শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ১২:২০ অপরাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ বরিশাল নগরীর নথুল্লাবাদ বাস মালিক সমিতির সভাপতি আফতাব হোসেন ডাইভারের লাইসেন্স চেক করতে গিয়ে শ্রমিকদের রোষানলে পড়ে। শ্রমিকদের ডাইভারের লাইসেন্স চেক করার বিধান রয়েছে বিআরটিএ’র কিন্তু সেই লাইসেন্স চেক করতে গিয়ে এবং লাইসেন্স না দেখানোর অপরাধে শ্রমিককে বেধরক মারধর করে আহত করে বলে জানিয়েছে স্থানীয় অনেক ডাইভার।
নির্ভরযোগ্য সূত্র জানান, একের পর এক ঘটনার জম্ম দিয়ে নিজের ক্ষমতার দাপটের কাছে অসহায় হয়ে পড়ে শ্রমিকরা। আর এজন্যই তিনি নানা ঘটনার অনুঘটক হলেও পার পেয়ে যাচ্ছে অদৃশ্য ক্ষমতার কারনে। এর কারনেই আজ বুধবার বেলা ১২টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত নথুল্লাবাদ কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালে এই ঘটনার কারনে ভোগান্তিতে পড়তে হয় অভ্যন্তরিন ৮টি রুটের যাত্রীরা।
এদিকে মারধরের শিকার বাস শ্রমিক আলমগীর হোসেনকে বরিশাল শের-ই-বাংলা চিকিৎসা মহাবিদ্যালয় (শেবাচিম) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তিনি নথুল্লাবাদ বাস শ্রমিক ইউনিয়নের সদস্য ও প্রভাতী বাসের চালক। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। নথুল্লাবাদস্থ বরিশাল জেলা সড়ক পরিবহন, বাস, মিনিবাস, কোচ, মাইক্রোবাস শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি জাহাঙ্গীর হোসেন জানান, আলমগীর নামের ওই চালক টার্মিনালের বাইরে রাস্তার উপর যাত্রী নামাচ্ছিলো।
এজন্য বাস মালিক গ্রুপের সভাপতি তাকে মারধর করে। এতে ওই শ্রমিক জ্ঞান হারিয়ে ফেলে। এজন্য তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাছাড়া একই বাসের সহকারীকেও (হেলপার) মারধর করা হয়েছে। চালকের শ্রমিক কার্ডও নিয়ে যান তিনি। এ খবর অন্য শ্রমিকদের মাঝে ছড়িয়ে পড়লে তাদের মধ্যে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। এমনকি হামলার প্রতিবাদে বেলা ১২টার দিকে নথুল্লাবাদ থেকে অভ্যন্তরিন সকল রুটে বাস চলাচল বন্ধ করে দেয় তারা। পাশাপাশি শ্রমিককে মারধরের জন্য বাস মালিক গ্রুপের সভাপতি আফতাব হোসেনের বিচার ও তার পদত্যাগের দাবীতে নথুল্লাবাদে বিক্ষোভ মিছিলও করে তারা। পরে সভাপতি ক্ষমা চাইলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।
দুই শ্রমিককে মারধরের অভিযোগ স্বীকার করে বরিশাল জেলা বাস মালিক গ্রুপের সভাপতি ও বরিশাল মহানগর শ্রমিক লীগের সভাপতি আফতাব হোসেন বলেন, প্রভাতী নামের ওই গাড়িটি মহাসড়কের মাঝখানে দাড় করিয়ে যাত্রী নামাচ্ছিলো। এজন্য বাসের চালকের কাছে তার ড্রাইভিং লাইসেন্স দেখতে চাওয়া হয়। কিন্তু সে কোন ড্রাইভিং লাইসেন্স দেখাতে পারেননি। বরং শ্রমিক ইউনিয়নের একডি কার্ড দেখায়। আসলে সরকারী নিয়ম অনুযায়ী কোন সংগঠনের প্রতিনিধি বা সভাপতি গাড়ির চালক এর লাইসেন্স চেক করার ক্ষমতা রাখে না।
তাহলে আফতাব হোসেন যেটা করেছে সেটা আসলে কি ক্ষমতার দাপট? বিষয়টি নিয়ে কথা বরিশাল বিআরটিএ’র সহকারী পরিচালক দেবাশীষ বিশ^াসের সাথে তিনি জানান, বিআরটিএ বা ট্রাফিক পুলিশ এবং বিআরটিএর মোবাইল কোর্ট এর ম্যাজিষ্ট্রেট ছাড়া কেউ লাইসেন্স দেখার ক্ষমতা রাখে না।
এব্যাপারে বরিশাল মেট্টোপলিটন পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার(ট্রাফিক) খাইরুল ইসলাম জানান সরকারের বৈধ কোন অথরিটি ছাড়া কেউ কোন কিছু চেক করতে পারে না।
Leave a Reply