সোমবার, ০৭ জুলাই ২০২৫, ০২:১৭ অপরাহ্ন
বিশেষ প্রতিনিধি॥ মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলার উলানিয়া ইউনিয়নের লক্ষিপুর গ্রামের দরিদ্র ছালাউদ্দীন ওরপে ছালার বসত ঘরটি পুড়িয়ে দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। ছালা উদ্দীন’র পরিবার জানান, গত বুধবার আনুমানিক মধ্যে রাতে অগ্নকান্ডের ঘটনাটি ঘটে।
আগুনে ছালার বসত ঘরটি সম্পূর্ণ পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। রাতে পাশ্চবর্তী ঘরের লোকজন আগুনের লেলিহান দেখে ডাকচিৎকার দিলে স্থানীয়রা প্রানপন চেষ্টাচালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রনে আনলেও ততক্ষনে ঘরটি ছাই হয়ে যায়।
এতে প্রায় ৫লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়। বর্তমানে পরিবারটির মাথা গোঁজার ঠাই নেই। পরিবারের ধারনা পূর্বশত্রুতার জের ধরে পাশ্চবর্তী হিজলা উপজেলার ধূলখোলা ইউনিয়নের কথিত সন্ত্রাসী একাধিক মামলার আসামী ভূমিদস্যু, জলদস্যু কালাম বেপারীর নেতৃত্বে তার পোষ্য ক্যাডাররা ঘটনাটি ঘটিয়েছে।
এই বিষয়টি মেহেন্দিগঞ্জ থানা পুলিশকে অবগত করা হয়েছে। উল্লেখ উক্ত অভিযুক্ত কালাম বেপারীর নেতৃত্বে এলাকায় একের পর এক সন্ত্রাসী কর্মকান্ড অব্যাহত রয়েছে।
কিছুদিন আগে ওই ঘরমালিক ছালাউদ্দীন কে কথিত অপহরনের অভিযোগ তুলে কথিত সন্ত্রাসী কালাম বেপারীর নেতৃত্বে এ্যালোপাতাড়ী কুপিয়ে জখম করে পুলিশকে সোপর্দ করেন। যদিও পুলিশ বলছেন ছালা উদ্দীন বিরুদ্ধে পূর্বে একাধিক মামলা রয়েছে।
এছাড়াও কথিত সন্ত্রাসী কালাম বেপারীর নেতৃত্বে সলদি লক্ষিপুর এলাকার মেম্বার আঃ রব ঢালীর ২টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে তালা ঝুলানো ও ঔই পরিবারকে সাজানো মামলায় হয়রানীর করাসহ লক্ষিপুর গ্রামের জাহাঙ্গীর সিকদার’র মুদি দোকানে হামলা- ভাংচুর ও লুটপাট চালিয়েছে।
লুটপাট করে, নগদ ৩৭ হাজার টাকা এবং মালামাল নিয়ে যায় কথিত সন্ত্রাসী কালাম বেপারীর নেতৃত্বে ১০/১২ জনে।যওয়ার সময় দোকান ঘরটি এলোপাথাড়ি কুপিয়ে যায় কালাম বেপারীর সঙ্গপাঙ্গরা, তাকে মুখ না খোলার জন্য বিভিন্নভাবে চাপ প্রয়োগ করে যাচ্ছেন কালাম বেপারি ও পোষ্য ক্যাডার মাইনুদ্দিন সরদার।
ঘটনাটি ভিন্নখাতে নিতে মুঠোফোনে হুমকির কল রেকর্ড আছে বলেও জানান। সংবাদ পেয়ে মেহেন্দিগঞ্জ থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন, বিষয়টি ধামাচাপা দিতে লবিং তদবির করছেন অভিযুক্ত কালাম বেপারী। ভূক্তভোগীসহ স্থানীয়রা ঘটানাটি তদন্ত সাপেক্ষে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার দাবী জানান।
এই ঘটনায় এলাকায় তীব্র ক্ষোভ ও নিন্দার ঝড় উঠছে। অভিযোগ উঠেছে কথিত সন্ত্রাসী কালাম বেপারীর একের পর এক বেপরোয়া সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে জনজীবন অতিষ্ঠ।
চরদখল, মেঘনায় বিভিন্ন নৌযান থেকে চাদা উত্তোলন, শালিস মিমাংসার নামে অর্থ হাতিয়ে নেওয়া, হামলা মামলা দিয়ে নীরিহ মানুষকে হয়রানী করাসহ বহুমুখি অপরাধ কর্মকান্ড যেন লাগামহীন ঘোড়ার ন্যায় চলছে। প্রশ্ন স্থানীয়দের আর কত সন্ত্রাসী কর্মকান্ড করলে তার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিবে প্রশাসন।
Leave a Reply