শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০২:১২ অপরাহ্ন
ভয়েস অব বরিশাল ডেস্ক॥ ঘূর্ণিঝড় আমফান মোকাবিলায় কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফের ৩৪টি রোহিঙ্গা শিবিরে ১০ হাজার স্বেচ্ছাসেবক প্রস্তুত রাখা হয়েছে। পরিস্থিতির অবনতি হলে রোহিঙ্গা শিবিরের আশপাশে যেসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও পাকা ভবন আছে সেগুলোকে আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার করা হবে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আইএসসিজির মুখপাত্র সৈকত বিশ্বাস। তিনি বলেন, ক্যাম্পগুলোতে দুর্যোগ মোকাবিলায় প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে উখিয়া-টেকনাফে ৩৪টি শিবিরে সিপিপি সদস্য, ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি ইউনিট, সাইট ম্যানেজমেন্ট ভলান্টিয়ারসহ ক্যাম্পে কর্মরত প্রায় ১০ হাজার স্বেচ্ছাসেবক প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
কক্সবাজার শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মো. শামসু দ্দৌজা জানান, জাতিসংঘের সংস্থাগুলোর সঙ্গে ইতোমধ্যে দুইটি প্রস্তুতি সভা করা হয়েছে। ক্যাম্পে কর্মরত সব স্বেচ্ছাসেবককে প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
এ ব্যাপারে কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মো. কামাল হোসেন জানান, রোহিঙ্গা শিবিরে তো প্রস্তুতি রয়েছেই। এছাড়াও ঘূর্ণিঝড় আমফান মোকাবিলায় কক্সবাজারে পাঁচ শতাধিক আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। লোকজনকে আশ্রয়কেন্দ্রে নেওয়া প্রয়োজন হলে সেখানে যেন শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখা যায় সেজন্য আট উপজেলার সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রস্তুত রাখার জন্য উপজেলা নির্বাহী অফিসারদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
তিনি আরও জানান, অমরা ধারণা করছি, এ ঘূর্ণিঝড়টি কক্সবাজার উপকূলে আঘাত হানবে না। তবুও আমরা প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছি। আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে খাদ্য সংকট যেন না হয় সেই প্রস্তুতিও আমাদের রয়েছে।
এদিকে ঘূর্ণিঝড় আমফান মোকাবিলায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ১০ম পদাতিক ডিভিশনের উদ্যোগে সেনাবাহিনী ও ভলান্টিয়ারদের যৌথ মহড়া অনুষ্ঠিত হয়েছে। মহড়ায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, স্থানীয় প্রশাসন, আরআরসি, এনজিও, জাতিসংঘের বিভিন্ন সংস্থার সদস্য ও ক্যাম্পে বসবাসরত প্রশিক্ষিত রোহিঙ্গারা স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে অংশগ্রহণ করে।
রামু সেনানিবাসের সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে আপদকালীন সময়ের জন্য আগাম প্রস্তুতি হিসেবে পর্যাপ্ত পরিমাণে শুকনো খাবার যেমন মুড়ি, চিড়া, গুড় ইত্যাদি প্যাকেটজাত করে প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
প্রশাসনকে সহযোগিতার লক্ষ্যে ইতোমধ্যে চিহ্নিত করে রাখা হয়েছে আশ্রয়কেন্দ্রগুলো। সেনানিবাস কর্তৃক জেলা প্রশাসন ও অন্যান্য সংস্থার সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ অব্যাহত রাখার পাশাপাশি নিয়মিত সংবাদ সংগ্রহ ও বিভিন্ন তথ্যের জন্য রামু সেনানিবাসে সেনাবাহিনীর নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় কন্ট্রোল রুম স্থাপন করা হয়েছে।
Leave a Reply