বৃহস্পতিবার, ০৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ০৯:৪০ অপরাহ্ন
ডেস্ক রিপোর্ট ॥ বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার সঞ্চয় বা রিজার্ভ বর্তমানে বেশ ভালো অবস্থানে রয়েছে। দেশের রপ্তানি এবং রেমিট্যান্স প্রবাহের ইতিবাচক ধারা এই সাফল্যের প্রধান কারণ। বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) প্রকাশিত তথ্যে দেখা গেছে, ৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার গ্রস রিজার্ভ ২৫ দশমিক ৫৪ বিলিয়ন ডলার দাঁড়িয়েছে, যা আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) এর হিসাব পদ্ধতি বিপিএম-৬ অনুযায়ী বেড়ে ২০ দশমিক ২০ বিলিয়ন ডলার হয়েছে।
তবে, খরচ করার জন্য প্রস্তুত বা “ব্যয়যোগ্য” রিজার্ভ এখনও ১৫ বিলিয়ন ডলারের আশপাশে রয়েছে। এর আগে চলতি বছরের শুরুতে, ১ জানুয়ারি পর্যন্ত বৈদেশিক মুদ্রার গ্রস রিজার্ভ ছিল ২৬ দশমিক ২০ বিলিয়ন ডলার এবং বিপিএম-৬ অনুযায়ী ছিল ২১ দশমিক ৩৬ বিলিয়ন ডলার। যদিও কিছুদিন আগে, বিশেষ করে ৯ জানুয়ারি ও ২২ জানুয়ারির পর রিজার্ভ কিছুটা কমে যায়, বিশেষত আকু (এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়ন) এর আমদানি বিল পরিশোধের কারণে।
এদিকে, গত ৯ জানুয়ারি ১৬৭ কোটি ডলার পরিশোধের পর রিজার্ভ কমে ২০ বিলিয়ন ডলারে নেমে যায়। এরপর ২২ জানুয়ারি রিজার্ভ আবার ২০ বিলিয়ন ডলারের নিচে চলে যায়। বর্তমানে, দেশের “ব্যয়যোগ্য” রিজার্ভের পরিমাণ ১৫ বিলিয়ন ডলারের কাছাকাছি রয়েছে, যা মাসে ৫ বিলিয়ন ডলারের হারে তিন মাসের আমদানি খরচ মেটানোর জন্য পর্যাপ্ত।
বাংলাদেশ ব্যাংক, সরকারের আর্থিক নীতি এবং আন্তর্জাতিক অর্থনৈতিক পরিস্থিতির মধ্যে পারস্পরিক সম্পর্কের কারণে, বৈদেশিক মুদ্রার সঞ্চয় ব্যবস্থাপনায় মাঝে মাঝে ওঠানামা ঘটছে। বিশেষত, আন্তর্জাতিক ঋণ পরিশোধ এবং বিভিন্ন বাণিজ্যিক ব্যাংকের কাছ থেকে ডলার কেনার মাধ্যমে রিজার্ভ ব্যবস্থাপনা করা হচ্ছে। একদিকে, দেশের রপ্তানি খাত ও রেমিট্যান্স প্রবাহ ইতিবাচক হলেও, ব্যয়যোগ্য রিজার্ভের পরিমাণ এখনও আগের চেয়ে অনেক বেশি টানাপোড়েনে রয়েছে।
Leave a Reply