রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৩:৩৮ অপরাহ্ন
বরগুনা সংবাদদাতা॥ বরগুনায় প্রকাশ্য দিবালোকে রাস্তার ওপর স্ত্রীর সামনে স্বামীকে নির্মমভাবে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় দুই অভিযুক্ত আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। সোমবার (১ জুলাই) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে বরগুনার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মোহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম গাজীর কাছে স্বেচ্ছায় তারা এ স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।
আদালতে স্বীকারোক্তি দেয়া দু’জন হলেন- মামলার এজাহারভূক্ত ১১ নম্বর আসামি অলি ও ভিডিও ফুটেজ দেখে শনাক্ত করা অভিযুক্ত তানভীর। পরে আদালত তাদের জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।এছাড়াও এ হত্যাকাণ্ডে জড়িত সন্দেহে গ্রেফতার হয়ে তিনদিন রিমান্ড শেষে নাজমুল হাসানকে একই আদালতে হাজির করে ফের পাঁচ দিনের রিমান্ড আবেদন করে পুলিশ। পরে আদালত তার পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
আর সাগর ও সাইমুন নামের অপর দু’জনকে পুলিশ পাঁচ দিনের রিমান্ড আবেদন করলে বিচারক মোহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম গাজী তাদেরও পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।রিফাত শরীফ হত্যা মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা বরগুনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি তদন্ত) হুমায়ুন কবির বলেন, রিফাত শরীফ হত্যা মামলার ১১ নম্বর আসামি অলি ও হত্যাকাণ্ডের ভিডিও ফুটেজ দেখে গ্রেফতার করা তানভীর আদালতে রিফাত শরীফ হত্যাকাণ্ডে সরাসরি অংশ নেয়ার কথা স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছেন।
এছাড়াও এ হত্যাকাণ্ডে জড়িত সন্দেহে গ্রেফতার করা সাগর, সাইমুন ও নাজমুল আহসানকে ৫ দিনের রিমান্ড চাইলে আদালত তাদের প্রত্যেকের ৫ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এদের মধ্যে নাজমুল আহসান আগেও তিনদিনের রিমান্ডে ছিলেন।ওসি আরও বলেন, এ মামলার ১২ নম্বর আসামি টিকটক হৃদয় গ্রেফতার হলেও তিনি বরগুনা জেলা পুলিশের কাছে পৌঁছায়নি। তাই তাকে আদালতে তোলা সম্ভব হয়নি।
প্রসঙ্গত,গত বুধবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বরগুনা সরকারি কলেজের সামনে শত শত লোকের উপস্থিতিতে স্ত্রীর সামনে শাহ নেয়াজ রিফাত শরীফকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। নিহত রিফাত শরীফের বাড়ি বরগুনা সদর উপজেলার ৬নং বুড়িরচর ইউনিয়নের বড় লবণগোলা গ্রামে। তার বাবার নাম আ. হালিম দুলাল শরীফ। মা-বাবার একমাত্র সন্তান ছিলেন রিফাত।
ওই দিন সকাল ১০টার দিকে নয়নের নেতৃত্বে সন্ত্রাসীরা রিফাতকে দা দিয়ে কুপিয়ে রক্তাক্ত অবস্থায় রাস্তায় ফেলে যায়। এ সময় বারবার সন্ত্রাসীদের হাত থেকে স্বামীকে বাঁচাতে চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন স্ত্রী আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নি।একপর্যায়ে গুরুতর অবস্থায় রিফাতকে বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তার রক্তক্ষরণ বন্ধ না হওয়ায় চিকিৎসকরা তাকে বরিশাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে মারা যান রিফাত ।
Leave a Reply