মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১১:২৭ পূর্বাহ্ন
ডেস্ক রিপোর্ট: দেশে চলছে তীব্র তাপপ্রবাহ। গত ২৫ এপ্রিল তিনদিনের তাপপ্রবাহের সতর্কবার্তা (হিট অ্যালার্ট) জারি করেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। সেই হিট অ্যালার্টের মেয়াদ শেষ হচ্ছে শনিবার (২৭ এপ্রিল)।
রোববার (২৮ এপ্রিল) থেকে ফের তিন দিন বা ৭২ ঘণ্টার হিট অ্যালার্ট জারি করা হতে পারে বলে আবহাওয়া অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে।
এদিকে শুক্র-শনিবারের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা প্রায় একই থাকলেও ঢাকাসহ কয়েকটি স্থানে দিনের তাপমাত্রা কিছুটা কমেছে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদরা।
শনিবার দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪২ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে চুয়াডাঙ্গায়। আর শুক্রবারও চুয়াডাঙ্গায় ছিল দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪২ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা এখন পর্যন্ত চলতি গ্রীষ্ম মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা।
এদিকে ঢাকায় তাপমাত্রা কিছুটা কমেছে। ঢাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৮ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস থেকে কমে হয়েছে ৩৭ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
শুক্রবার রাজশাহী, চুয়াডাঙ্গা ও পাবনার ওপর দিয়ে অতি তীব্র তাপপ্রবাহ বইছিল অর্থাৎ সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ওপরে ছিল। শনিবার চুয়াডাঙ্গা ছাড়া দেশের কোথাও দিনের তাপমাত্রা ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ওপরে নেই।
শনিবার বিকেলে এসব তথ্য জানান আবহাওয়াবিদ মো. ওমর ফারুক।
তিনি বলেন, আজ (শনিবার) দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে চুয়াডাঙ্গায় ৪২ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ঢাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা কিছুটা কমেছে। ঢাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৭ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
শনিবার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রাজশাহীতে ৪১ দশমিক ৫, পাবনার ঈশ্বরদীতে ৪১ দশমিক ৫, সিরাজগঞ্জের বাঘাবাড়িতে ৪০ দশমিক ৪, যশোরে ৪১ দশমিক ৬, কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে ৪০ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে বলেও জানান ওমর ফারুক।
তিনি আরও বলেন, আপাতত দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চল অর্থাৎ সিলেট অঞ্চলে বৃষ্টি থাকবে। পাশাপাশি রোববার চট্টগ্রামের কিছু অঞ্চলও বৃষ্টির আওতায় আসতে পারে।
আগামী মাসের প্রথম সপ্তাহে বৃষ্টি বেড়ে তাপপ্রবাহের আওতা কমতে পারে বলেও জানিয়েছেন এই আবহাওয়াবিদ।
ওমর ফারুক আরও বলেন, আগামী কয়েকদিন দিনের তাপমাত্রা যেমন আছে মোটামুটি এর কাছাকাছি থাকতে পারে, খুব বেশি বাড়ার আশঙ্কা নেই।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের হিসাব অনুযায়ী, ১৯৪৮ সাল থেকে তাদের কাছে বিভিন্ন স্টেশনের আবহাওয়ার তথ্য-উপাত্ত আছে। তবে সব বছরে সব স্টেশনের উপাত্ত নেই। উপাত্তগুলো একেবারে সুনির্দিষ্টভাবে আছে ১৯৮১ সাল থেকে।
আবহাওয়াবিদরা বলছেন,১৯৪৮ থেকে চলতি বছর পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি তাপপ্রবাহ হয়েছে এবারের এপ্রিল মাসে। এর আগে ২০১০ সালে রাজশাহীতে সর্বোচ্চ ২০ দিন তাপপ্রবাহ ছিল, তবে তা টানা ছিল না। কিন্তু এবার টানা ২৭ দিন তাপপ্রবাহ হলো।
এদিকে তীব্র গরমে জনজীবনে দুর্ভোগ দেখা দিয়েছে। হাঁসফাঁস করছে সাধারণ মানুষ। তাপমাত্রা সামান্য কমলেও তা দুর্ভোগ পরিস্থিতিতে কোনো প্রভাব ফেলতে পারেনি। জনজীবনে বিরাজ করছে অস্বস্তি।
Leave a Reply