মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ০৮:৪৭ অপরাহ্ন
ভয়েস অব বরিশাল ডেস্ক॥ বীমার মাধ্যমে দুঃসময়ে গরিব মানুষগুলো বিরাট সাফল্য পাবে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বীমাকে আমরা জনগণের দোরগোড়ায় অর্থাৎ গ্রাম পর্যন্ত নিয়ে যাওয়ার অনুরোধ করছি। শিক্ষাবীমা, শস্যবীমা, স্বাস্থ্যবীমা, গার্মেন্টস শ্রমিকসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে বীমা করা যেতে পারে। রোববার (১ মার্চ) বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলনকেন্দ্রে বীমা দিবস-২০২০’র উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।
এ সময় বীমার সকল কার্যক্রম ডিজিলাইজড করার জন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দেন প্রধানমন্ত্রী। বলেন, বীমার প্রতি মানুষের আস্থা বাড়াতে হবে। বীমার সকল হিসাব-নিকাশ অটোমেশন পদ্ধতিতে আনলে মানুষের আস্থা বাড়বে। শেখ হাসিনা বলেন, আমার বাবা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আলফা ইন্স্যুরেন্স কোম্পানিতে চাকরি করতেন। সে হিসেবে আমরা বীমা পরিবারের একজন সদস্য। যেহেতু পাকিস্তানি শাসকরা বঙ্গবন্ধুকে রাজনীতি করতে দিতেন না, সে কারণে তিনি আলফা ইন্স্যুরেন্স কোম্পানিতে ইন্স্যুরেন্স কন্ট্রোলার হিসেবে চাকরিতে যোগদান করেন। ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি প্রচারণা চালাতে সারাদেশব্যাপী তাকে ঘুরতে হয়। সে সুবাদে তিনি আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ করেছিলেন।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু বীমার গুরুত্ব বুঝতে পেরেছিলেন বলেই এ বিষয়ে তিনি ১৯৭৩ সালে আইন প্রণয়ন করেছিলেন। এছাড়া তিনি ইন্স্যুরেন্স একাডেমি প্রতিষ্ঠা করেন। সরকার প্রধান বলেন, বীমার মাধ্যমে বহু মানুষের কর্মসংস্থান হতে পারে। বীমা একাডেমিতে লেখাপড়া করে দক্ষ মানবসম্পদ সৃষ্টি হতে পারে। বীমার প্রসারের জন্য আমরা যুগোপযোগী আইন করেছি। আমরা ‘বীমা আইন ২০১০’, ‘বীমা উন্নয়ন আইন ২০১০’ ও ‘বীমা নীতিমালা ২০১৪’ করেছি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের দেশে বীমা নিয়ে মানুষের মধ্যে সচেতনতা কম। মানুষের মধ্যে বীমা নিয়ে অনীহা। তাই তাদের মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টি করতে হবে। বীমার গুরুত্ব বোঝাতে হবে। শেখ হাসিনা বলেন, স্বাধীনতার পর দেখেছি, পাটের গুদামে আগুন লাগত, আর ইন্স্যুরেন্স কোম্পানির টাকা হাতিয়ে নেয়া হতো। গার্মেন্টসে আগুন লাগানো হতো ইন্স্যুরেন্সের টাকা খাওয়ার জন্য। পরে আমি গোয়েন্দা সদস্যদের লাগিয়ে দিয়ে দেখলাম, কিছু কিছু মানুষ ধরাও পড়ল। এ জন্য বীমা কোম্পানিতে সৎ লোক নিয়োগ দিতে হবে। যেন বীমার টাকা প্রকৃত ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিরা পান।
প্রসঙ্গত, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৬০ সালের ১ মার্চ তৎকালীন পাকিস্তানের আলফা ইন্স্যুরেন্স কোম্পানিতে যোগ দিয়েছিলেন। বঙ্গবন্ধুর বীমা খাতে যোগদানের দিনটিকে স্মরণীয় করে রাখতে গত ১৫ জানুয়ারি বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের (আইডিআর) অনুরোধে ১ মার্চকে ‘জাতীয় বীমা দিবস’ ঘোষণা করেছে সরকার।
Leave a Reply