রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১১:৪৩ অপরাহ্ন
চরফ্যাসন প্রতিনিধি॥ ভোলার চরফ্যাসনে আবাসিক হোটেল সেবায় নিয়ে এক গৃহবধুকে ধর্ষনের অভিযোগে মামলায় তিন আসামীকে গ্রেফতার করেছে চরফ্যাসন থানা পুলিশ। সোমবার (৫ অক্টোবর) গৃহবধূ নিজে বাদী হয়ে তিন জনকে আসামী করে চরফ্যাসন থানায় মামলা করেন। মামলায় সোহাগ নামের একজনের বিরুদ্ধে ধর্ষন ও বাকী দুই আসামীর বিরুদ্ধে ধর্ষনে সহযোগীতার অভিযোগ আনা হয়েছে বলে থানা সূত্রে জানা গেছে।গ্রেফতার হওয়া আসামীরা হলেন, চরফ্যাসন উপজেলার মুজিব নগর ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা আমির হোসেন ব্যাপারীর ছেলে সোহাগ (২৫), বোরহানউদ্দিন উপজেলার কুঞ্জেরহাট কাঁচিয়া ইউনিয়নের বাসিন্দা নাগর পাটোয়ারীর ছেলে পারভেজ ও নীলফামারী জেলার সৈয়দপুর থানার রসুলপুর ৩নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা মৃত আজমল হোসেনের ছেলে মোতালেব।
আসামিদের সোমবার (৫অক্টোবর) দুপুরে আদালতে পাঠানো হয়েছে।মামলা সূত্রে জানা যায়, লালমোহন উপজেলার স্বর্ণালী সড়কের বাসিন্দা ওই গৃহবধূর সাথে পূর্ব পরিচয়ের সূত্র ধরে মুজিব নগর ইউনিয়নের সোহাগের সাথে মোবাইল ফোনে দীর্ঘদিন কথপোকথন হয়। পরে ওই গৃহবধূকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে গত ৩ অক্টোবর শনিবার সন্ধ্যায় লালমোহন থেকে চরফ্যাসনে নিয়ে আসেন সোহাগ। এবং রাতে হাসপাতাল সড়কে অবস্থিত সেবা আবাসিক হোটেলে রাতযাপনের উদ্দেশ্যে রুম ভাড়া নেন। গভীর রাতে আসামী সোহাগ হোটেলের ২১নং কক্ষে জোরপূর্বক ওই গৃহবধূকে ধর্ষন করে। এইসময় হোটেলের ম্যানেজার মোতালেব ও হোটেলের বোর্ডার পারভেজ ধর্ষনকারী সোহাগকে সহায়তা করে।
এছাড়াও সহায়তাকারীরা ভুক্তভোগী গৃহবধূকে ঘটনার কথা কাউকে না জানানোর জন্যও হুমকি দেয় বলেও সূত্রে জানা যায়। পরে ওই গৃহবধূ তার পরিবারকে নিয়ে চরফ্যাসন থানায় এসে অভিযোগ দিলে পুলিশ গৃহবধূর জবানবন্দি অনুযায়ী মামলা রেকর্ড করেন।এঘটনায় চরফ্যাশন থানার অফিসার ইনচার্জ মনির হোসেন বলেন, লালমোহন উপজেলার ওই গৃহবধূর সঙ্গে সোহাগের মোবাইল ফোনে প্রেমের সম্পর্ক হয়। এবং সোহাগ গৃহবধূকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে হোটেলে নিয়ে ধর্ষন করে বলে প্রাথমিক জিজ্ঞাবাদে জানা গেছে। গৃহবধূ থানায় অভিযোগ দিলে সোহাগসহ তার দুই সহায়তাকারীকেও গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সোমবার দুপুরে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা রুজু করে আসামিদের আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।
Leave a Reply