শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৫:৪৫ অপরাহ্ন
আরিফ বিল্লাহ নাছিম, কলাপাড়া (কুয়াকাটা) প্রতিনিধি : আলীপুর-চাপলী ১২ কিলোমিটার সড়ক যেন মরণ ফাঁদে পরিনত হয়েছে। রাস্তার মধ্যে বড় বড় গর্ত সৃষ্টি হওয়ায় চলাচলে অনুপযোগি হয়ে পড়েছে এটি। ভোগান্তিতে হাজার হাজার পর্যটক, স্কুল কলেজগামী শিক্ষার্থীসহ পথচারী। এনিয়ে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় একাধীকবার সংবাদ প্রকাশিত হলেও আজও টনক নড়েনী কর্তৃপক্ষের।পর্যটন নগরী কুয়াকাটার ভ্রমণ পিপাসুদের দর্শনীয় স্পটের মধ্যে মিশ্রিপাড়ার বৌদ্ধ বিহার মন্দির অন্যতম। কুয়াকাটায় বেড়াতে আসা পর্যটক প্রকৃতির অপার সৌন্দর্য সূর্যোদয় ও সূর্যাস্তের মনোরম দৃশ্য উপভোগ করার পর অবসর বিনোদনে বিভিন্ন স্পট পরিদর্শন করেন।
তার মধ্যে এশিয়া মহাদেশের সর্বোচ্চ প্রতিমা স্বলিত বৌদ্ধ মন্দির এটি। অপরদিকে এ সড়ক দিয়ে সূর্যোদয়ের মনোরম দৃশ্য সু স্পষ্টভাবে দেখার স্থান কুয়াকাটার গঙ্গামতি সমুদ্র সৈকত। আর এখানে যেতে গাড়ির মধ্যে থেকে ধাক্কা-ধাক্কিতে ভোগান্তির শিকার হয় ভ্রমণ পিপাসু পর্যটক।সেক্ষেত্রে কুয়াকাটা থেকে মৎস্য বন্দর আলীপুর হয়ে এ সড়ক দিয়ে মিশ্রিপাড়ার বৌদ্ধ মন্দির ও গঙ্গামতির সমুদ্র সৈকত যেতে পর্যটকরা পড়েন বিপাকে।এমনকি এ রাস্তা দিয়ে স্কুল, কলেজগামী শিক্ষার্থীরা চলাচল করতে গিয়ে পড়েন বিপাকে। এখানকার শিক্ষার্থীদের জেএসসি ও জেডিসি পরীক্ষা দিতে আসতে হয় পর্যটননগরী কুয়াকাটা ও থানা শহর মহিপুর। সেখানে বিভিন্ন এলাকার শিক্ষার্থী পরীক্ষা দিতে আসতে যেকোন প্রান্ত থেকে সময় লাগত ২০ থেকে ৩০ মিনিট। সেখানে দু’ঘন্টারও বেশী সময় পার করে আসতে হয় গন্তব্যে। এছাড়া ঢাকাগামী অনেক পরিবহণ আলীপুর হয়ে চাপলী বাজার দিয়ে বাবলাতলা বাজারে যেতে রাস্তা খারাপের কারণে অনেক সময় পার করতে হয়।
আলীপুর-চাপলী ১২ কিলোমিটার পথ যেতে সময় লাগার কথা ২০ মিনিট। সেখানে এখন দীর্ঘ ২ঘন্টা সময় লাগে যেতে। এ সড়কের মধ্যে অসংখ্য বড়-ছোট খানাখন্দকের সৃষ্টি হওয়ায় পর্যটক ও এলাকাবাসীর জন্য এটি এখন মরণ ফাঁদে পরিনত হয়েছে।কুয়াকাটাসহ উপকূলীয় এলাকার একমাত্র সাপ্তাহিক বাজার মৎস্য বন্দর আলীপুর-মহিপুর হওয়ায় কুয়াকাটা পৌরসভাসহ ৫ইউনিয়নের হাজার হাজার মানুষ নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি ক্রয় বিক্রয়ের জন্য আসেন এখানে। নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি নিয়ে বাজারে আসতে ও যেতে পায় চালিত ভ্যান, বেটারী চালিক ভ্যান তথা মাহেন্দ্রা নিয়ে চলাচলে যেন ভোগান্তির শেষ নাই। প্রতিনিয়ত ছোট খাট দু’একটি দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে পথচারী ও যানবাহন।
এসড়কটির ব্যাপারে বাংলাদেশ নৌ-যান শ্রমিক ও কর্মচারী ইউনিয়ন কেন্দ্রীয় কমিটির প্রচার সম্পাদক ও ডেমরাঘাট শাখার সভাপতি মোঃ জাকির হোসেন বলেন, পর্যটন নগরী কুয়াকাটা থেকে সাব মেরিন ক্যাবলস ল্যান্ডিং ষ্টেশন, পয়রা সমুদ্র বন্দরে যেতে বিকল্প পথ হিসেব এ সড়কটি ব্যবহার হয়। অথচ সড়কটি এখন বেহাল দশায় পরিনত হয়েছে। অবিলম্বে সংস্কার করা দরকার। এ বিষয়ে কথা হয় লতাচাপলী ইউনিয়ন সিপিপি চেয়ারম্যান শফিকুল আলমের সাথে তিনি জানান, কুয়াকাটার দর্শনীয় স্পটের মধ্যে মিশ্রিপাড়ার বৌদ্ধ মন্দির ও গঙ্গামতির সমুদ্র সৈকত অন্যতম। এখানে বিভিন্ন ছুটির দিনে পর্যটকের ঢল নামে। পর্যটকদের নিরাপদ যাতায়াত তাছাড়া পর্যটকদের ভ্রমণকে আরামদায়ক করতে সড়ক সংস্কার জরুরী হয়ে পড়েছে। পর্যটক ও জন সাধারণের স¦ার্থে এ সমস্যা নিরসনে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের জরুরী পদক্ষেপ কামনা করেন তিনি।
স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর কলাপাড়া উপজেলা প্রকৌশলী মো. আঃ মান্নান বলেন, ১১.৯ কিলোমিটার রাস্তা মেরামতের জন্য জরুরী ভিত্তিতে ১০ কোটি ২৬ লক্ষ টাকার স্টেট্মেন্ট দেয়া হয়েছে। তবে রাস্তার বর্তমান টপ আছে ১২ ফিট নতুন করা হবে ১৬ ফিট। কিন্তু পানিউন্নয়ন বোর্ড মাটির কাজ করবে এবং তারা টপ করবে ২৪ফিট। একাজে তাদের বাজেট ধরা আছে একশত পয়ত্রিশ কোটি টাকা। এখন মাটির কাজ কারা করবে সে সিদ্ধান্তটি হলে পরে কাজ শুরু হবে। তবে মাটির কাজ যারাই করুক কর্পেটিং এর কাজ এলজিইডি করবে।
Leave a Reply