রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০২:২৩ অপরাহ্ন
ভয়েস অব বরিশাল :
বরিশাল নগরীর দরগাহ্ বাড়ি এলাকায় সরকারী খাল দখল করে ভরাটের অভিযোগ পাওয়া গেছে।বৃহস্পতিবার (১৩ সেপ্টেম্বর) দিনভর অন্তত ২০ শ্রমিক একযোগে খালের ভেতর পিলার পুঁতে এই দখল কার্যক্রম চালায়।ওই এলাকায় বছর চারেক ধরে আগে এসে বসবাস শুরু করা মো.মাহাবুব উল্লাহ্ খান নামে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে এই দখলের অভিযোগ।তবে শোনা যাচ্ছে,এই খাল ভরাটের নেপথ্যে স্থানীয় এক যুবলীগ নেতার বিশেষ ভুমিকা রাখছেন।এমনকি ভরাটের পর তিনি সেখানে একাধিক দোকান নির্মাণেরও পায়তারা চালাচ্ছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এক্ষেত্রে অাশ্চর্যের বিষয় হচ্ছে,এই দখল সন্ত্রাসের বিরোধীতা করায় স্থানীয় একাধিক পরিবার হুমকির মুখে রয়েছে।তবে ভরাটের বিরুদ্ধে অবস্থান নিলে স্থানীয়দের হঠাতে ওই যুবলীগ নেতার ক্যাডার বাহিনী দিনভর অবস্থান করে সেখানকার পরিবেশকে উত্তপ্ত করে তোলে।সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে,ওই এলাকার মসজিদ লাগোয়া খালের পাড়ের গাছ কেটে পাইল দিয়ে মাটি ভরাটে কাজ করছে শ্রমিকরা।এর পাশেই সড়কের বিপরীতে মারমুখি অবস্থান নিয়ে ছিলেন ওই যুবলীগ নেতার বাহিনী।মুলত সকাল থেকে তাদের উপস্থিতিতেই খাল দখলে নামে শ্রমিকরাওই এলাকার একাধিক বাসিন্দা জানিয়েছেন মাহাবুব উল্লাহ খান নিজেকে বরিশাল জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মইদুল ইসলামের ভাগিনা পরিচয় দিয়ে খাল দখল সন্ত্রাসে নেমেছেন।
কিন্তু তিনি ঢাকায় অবস্থান করায় এই দখলের দায়িত্ব দিয়েছেন যুবলীগ নেতাকে।দখলের পর তিনি সেখানে একাধিক দোকান ঘরও নির্মাণ করবেন বলে আলোচনায় এসেছে।যদিও দখলকারীদের দাবি হচ্ছে,খালের পাড়ের ৫০৮ দশমিক ৫ বর্গফুট জমি দুই টাকা হিসাবে জেলা পরিষদ থেকে ইজারা নিয়েছেন।এমনকি ইজারা বাবদ ১০১৭টাকা জেলা পরিষদের তহবিলে জমা দিয়ে চুক্তিও সম্পন্ন হয়েছে।তবে জেলা প্রশাসনের খাল জেলা পরিষদ কিভাবে ইজারা দিয়েছে তা নিয়ে রয়েছে নানা প্রশ্ন।
তবে যুবলীগ নেতা আলতাফ হোসেন আব্দুল্লাহ দখলের সাথে তার সম্পৃক্ততা থাকার বিষয়টি অস্বীকার করে বলছেন,কে বা কারা পাইল দিচ্ছেন সেই সে সম্পর্কে তিনি ওয়াকিবহাল নন।এই বিষয়ে জানতে বরিশাল জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মইদুল ইসলামের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তাকে পাওয়া যায়নি।তবে এই বিষয়ে বরিশাল জেলা প্রশাসক হাবিবুর রহমানের ভাষ্য হচ্ছে,খাল দখল সম্পর্কে তিনি মোটেও অবগত নন।কিন্তু কেউ যদি এ ধরনের দখলের সাথে জড়িত থাকেন অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
Leave a Reply