শুক্রবার, ১০ জানুয়ারী ২০২৫, ০৯:৩৭ পূর্বাহ্ন
মুলাদী প্রতিনিধি:
সংবাদ প্রকাশের পর বরিশালের এনজিও ব্যূরো অব বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠানের মুলাদী উপজেলা শাখায় জাল শিক্ষা সনদ ও চাচাকে পিতা বানিয়ে মাঠপ্রকল্প কর্মী হিসেবে চাকুরি নেয়া শামীমা আকতারের বিরুদ্ধে আরো চাঞ্চল্যকর তথ্য বেরিয়ে এসেছে।প্রতারনার মাধ্যমে যেমন চাকুরি নেয়া তেমনি শামীমা স্বামীর সংসারেও একই পন্থা অবলম্বন করে।পারিবারিক কলহের জের ধরে ২০১৪ সালে স্ব-ইচ্ছায় স্বামী আব্দুল মোতালেব শিমুলকে ডিভোর্স দিয়েও পক্ষান্তরে পুনরায় তার বিরুদ্ধে দায়ের করে যৌতুক মামলা।
এতেই ক্ষান্ত হয়নি,একাধিক জিডি করে সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন থানায়।নিরুপায় শিমুৃল স্ত্রীর যৌতুক মামলায় দীর্ঘমাস কারাবাসও করে।এক সময় আদালতের নির্দেশে দাম্পত্য জীবন শুরু হয়েছিলো তাদের।কিন্তু তা বেশী দিন স্থায়ী থাকেনা।ফলে আবারও শিমুলকে অভিযুক্ত করে বরিশালের একটি আদালতে মামলা দায়ের করে শামীমা,যা এখনও চলমান।অভিযোগ রয়েছে কর্মস্থলে থাকাকালীন ২০১৬ সালে ১৯শে ডিসেম্বর স্বামী শিমুলের ব্যবহারিক মোটরবাইক তার ছোটভাই নাইমকে দিয়ে ছিনতাইয়ের চেষ্টা করে।তবে স্থানীয়রা এগিয়ে আসলে ব্যর্থ হয় তারা।
এ ঘটনায় কাশীপুর এলাকাবাসী ঐ বছরের ২২ ডিসেম্বর শামীমার বিরুদ্ধে তার কর্মস্থলে লিখিত অভিযোগ দেয়।তারই প্রেক্ষিতে চাকুরিচ্যূত হওয়ার ক্ষেত্র সৃষ্টি হয়।পরবর্তীতে কোন এক ইশারায় চাকুরিটি তার টিকে যায়।সূত্রানুযায়ী জানা গেছে পারিবারিকভাবেও শামীমা অনেকটা কোনঠাসা।আত্মীয়-স্বজনদের কাছেও সে অপছন্দের একজন।তার স্বভাব চরিত্রের ভিন্নতা হওয়ায় আত্মীয়-স্বজন সবসময় দুরে থাকে।
সকল আত্মীয় থেকে কোনঠাসা সুচতুরভাবে জন্মদাতা পিতার স্থলে চাচাকে পিতা বানিয়ে ও জাল সনদ দিয়ে একাধিক প্রতিষ্ঠানে চাকুরি করে নিজের সুবিধা আদায় করে আসছে। প্রসঙ্গতঃ ২০১১ সালের ভোলা চরফ্যাষনের পপুলার ফাইন্যান্স এন্ড ইনভেষ্টমেন্ট লি.অ্যাকাউন্টস অফিসার পদে যোগদান করে শামীমা আকতার।
সেই প্রতিষ্ঠানে চাকুরির পূর্বে জীবনবৃত্তান্তে পিতা আবু জাহের হাওলাদারের স্থলে চাচা আবু তাহেরের নাম ব্যবহার করে শামীমা।এভাবে গোপন রেখে এক সময় ঐ প্রতিষ্ঠানে সহকারী ব্যবস্থাপক পদ বাগিয়ে নেয়।ছয়মাস চাকুরি করে একইভাবে চাচাকে পিতা বানিয়ে ডিগ্রির জাল সনদ দিয়ে এনজিও ব্যূরোর মুলাদী শাখায় মাঠ প্রকল্প অফিসার হিসাবে চাকুরি নেয় শামীমা আক্তার।
Leave a Reply