সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৩:১৭ অপরাহ্ন
এম.এস.আই লিমনঃ প্রায় যুগের দখলকৃত বিসিসি’র প্রায় কোটি টাকার সম্পত্তি দখল মূক্ত করেছে বরিশাল সিটি কর্পোরেশন (বিসিসি)।প্রভাবশালী কতিপয়দের দখল গ্যারাকলে নগরীর চৌমাথায় বিসিসি’র অর্ধকোটি টাকার জমি প্রায় এক যুগ পর দখল মূক্ত করায় জনমনে আলোচিত মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহ। গতকাল বরিশাল নগরীর হাতেম আলী কলেজ চৌমাথা বাজার সংলগ্নের এলাকায় বিসিসি’র জমি দখল করে অবৈধভাবে আধা পাকা অর্ধশতাধীক নির্মিত স্থাপনা দিন ব্যাপী অভিযান পরিচালনায় উচ্ছেদ করেছে বরিশাল সিটি কর্পোরেশন (বিসিসি) কতৃপক্ষ।
বরিশাল নগরীর মহাসড়ক সংলগ্নের গুরুত্বপূর্ণ চৌমাথা এলাকাটির বাজার সংলগ্নের ফুটপাত, সড়ক,খালের সরকারী জমি দখল করে প্রায় যুগ ধরে স্থানীয় প্রভাবশালী একটি মহল ৪০/৫০ টি আধাপাকা টিন সেট দোকান ঘর থেকে মাসে প্রায় লক্ষাধিক টাকা হাতিয়ে নিচ্ছিল সংশ্লিস্টদের সাথে সক্ষতা গড়ে। তবে বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের নতুন মেয়র নির্বাচিত হয়ে দায়িত্ব গ্রহনের পর অবৈধ অনিয়ম অনৈতিক কাজগুলোকে কোন ধরনের প্রশ্রয় না দেয়ায় ক্রমশই ঐ সকল প্রভাবশালী দখলবাজরা নিজেদের গুটিয়ে নিচ্ছে তার কার্যকরী ভুমিকায়।
বিসিসি’র সূত্রে জানা গেছে, সৈয়দ হাতেম আলী কলেজ চৌমাথা বাজারের সাগরদী মৌজার ৫১ নং জেল এ র ১৪৪৬ দাগের ৭০/৬৩,৬৪ এল এ কেসে ৫৫ শতাংশ জমি বিসিসি অধিগ্রহণ করা হয়।পরবর্তীতে ৩/১২,১৩ এল এ কেসে ১৩.৫০ শতাংশ জমি নতুন করে অধিগ্রহণ করে। যার মূল্য বাবদ ২০১৫ সালে জেলা প্রশাসক বরাবর ৬০ লক্ষ টাকা প্রদান করে বিসিসি। কিন্তু স্থানীয় প্রভাবশালী কতিপয়রা তৎকালীন সময়ে সংশ্লিষ্টদের সাথে গোপন সক্ষতা গড়ে বিসিসি’র জমি দখল করে অবৈধ ভাবে টিনসেট ৪০/৫০ টি দোকান ঘর নির্মান করে ভাড়া দিয়ে আসছিল।
এর আগে বহুবার এ সকল অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের অভিযান পরিচালিত হলেও প্রভাবশালী মহলের অদৃশ্য ক্ষমতার দাপটে দখলমূক্ত করতে সক্ষম হয়নি বিসিসি এর আগের পরিষদগুলোর মেয়াদ কালে। কিন্তু জনদূর্ভোগ লাঘবের জন্য দখল কৃত জমির উপর গড়ে ওঠা সকল অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের জন্য কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করে মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহ। এরই ধারাবাহিকতায় গতকাল সকাল থেকে সন্ধ্যা অবদি বিসিসি’র সম্পত্তি শাখা’র এ্যাস্টেট অফিসারের নেতৃত্বে সার্ভেয়ার সকল এবং সড়ক পরিদর্শক (আর আই) সমল্লিত একটি টিম উর্ধতন কতৃপক্ষের নির্দেশনা মোতাবেক চৌমাথা এলাকার সকল অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের অভিযান পরিচালনার মাধ্যমে বিসিসি’র অধিগ্রহণের জমি ও ফুটপাত দখল মুক্ত করেছে। একই এলাকার বগুড়া আলেকান্দা মৌজার ১২৪৬ নং দাগের ঘোষ বাড়ীর সড়কের উপর অবৈধভাবে ইমারত নির্মান সামগ্রী বিক্রির গড়ে ওঠা স্থাপনা উচ্ছেদ করে বিসিসি’র অভিযানের কর্মচারীরা।
এসময় স্থানীয় কতিপয় প্রভাবশালীদের তোপের মুখে পরে হামলার শিকার হয় তারা। বহু বছর যাবৎ বিসিসি’র জমি দখল করে অবৈধ স্থাপনা নির্মান করায় জনদূর্ভোগ পৌছায় চরম পর্যায়ে। এর আগের নির্বাচিত মেয়ররা এ দূর্ভোগ লাঘবে জনসাধারণদের নির্বাচনী ওয়াদা দিয়ে ক্ষমতা পার করলেও ক্ষমতা ব্যবহারে লাঘব হয় না আর দূর্ভোগ। তবে ওয়াদা করা ছাড়াই নতুন এ মেয়র ক্ষমতার যথাযথ প্রয়োগের মাধ্যমে জনদূ্র্ভোগ নিরসনে ইতোমধ্যেই ব্যপক সাড়া জাগিয়ে তুলেছেন তার পদক্ষেপ গুলোর বাস্তবায়ন করার মাধ্যমে।চৌমাথা এলাকার স্থানীয় বাসিন্দা জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন,সরকারী জমি দখল করে দোকান নির্মান করে আবার অনেকে ভাড়াও দিয়ে আসছিল স্থানীয় কতিপয়রা সরকারী পানি ও বিদ্যুৎ ব্যবহার করে।
অপরদিকে জানা গেছে,বরিশাল জেলা পরিষদ কতৃক খাল ভরাট হওয়া জমি ইজারা প্রদান করায় ক্রমশই বেদখল হয়ে যাচ্ছে সরকারী জমি এতে করে প্রতি নিয়ত হয়রানির শিকার হতে হচ্ছে ভুক্তভোগীদের।উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনার বিসিসি’র কর্মচারীরা জানায় উর্ধতন কতৃপক্ষ’র নির্দেশনা মোতাবেক অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে। প্রায় যুগের এ অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযানে এ দিনেই সকল স্থাপনা উচ্ছেদ সফল হওয়ায় সিটি মেয়রের প্রশংসা করনের কথপকথনে আলোচিত মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহ আলোচনায় উঠে আসে স্থানীয় ব্যবসায়ী এলাকাবাসীদের মন্তব্যে।
Leave a Reply