বৃহস্পতিবার, ০৯ জানুয়ারী ২০২৫, ০১:০৩ পূর্বাহ্ন
বাবুগঞ্জ প্রতিনিধি ॥ বাবুগঞ্জে ১৩৩টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৬টিতে প্রধান শিক্ষক ১২ জন। রয়েছে অবৈধ অর্থবাণিজ্যের অভিযোগ। শিক্ষক সূত্রে প্রকাশ, উপজেলার ১৩৩ টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মোট ৫০টি বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষকের পদ শূন্য রয়েছে। এদের মধ্যে ১৩টি বিদ্যালয়ে ম্যানেজিং কমিটির সিদ্ধান্ত মোতাবেক ১৩ জন শিক্ষক প্রধান শিক্ষকের দায়ীত্ব পান এবং সেমোতাবেকই দীর্ঘ দিন চলে আসছিল। নতুন করে প্রধান শিক্ষক নিয়োগের কথা উঠলে উপজেলার ৫০টি প্রতিষ্ঠানের শূন্য পদের মেধ্যে ১৩ জন দায়ীত্বপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক স্ব-স্ব পদে বহাল থাকার অনুকুলে বিভিন্ন তারিখে উচ্চ আদালতে মামলা দায়ের করেন। সে মতে গত ২৪-০৭-২০১৮ইং তরিখে আদালত ওই ১৩টি বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক নিয়োগ বন্ধ রাখার আদেশ জারি করেন। কিন্তু উপজেলা ভারপ্রাপ্ত শিক্ষা কর্মকর্তা তাছলিমা বেগম তা গোপন রেখে ৬টি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে মামলা চলমান উল্লেখ করে আদশে নামা গোপন রেখে ৭ টি প্রতিষ্ঠানে নিয়োগ স্থগিতাদেশর মনগড়া একটি তালিকা স্বাক্ষর করে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার বরাবর প্রেরণ করেন।
এদিকে সরকারি বিধি মোতাবেক সারা দেশেরন্যায় প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ১৬ আগষ্ট ২০১৮ তারিখের ৩৮.০০.০০০০.০০৮.১২.০৫৫.১৮-৬৮৩ নং স্মারকের আদেশ এবং গত ১৯ আগষ্ট ২০১৮ তরিখ প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের স্মারক নং ৩৮.০৭.০০০০.৪০০.১৯.০০১.১৮.৪৯ এর বরাত দিয়ে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ আবদুল লতিফ মজুমদার কর্তৃক স্বাক্ষরিত জেপ্রাশিঅ/বরি/১৪১৯ নং স্মারকে বাবুগঞ্জ উপজেলার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যায়ের ৫০ টি প্রধান শিক্ষকের শূন্য পদে নিয়োগের আদেশ জারি করেন। তিনি উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা কর্তৃক প্রেরিত তালিকা অনুযায়ী ৫০টি শূন্য পদের মধ্যে ৪৩টি পদে প্রধান শিক্ষক নিয়োগের তালিকা প্রস্তুত করে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তার কাছে প্রেরণ করেন। এদের মধ্যে প্রতাপপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, উত্তর পশ্চিম রাকুদিয়া, কুমারিয়ারপিঠ জাহিদ পাড়া, পূর্ব ক্ষুদ্রকাঠী, দক্ষিন ভূতেরদিয়া নব আদর্শ, দক্ষিন ভূতেরদিয়া নতুন চর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে উচ্চ আদালতের নিয়োগের বিরুদ্ধে আপিলের প্রেক্ষিতে স্থায়ী নিসেধাজ্ঞা অগ্রাহ্য করে নিয়োগ দেয়াতে বর্তমানে উলেখিত বিদ্যালয়গুলোতে দুই জন করে প্রধান শিক্ষক নিয়োগ পেল।
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার এহেন কার্যকলাপে উল্লেখিত ৬টি বিদ্যালয়ের নিয়োগ নিয়ে প্রতিষ্ঠানগুলোতে এখন সাংঘর্ষিক রুপ নিয়েছে। এ ব্যপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুজিত হাওলাদার বলেন, তিনি বিষয়টি সম্পর্কে কিছুই জানেন না এবং কেউ তাকে অবহিত করেনি। আজ তিনি শিক্ষা কর্মকর্তাকে ডেকে বিষয়টি সম্পর্কে জানতে চাইবেন এবং ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন। উপজেলা ভারপ্রাপ্ত প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা তাছলিমা বেগম বলেন, তালিকা প্রেরণের পূর্বে কেউ তাকে আদালতের স্থগিতাদেশ দেখাতে পারেনি এবং অর্থ বাণিজ্যের বিষয়টি সম্পর্কে তিনি কিছুই জানেন না।
Leave a Reply