শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৫:০১ অপরাহ্ন
বরগুনা প্রতিনিধি॥ বরগুনার তালতলীতে দ্বিতীয় স্বামীকে মামলায় ফাঁসিয়ে জেলে পাঠিয়ে গোপনে তৃতীয় বিয়ে করেছেন এক নারী। বিষয়টি জানাজানি হলে দ্বিতীয় স্বামীকে তালাক দিয়ে ফের তৃতীয় স্বামীর সঙ্গে বিয়ের কাবিন করেন ওই নারী। এমনই অভিযোগ করেছেন দ্বিতীয় স্বামী জসিম।
ঘটনাটি বরগুনার তালতলীর। ভুক্তভোগী জসিম তালতলী উপজেলার নিশানবাড়িয়া ইউনিয়নের তাঁতিপাড়া গ্রামের বাবুলের ছেলে। ২০১৯ সালের ১৮ নভেম্বর তার সঙ্গে প্রতিবেশী ওই নারীর বিয়ে হয়। বিয়ের ১২ দিনের মাথায় প্রথম স্ত্রীর কাছে চলে যান জসিম। এ নিয়ে দ্বিতীয় স্ত্রীর সঙ্গে তার মনোমালিন্য হয়।
গত বছরের ১ জানুয়ারি স্বামী জসিম জানতে পারেন, তাকে তালাক না দিয়েই পার্শ্ববর্তী কালাপাড়া উপজেলার এক ব্যক্তির সঙ্গে সংসার করছেন দ্বিতীয় স্ত্রী। ওই ঠিকানায় স্থানীয় ইউপি সদস্যদের নিয়ে গেলে বিয়ের বিষয়টি স্বীকার করেন তারা। পরদিন ২ জানুয়ারি স্থানীয় চেয়ারম্যানের কাছে তাদের বিয়ের কাবিননামা দেখানোর কথা বলে ওই রাতেই তারা এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যান।
এরপর বরগুনা জেলা আদালতে স্বামী জসিমের বিরুদ্ধে খোরপোশ বাবদ মামলা করেন ওই নারী। ওই মামলায় স্বামী জসিম তিন মাস কারাভোগ করেন।
সম্প্রতি কারামুক্তি পাওয়া জসিম ভাষ্য, ওই নারীকে দ্বিতীয় বিয়ে করার পর তিনি বুঝতে পারেন যে তার স্ত্রীর বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক রয়েছে। পরকীয়ায় আসক্তি আছে তার। এটা দেখে তার মন ভেঙে যায়। তাই তিনি প্রথম স্ত্রীর কাছে চলে যান। বিষয়টি কেন্দ্র করে তার সঙ্গে বিবাদ সৃষ্টি করেন ওই নারী। এছাড়া একটি অজুহাত বানিয়ে পালিয়ে যান। উল্টো মামলা করে জসিমকে জেলেও পাঠিয়েছেন।
গত বছরের ১৫ মে ঢাকার ইব্রাহিমপুর কাজি অফিসে গিয়ে দ্বিতীয় স্বামীকে তালাক না দিয়ে কুমারী পরিচয়ে বিয়ে করেন ওই নারী। এটি তার তৃতীয় বিয়ে। দ্বিতীয় স্বামী জসিম ওই কাবিননামা সংগ্রহ করে তা কোর্টে দাখিল করেন। এরপর চলতি বছরের ১৯ সেপ্টেম্বর বরগুনার সদরের চরকলোনীর কাজি সাঈদুর রহমানের অফিসে গিয়ে স্বামী জসিমকে তালাক দিয়ে ওই দিনই আবার তৃতীয় বিয়ের কাবিন করেন।
অভিযুক্ত ওই নারীর কাছে জানতে চাইলে তিনি প্রথমে তৃতীয় বিয়ের বিষয় অস্বীকার করেন। পরে তিনি স্বীকার করে বলেন, জসিমকে চলতি বছরের ১৮ সেপ্টেম্বর তালাক দিয়েছি। আর ৮ অক্টোবর চরকলোনী কাজি অফিসে আরেকটা বিয়ে করি। এটি আমার তৃতীয় বিয়ে।
লতাচাপলী ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য মো. আলম ফকির বলেন, ওই মেয়ের শাশুড়ি লোকজনসহ বাড়িতে গেলে তারা নিজেদের স্বামী-স্ত্রী পরিচয় দেন এবং কৌশলে রাতে এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যান।
Leave a Reply