সোমবার, ৩০ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০:৫৯ অপরাহ্ন
ধর্ম ডেস্ক: পবিত্র মাহে রমজানের সওগাতঃ রমজান মাস হচ্ছে রিজিক বৃদ্ধির মাস। মহানবী (স:) ইরশাদ করেন- যে ব্যক্তি এ মাসে কোন রোজাদারকে ইফতার করাবে, তার সকল পাপ ক্ষমা করা হবে। সে জাহান্নাম থেকে মুক্তি পাবে। পরন্তু সে ঐ রোজাদারের সমান সোয়াব পাবে। কিন্তু সিয়াম পালনকারীর সোয়াব মোটেই কমানো হবে না। তখন সাহাবাগণ বললেন হে আল্লাহর রাসূল (সা:) আমাদের মধ্যে সবারই তো এমন কিছু সামর্থ্য নেই যা দিয়ে রোজাদারকে ইফতার করাবো? জবাবে, রাসূলে খোদা (স:) বললেন আল্লাহ তায়ালা অনরূপ সেই ব্যক্তিকে প্রদান করবেন যে ব্যক্তি শুধু এক পেয়ালা দুধ অথবা একটি খেজুর কিংবা সামান্য পরিমান পানি দিয়ে কোন রোজাদারকে ইফতার করাবে। আর কোন ব্যক্তি যদি রোজাদারকে তৃপ্তি সহকারে আহার করায়, মহান আল্লাহ তাকে আমার হাউজে কাউসার থেকে এমন সরবত পান করাবেন যে, জান্নাতে প্রবেশ না করা পর্যন্ত সে পিপাশার্ত হবে না।
পবিত্র মাহে রমজানে যে ব্যক্তি রোজা আদায়ের সুবিধার্থে তার চাকরের শ্রম লাঘব করবে আল্লাহ তায়ালা তাকে ক্ষমা করবেন এবং জাহান্নামের অগ্নি থেকে মুক্তি দেবেন।
বিজ্ঞানের দৃষ্টিতে রোজা: মহানবী (সা:) ইরশাদ করেছেন- রোজা ঢাল স্বরূপ অথাৎ জাহান্নাম হতে রক্ষাকারী (বুখারী ও মুসলিম)
চিকিৎসা বিজ্ঞানীরা গবেষনা করার পর রোজা কোন কোন ক্ষেত্রে ঢালের ন্যয় কাজ করেছে তার কয়েকটি উদাহরন দেয়া গেল- রোজা রোগের প্রতিষেধক, রোগ নিরাময়ের যতগুলো প্রতিকার এবং প্রতিষেধক আছে তার মধ্যে সবচেয়ে শক্তিশালী এবং ফলপ্রদ। সমস্ত শরীরে সারা বছর যে জৈব বিষ জমা হয় (toxin) এক মাসের রোজার ফলে সেই জৈব বিষ দূরীভূত (Detoxicati) হয়ে যায়।
চিকিৎসা শাস্ত্রের জনক ডা: হিপপোক্রাটস বহু শতাব্দী পূর্বে বলেছেন- The more you nourish a diseased body the worse you make it. অথাৎ অসুস্থ দেহে যতই খাবার দেখে ততই রোগ বাড়তে থাকবে।
৪র্থ তারাবিহতেঃ কালামে পাক থেকে যা তেলাওয়াত করা হয়েছে ৫ম পারার শেষার্ধ সূরা আন নিসার ৮৮ আয়াত থেকে ৬ষ্ঠ পারার শেষার্ধ সূরা আল মায়িদার ২৩ আয়াত পযন্ত।
উপরোল্লিখিত বিষয়ের খুবই সংক্ষিপ্ত সার কথা হচেছ যে, “হে ঈমানদারগণ তোমরা সর্বদা ইনসাফের উপর দৃঢ়ভাবে প্রতিষ্ঠিত থেকো” আল্লাহ তায়ালার জন্যে সত্যের স্বাক্ষিদাতা হিসেবে নিজেকে পেশ করো। যদি এ কাজটি তোমার নিজের, পিতা মাতার কিংবা আত্মীয় স্বজনের উপরেও আসে। সে ব্যক্তি ধনী হোক কিংবা গরিব হোক তাদের উভয়ের চাইতে আল্লাহ তায়ালার অধিকার অনেক বেশী। (সূরা আন নিসা ৪: ১৩৫)
তোমরা সৎ কাজ ও তাকওয়ার ব্যাপারেই একে অপরের সহযোগীতা করো। অন্যায় ও আল্লাহ দ্রোহী কাজে কখনও সহযোগিতা করো না। (সূরা আল মায়িদা ৫:২)
লেখা: মাওলানা মোহাম্মদ আমির হোসেন তালুকদার, অধ্যক্ষ, কাউনিয়া বালিকা আলিম মডেল মাদ্রাসা, বরিশাল।
চলবে …..
Leave a Reply