যৌতুকের দাবিতে আমতলীতে অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধূকে নির্মম নির্যাতন করেছে স্বামী Latest Update News of Bangladesh

সোমবার, ১৫ এপ্রিল ২০২৪, ০১:২৫ পূর্বাহ্ন

বিজ্ঞপ্তি :
Latest Update Bangla News 24/7 আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি ভয়েস অব বরিশালকে জানাতে ই-মেইল করুন- [email protected] অথবা [email protected] আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।*** প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে!! বরিশাল বিভাগের সমস্ত জেলা,উপজেলা,বরিশাল মহানগরীর ৩০টি ওয়ার্ড ও ক্যাম্পাসে প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে! ফোন: ০১৭৬৩৬৫৩২৮৩




যৌতুকের দাবিতে আমতলীতে অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধূকে নির্মম নির্যাতন করেছে স্বামী

যৌতুকের দাবিতে আমতলীতে অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধূকে নির্মম নির্যাতন করেছে স্বামী




আমতলী প্রতিনিধি॥  যৌতুকের দাবিতে সাত মাসের অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধূকে নির্মম নির্যাতন করেছে তার স্বামী। আহত গৃহবধূ ঝর্না আক্তারকে গুরুতর অবস্থায় আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেছে তার স্বজনরা।

ঘটনা ঘটেছে রবিবার আমতলী উপজেলার গোজখালী গ্রামে।জানাগেছে, আমতলী উপজেলার পূর্ব কুকুয়া গ্রামের হামেদ প্যাদার কন্যা ঝর্না আকতার। ছোট বয়সে ঝর্না বাবা হামিদ প্যাদা ও মা হাসিনুর বেগমকে হাড়িয়ে এতিম হয়। বাবা-মায়ের মৃত্যুর পরে চাচাতো ভাই খবির প্যাদা তার দেখভাল করেন। ২০১৫ সালে ঝর্নাকে পার্শ্ববর্তী গুলিশাখালী ইউনিয়নের গোজখালী গ্রামের জব্বার মাদবরের ছেলে কুদ্দুস মাদবরের সাথে বিয়ে দেয়া হয়।

বিয়ের সময় যৌতুক হিসেবে ২০ হাজার টাকা ও প্রয়োজনীয় আসবাবপত্র দেয়। কিন্তু ফের যৌতুকের দাবিতে বিয়ের কিছুদিন যেতে না যেতেই তার উপর নেমে আসে অমানুষিক নির্যাতন। পরিবারের প্ররোচণায় স্বামী কুদ্দুস প্রায়ই তাকে মারধর করতো। গত চার বছরে শতাধিকবার মারধর করেছে বলে অভিযোগ করেন ঝর্না আক্তার।

বর্তমানে ঝর্না সাত মাসের অন্তঃসত্ত্বা। তবে স্বামী কুদ্দুস তাকে কোনো চিকিৎসা করাচ্ছেন না। গত শনিবার রাতে স্বামী কুদ্দুস স্ত্রী ঝর্নার নিকট চিকিৎসা করানো বাবদ বাবার বাড়ী থেকে ২০ হাজার টাকা এনে দিতে বলে। এতিম ঝর্না এ টাকা এনে দিতে অস্বীকার করায় ওইদিন রাতে তাকে স্বামী প্রথম দফায় মারধর করে। রবিবার সকালে আবারো দ্বিতীয় দফায় বাঁশের কাঞ্চি দিয়ে মারধর করে সোনাখালী গ্রামের নানা আফেজ খানের বাড়িতে টাকা আনতে পাঠিয়ে দেয়।

মারধরে ঝর্নার মুখের নিচের ঠোট এবং ডান হাতের বাহু ও ডান পায়ের হাটুর নিচে রক্তাক্ত জখম হয়। স্বজনরা রবিবার সন্ধ্যায় তাকে আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেছে। খবর পেয়ে রবিবার রাতে পুলিশ আমতলী হাসপাতালে গিয়ে আহত ঝর্নার খোঁজ খবর নেন।

আহত ঝর্না কান্নাজনিত কন্ঠে বলেন, মোর দুঃখ দ্যাহার কেউ নাই। ছোডকালে মা-বাবা মইর‌্যা গ্যাছে। চাচাতো ভাই পাইল্যা বিয়া দ্যাছে। এ্যাহোন শাশুড়ি ও শ্বশুরের কুপরামর্শে স্বামী মারধর করে। বিয়ার চার বচ্ছরে শতাধিকবার মারছে। এটটু আলে গোনে কলে গ্যালাই মোরে মারে। মোর প্যাডে ৭ মাসের বাচ্চা মোরে কোন ডাক্তার দ্যাহায় না।

আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের উপ-সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার মিঠুন সরকার বলেন, ঝর্নার মুখের নিচের ঠোট, ডান হাতের বাহু ও হাটুর নিচে রক্তাক্ত জখমের চিহৃ রয়েছে। তাকে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।এ বিষয়ে অভিযুক্ত কুদ্দুসের মুঠোফোনে বারবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।

আমতলী থানার ওসি (তদন্ত) মনোরঞ্জন মিস্ত্রি বলেন, খবর পেয়ে আমতলী হাসপাতালে পুলিশ পাঠিয়ে গৃহবধূর খোঁজ খবর নিয়েছি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

সোশ্যাল মিডিয়াতে শেয়ার করুন



Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *










Facebook

© ভয়েস অব বরিশাল কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed BY: AMS IT BD