শুক্রবার, ১০ জানুয়ারী ২০২৫, ১০:১০ অপরাহ্ন
অনলাইন ডেস্ক :
বাকেরগঞ্জ উপজেলার দাঁড়িয়াল ইউনিয়নের কাঁটাদিয়া খেয়াঘাট স্থানান্তর নিয়ে এলাকার সাধারণ মানুষের মাঝে চরম উত্তেজনা বিরাজ করেছে। এনিয়ে এলাকায় সংঘর্ষ ও রক্তপাতের আশংকাও দেখা দিয়েছে। এলাকাবাসীর একটাই প্রশ্ন কাটাদিয়া খেয়াঘাটের ইজারাদার আব্দুর রাজ্জাক ও তার সহযোগী হোসেন মেম্বারের খুঁটির জোর কোথায়? সরেজমিনে গিয়ে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, কাটাদিয়া বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন পূর্বের জায়গায় খেয়াঘাট স্থানান্তর নিয়ে গত ১০-১২ দিন ধরে পত্র-পত্রিকায় লেখালেখি এবং দাঁড়িয়াল ইউপি চেয়ারম্যান জব্বার বাবুলের স্বদিচ্ছা থাকা সত্বেও শুধু মাত্র খেয়াঘাটের ইজারাদার আব্দুর রাজ্জাক ও তার সহযোগী কথিত গডফাদার হোসেন মেম্বারের খামখেয়ালীপনার কারনেই খেয়াঘাট স্থানান্তর হচ্ছেনা। প্রায় দুমাস আগে রাস্তা মেরামতের অজুহাতে মূল খেয়াঘাটটি কিছুদিনের জন্য অন্যত্র সরিয়ে ছিলো।
সম্পূর্ণ ব্যক্তি স্বার্থে ইজারাদার ও তার সাঙ্গ-পাঙ্গনা সেটাকে স্থায়ী রুপ দেয়ার অপচেষ্টা করছে। দাঁড়িয়াল ইউপি চেয়ারম্যান এমএ জব্বার বাবুল, কামারখালী বাজারের ব্যবসায়ীরা এবং এলাকার গণ্যমান্য ব্যাক্তিবর্গ খেয়াঘাটি বারবার স্থানান্তর করতে বারবার অনুরোধ জানালেও ইজারাদার আব্দুর আজ্জাক হাওলাদার ও হোসেন মেম্বার তাদের কথায় কোন কর্ণপাত করছেন না। যে কারনে শতশত লোক বিক্ষুদ্ধ হয়ে উঠেছেন। ইতিপূর্বে এলাকাবাসীর পক্ষে আব্দুল কাদের খান, সহিদুল ইসলাম, হিরো লাল হাওলাদারসহ ইউনিয়নের শতাধিক জনসাধারণ বরিশাল জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান, বাকেরগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট লিখিত অভিযোগও দিয়েছেন। উল্লেখ্য, উপজেলার রাঙা মাটি নদী পাড়াপাড়ের জন্য পূর্বের চলমান খেয়াঘাটটি রাস্তা মেরামতের জন্য অস্থায়ীভাবে স্থানান্তর করা হয়। রাস্তা মেরাতের কাজ শেষ হলেও নদী পাড়াপাড়ের জন্য ট্রলার এবং নৌকা স্থানান্তর করা হয়নি। বাসস্ট্যান্ড থেকে মালামাল নিয়ে খেয়াঘাটে আসতে প্রায় ১কিলোমিটার পথ পায়ে হেটে অতিক্রম করতে হয়। এলাকাবাসীর দাবি যাত্রী সাধারণের সুবিধার্থে রাঙা মাটি নদীর কাটাদিয়া বাসস্ট্যান্ড বরাবার দাঁড়িয়াল খেয়াঘাটে লোক পাড়াপাড়ের নৌকা এবং ট্রলার স্থানান্তর করিলে কামারখালী, শরসী, কাজলাকাঠী, মাতুব্বরাহাট, দুধল ও ফরিদপুর ইউনিয়নের যাত্রীদের কষ্ট লাঘব হবে। এলাকাবাসী অনতিবিলম্বে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট বাকেরগঞ্জের কাঁটাদিয়া খেয়াঘাটটি পূর্বের জায়গায় স্থানান্তরের দাবি জানিয়েছেন।
Leave a Reply