বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ০২:১৭ পূর্বাহ্ন
ভয়েস অব বরিশাল ডেস্ক॥ চলমান করোনা পরিস্থিতিতে দেশে সাধারণ ছুটি আর বাড়ছে না। আগামী ৩১ মে থেকে ১৫ জুন পর্যন্ত সবাই স্বাস্থ্যবিধি মেনে সীমিত আকারে অফিসে কাজ করবে। তবে সব ধরনের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও গণপরিবহন আগামী ১৫ জুন পর্যন্ত বন্ধ থাকবে। তার আগ পর্যন্ত অনলাইনে শিক্ষাকার্যক্রম চালু থাকবে। বুধবার (২৭ মে) জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেন। এ বিষয়ে বৃহস্পতিবার (২৮ মে) প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে বলে নিশ্চিত করেছেন প্রতিমন্ত্রী।
তিনি জানিয়েছেন, দেশে করোনা প্রাদুর্ভাবের কারণে গত ২৬ শে মার্চ থেকে বেশ কয়েকদফা সরকারি ছুটির মেয়াদ বাড়ানো হলেও ৩১ মে থেকে সাধারণ ছুটি আর বাড়ানো হবে না। তবে ১৫ই জুন পর্যন্ত সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে অফিস-আদালতে কাজ করতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান নিজস্ব নিয়মে সীমিত আকারে চালু থাকবে। তবে বয়স্ক এবং গর্ভবতী নারীদের অফিসে আসতে হবে না। প্রতিমন্ত্রী জানান, সাধারণ ছুটি না বাড়লেও ১৫ জুন পর্যন্ত গণপরিবহন ও সব ধরণের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে। চলবে না রেল ও যাত্রীবাহী নৌযান। তবে বেসরকারি বিমানগুলো নিজ ব্যবস্থাপনায় বিমান চলাচল শুরু করতে পারবে।
এর আগে সাধারণ ছুটি সংক্রান্ত সারাংশে প্রধানমন্ত্রী স্বাক্ষর করেন। রাত আটটা থেকে সকাল ৬টা পর্যন্ত আগের মতো চলাচল সীমিত থাকবে। হাটবাজার দোকানপাটে বিকাল ৪টা পর্যন্ত চলবে।
প্রতিমন্ত্রী আরও জানান, গণপরিবহন, নৌযান ও রেল চলাচল বন্ধ থাকবে। প্রাইভেট কার জাতীয় বাহনসহ ব্যক্তি মালিকানাধীন সব ধরনের যানবাহন চলবে। কর্মস্থলে যাওয়ার জন্য কোনও অফিস সীমিত আকারে পরিবহন চালু করবে কিনা সে সিদ্ধান্ত তারা নিজেরাই গ্রহণ করবে। নিজ ব্যবস্থায় বিমান চালাচল করতে পারবে। সভা-সমাবেশ গণজমায়েত বন্ধ থাকবে।
অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড চালু রাখতে সীমিত পরিসরে সব অফিস খোলা রাখতে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানান জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন।
তিনি আরও উল্লেখ করেন, নাগরিক জীবনের সুরক্ষার জন্য সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। এক জেলা থেকে অন্য জেলায় প্রবেশের ক্ষেত্রে কড়াকড়ি আরোপ করতে হবে। জেলার প্রবেশমুখে চেকপোস্ট থাকবে।
এদিকে, গণ জমায়েত ও সভা সমাবেশ নিষিদ্ধ থাকলেও ধর্মীয় উপাসনালয় খোলা থাকবে। সাধারণ ছুটির সময় গণপরিবহন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও সব ধরণের অফিস আদালত বন্ধ রয়েছে। তবে জরুরি সেবা সীমিতভাবে ব্যাংকসহ কিছু অফিস খোলা ছিল। পরবর্তীতে কিছু সরকারি দপ্তর ও গার্মেন্ট প্রতিষ্ঠান খুলে দেয়া হয়।
প্রসঙ্গত, করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে গত ২৩ মার্চ সরকার প্রথম দফায় ২৬ মার্চ থেকে ৪ এপ্রিল পর্যন্ত সাধারণ ছুটি ঘোষণা করে। পরে দ্বিতীয় দফায় ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত, তৃতীয় দফায় ২৫ এপ্রিল পর্যন্ত ও চতুর্থ দফায় ৫ মে পর্যন্ত সাধারণ ছুটি বর্ধিত করা হয়। এরপরও পরিস্থিতির উন্নত না হওয়ায় পঞ্চম দফায় ১৬ মে এবং সর্বশেষ ৩০ মে পর্যন্ত ছুটি বৃদ্ধি করে সরকার।
২৫ এপ্রিল একটি প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, জরুরি পরিষেবা প্রদানের সঙ্গে জড়িত সব মন্ত্রণালয়, বিভাগ এবং তাদের অধীনস্থ অফিসগুলো বর্ধিত সাধারণ ছুটির দিনে সীমিত আকারে খোলা থাকবে।
সর্বশেষ গত ১৪ মে জারি করা প্রজ্ঞাপনে ১৭ মে থেকে যে সাধারণ ছুটি, শবে কদরের ছুটি, সাপ্তাহিক ছুটি এবং ঈদের সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়, এখনও তা চলছে। করোনার সংক্রমণ রোধে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি রেল, সড়ক, নৌ ও বিমান যোগাযোগ বন্ধ রেখেছে সরকার।
Leave a Reply