সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৪:২৫ অপরাহ্ন
অনলাইন ডেস্ক : বরিশাল সিটি করপোরেশনের (বিসিসি) চতুর্থ পরিষদের প্রথম সভায় নবনির্বাচিত মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ দু:খ প্রকাশ করে বলেন, বিগতদিনে নগর ভবনে সমুদ্র চুরি হয়েছে। এর নেতৃত্বে ছিলেন জনপ্রতিনিধিরা। কর্মকর্তা-কর্মচারীরা এজন্য সবচেয়ে বেশি দায়ী। বিগত দিনে যারা দুর্নীতির সাথে সম্পৃক্ত ছিলেন বলে প্রমাণ পাওয়া যাবে তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থাসহ শে^তপত্র প্রকাশ করা হবে। মেয়র বিগত অর্থ বছরের বাজেটের হিসেব দেখিয়ে বলেন, ২৬টি অসংগতি ধরেছে অডিট টিম। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ১১ কোটি টাকা। তিনি বলেন, ৪ বছরের গ্যারান্টি দিয়ে সিডিউল অনুযায়ী যিনি সড়ক নির্মাণ করতে পারবেন তাকেই দায়িত্ব দেয়া হবে। বৃহৎ উন্নয়ন প্রকল্পগুলো যাচাই বাছাই ছাড়া চালু করা হবে না। গতকাল বুধবার বিকেলে নগরভবনের সম্মেলন কক্ষে মেয়র সাদিক এসব কথা বলেন। সভায় কর্মচারীদের উদ্দেশ্যে সাফ জানিয়ে দিয়ে মেয়র বলেন, ‘‘নগরবাসীর সাথে আপনারা প্রতারণা করেছেন। আপনাদের অসততার কারণে নগরভবন এখন সাড়ে ৩শ কোটি টাকার চেয়ে বেশি দেনায় জর্জরিত।” তিনি কাউন্সিলরদের উদ্দেশ্যে বলেন, মেয়র হিসেবে তিনি (সাদিক) টাকা বানাতে এখানে আসেননি। তাদেরও এটি মনে রাখতে হবে। নবনির্বাচিত মেয়র সাদিক আবদুল্লাহ বলেন, নগরভবনে ৩শ লোকের স্থান নেই। অথচ ২৬শ কর্মচারী রয়েছেন। এর মধ্যে আউটসোর্সিং এ দায়িত্বপ্রাপ্তদের আড়াই কোটি টাকা দিতে হবে ক্যাশ। তিনি বলেন, অডিট ব্যতীত তাদের কোনো বেতনভাতা দেয়া হবে না। নগদ নয়, সবাইকে ব্যাংকের মাধ্যমে লেনদেন করতে হবে। তিনি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘‘আপনারা যদি মনে করেন নগরভবন ব্যবসার জায়গা তবে আগেই বিদায় হোন।” সভায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা খায়রুল হাসান, সচিব মো: ইসমাইল হোসেন, প্রধান প্রকৌশলী নুরুল ইসলাম ও অতিথি হিসেবে বরিশালের গণমাধ্যমকর্মী এবং সুধীজন।
Leave a Reply