রবিবার, ১৭ অগাস্ট ২০২৫, ০৭:৪০ অপরাহ্ন
ডেস্ক রিপোর্ট ॥ জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় দেশের উন্নয়ন ত্বরান্বিত করতে ১১টি প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। রবিবার অনুষ্ঠিত সভায় সভাপতিত্ব করেন প্রধান উপদেষ্টা ও একনেক চেয়ারপার্সন ড. মুহাম্মদ ইউনূস। এতে মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ৯ হাজার ৩৬১ কোটি ৯২ লাখ টাকা।
সভায় অনুমোদিত প্রকল্পগুলোর মধ্যে রয়েছে কৃষি, স্বাস্থ্য, অবকাঠামো, পানি সরবরাহ ও ক্রীড়া খাতের উন্নয়ন পরিকল্পনা। এর মধ্যে রংপুর অঞ্চলে আধুনিক প্রযুক্তি সম্প্রসারণের মাধ্যমে টেকসই কৃষি উন্নয়ন প্রকল্প, বাপবিবোর আওতাধীন শিল্পসমৃদ্ধ এলাকায় বিদ্যুৎ উপকেন্দ্র আধুনিকায়ন ও ক্ষমতাবর্ধন প্রকল্প, কেরু অ্যান্ড কোং (বিডি) লিমিটেডের বিএমআর প্রকল্পের দ্বিতীয় সংশোধন এবং রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন প্রকল্প উল্লেখযোগ্য।
এছাড়া স্বাস্থ্যখাতের গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে দেশের ৫টি মেডিকেল কলেজে বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিট স্থাপন করা হবে। গৃহায়ন ও নিরাপত্তার উন্নয়নে ঢাকার আজিমপুর সরকারি কলোনিতে বহুতল আবাসিক ফ্ল্যাট এবং ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের জন্য বহুতল আবাসিক ভবন নির্মাণ প্রকল্প অনুমোদন পেয়েছে।
অন্যদিকে, টেকসই পানি সরবরাহ নিশ্চিতে ঢাকা এনভায়রনমেন্টাল সাসটেনেবল ওয়াটার সাপ্লাই প্রকল্প এবং বান্দরবান পৌরসভা ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় নিরাপদ পানি সরবরাহ ও স্যানিটেশন সম্প্রসারণ প্রকল্প অনুমোদিত হয়েছে। চট্টগ্রামের মিরসরাই অর্থনৈতিক অঞ্চলে টেলিযোগাযোগ নেটওয়ার্ক স্থাপন এবং উপজেলা পর্যায়ে মিনি স্টেডিয়াম নির্মাণ প্রকল্পও তালিকাভুক্ত।
সভায় পরিকল্পনা উপদেষ্টা আগেই অনুমোদিত ৯টি প্রকল্পের অগ্রগতি উপস্থাপন করেন। এর মধ্যে হাতিয়া, নিঝুম ও কুতুবদিয়া দ্বীপে শতভাগ বিদ্যুতায়ন, রাজশাহী ও রংপুরে স্মার্ট প্রি-পেমেন্ট মিটার স্থাপন, বরগুনা জেলার পৌর অবকাঠামো উন্নয়ন এবং পার্বত্য জেলায় দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত সড়ক উন্নয়ন অন্তর্ভুক্ত। একইসঙ্গে লাঙ্গলবন্দ মহাষ্টমী পুণ্যস্নান উৎসবের অবকাঠামো উন্নয়ন, সিলেটে গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়ন, তেলজাতীয় ফসল উৎপাদন বৃদ্ধি, কপোতাক্ষ নদী এলাকার জলাবদ্ধতা নিরসন এবং বিদ্যালয় বহির্ভূত কিশোর-কিশোরীদের দক্ষতাভিত্তিক সাক্ষরতা প্রকল্প আলোচিত হয়।
সভায় নতুন প্রকল্প ৫টি, সংশোধিত ২টি এবং ব্যয় বৃদ্ধি ছাড়াই মেয়াদ বৃদ্ধি প্রকল্প ৩টি অনুমোদিত হয়েছে। এগুলো সরকারি অর্থায়ন, ঋণ ও সংস্থার নিজস্ব অর্থ দিয়ে বাস্তবায়িত হবে। প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস সকল প্রকল্প যথাযথ নিয়ন্ত্রণে বাস্তবায়নের নির্দেশ দিয়ে সংশ্লিষ্ট বিভাগগুলোকে সময়মতো অগ্রগতি রিপোর্ট দাখিলের নির্দেশ দেন।
বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এসব প্রকল্প বাস্তবায়নের মাধ্যমে অবকাঠামো, বিদ্যুৎ ও পানি সরবরাহ, স্বাস্থ্যসেবা ও ক্রীড়া সুবিধা বাড়বে। এর ফলে দেশের সামগ্রিক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও জনগণের জীবনমান উন্নত হবে।
Leave a Reply