রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১০:৩৪ অপরাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদক:শিক্ষার্থীদের রাজাকারের বাচ্চা বলে কটূক্তি করার অভিযোগে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (ববি) ভিসি প্রফেসর ড. এসএম ইমামুল হক দুঃখ প্রকাশ করেও উদ্বুদ্ধ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পারেননি। রবিবার ষষ্টদিনের মতো ভিসি’র পদত্যাগের দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা মুখে কালো কাপড় বেঁধে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন।ভিসির পদত্যাগের দাবী সংবলিত বিভিন্ন প্লাকার্ড নিয়ে শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করে বরিশাল-পটুয়াখালী মহাসড়কের বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনের অংশ প্রদক্ষিণ করে ক্যাম্পাসে অবস্থান নিয়ে শান্তিপূর্ণ ভাবে প্রতিবাদী বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেন। ভিসি’র পদত্যাগের দাবিতে ‘প্রতিবাদী সাংস্কৃতিক’ কার্যক্রমের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা নতুন করে আন্দোলন কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা করেন। কর্মসূচির অংশহিসেবে প্রতিবাদী সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে রণসঙ্গীত, ব্যঙ্গ নাটিকা, কবিতা ও প্রতিবাদী গান উপস্থাপন করা হয়। এরপূর্বে ক্যাম্পাসের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে ভিসি কর্তৃক দুঃখ প্রকাশের কাগজের বিজ্ঞপ্তি আগুন দিয়ে পুড়িয়ে ফেলেন।
আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা জানান, শুধু দুঃখ প্রকাশ করলে চলবেনা। আনুষ্ঠানিকভাবে ক্ষমা চাওয়া এবং বক্তব্য প্রত্যাহার না করা পর্যন্ত তাদের আন্দোলন অব্যাহত থাকবে। ক্ষমা না চাইলে ভিসিকে পদত্যাগ করতে বাধ্য করা হবে বলেও তারা হুমকি প্রদর্শন করেন। এদিকে ঢাবি’র নবাগত নির্বাচিত ভিপি এবং বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের নেতৃবৃন্দরা বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের চলমান আন্দোলনে একাত্মতা প্রকাশ করায় তাদের প্রতি ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেছেন ববি’র আন্দোলনকারীরা। পাশাপাশি সব বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এ স্বৈরাচার ভিসির পদত্যাগের দাবিতে বিবৃতি দিয়ে ন্যায়ের পক্ষে থাকার আহবান করেছেন বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা। আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা আরও জানান, আজ সোমবার সকালে তারা তাদের দাবী সংবলিত একটি স্মারকলিপি বিভাগীয় কমিশনার বরাবরে পেশ করে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে পরবর্তী আন্দোলন কর্মসূচি ঘোষনা করবেন।
উল্লেখ্য, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের বাদ দিয়ে স্বাধীনতা দিবস উদযাপনের প্রতিবাদ করায় ভিসি ড. এসএম ইমামুল হক শিক্ষার্থীদের ‘রাজাকারের বাচ্চা’ বলে গালি দেন। এর প্রতিবাদে গত ২৬ মার্চ থেকে শিক্ষার্থীরা লাগাতার আন্দোলন কর্মসূচি পালন শুরু করেন। এরইমধ্যে ২৮ মার্চ থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন সকল কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করে শিক্ষার্থীদের হল ত্যাগের নির্দেশ দিলেও আন্দোলনকারীরা তা প্রত্যাখ্যান করেন। ঘটনার ধারবাহিকতায় শুক্রবার (২৯ মার্চ) দিবাগত রাতে দুঃখ প্রকাশ করে ভিসি ড. এসএম ইমানুল হকের পক্ষে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। তবে দুঃখ প্রকাশ করে ভিসির দেওয়া বক্তব্য ও আহবান প্রত্যাখ্যান করেছেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। ভিসি তার বক্তব্যের মাধ্যমে মিথ্যাচার করেছেন বলেও আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেন।
Leave a Reply