আগে।বেড়িবাঁধে রাস্তা নির্মানের সাথে কালবার্টো করা হয়,অথচ পানি থেকে রক্ষার জন্য এ বেড়িবাঁধ।বেড়িবাঁধে কোন পরিকল্পনা ছারাই এরকম কালবার্ট দেয়ায় এলাকাবাসীর মধ্যে চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে বলে জানা যায়।
স্থানীয় বাসিন্দা মাছচাষী খোকন হাওলাদার জানায়,বেড়িবাঁধে কালবার্ট দেয়ায় পানিতে আমার প্রায় দুই লক্ষ টাকার মাছ চলে গেছে।কৃষক কালাম মিয়া জানায়,কালবার্ট দিয়ে পানি আসায় ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে।এরকম অবস্থা থাকলে আমাদের পথে বসতে হবে।এছারাও স্থানীয় পানিবন্ধী একাধিক পরিবারের লোকজন জানায়,কোন পরিকল্পনা ছারাই বেড়িবাঁধে এ কালবার্ট দেয়ায় আমাদের পানিবন্ধী হতে হচ্ছে।স্থানীয় প্রশাসনের কাছে একটাই দাবী যে কোন উপায়ে আমাদের পানি থেকে মুক্ত করনে কোন পদক্ষেপ নিবেন।
এ বিষয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আবু সাঈদ জানায়,বেড়িবাধে কোন কালবার্ট করার নিয়ম নেই।যদি প্রয়োজন পরে সুইচিং সিস্টেম করতে হবে।তবে এলজিইডি রাস্তা নির্মানের সময় কালবার্ট নির্মান করবে,এ বিষয় আমাদের কিছু জানায়নি এবং আমরা এ বিষয়ে অবগত ছিলাম না। আমি লোক পাঠিয়ে বিস্তারিত জেনে পদক্ষেপ গ্রহন করবো।
এ বিষয়ে এলজিইডি সদর উপজেলা নির্বাহী প্রকৌশলী সৈয়দ মাইনুল হাছান জানায়,আমরা রাস্তা করার সময় জেনেছি আগে কালবার্ট ছিলো এছারা তখন এলাকার কেউ আমাদের বলেনি।এ বিষয়ে আমি আমার স্যারের সাথে কথা বলবো।বরিশাল সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার হুমায়ুন কবির জানায়,আমি এ বিষয়ে অবগত নই।বিস্তারিত জেনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
Leave a Reply