মঙ্গলবার, ০৬ মে ২০২৫, ০৭:৩৭ পূর্বাহ্ন
এইচ.এম হেলাল ॥ অপসোনিন ফার্মাসিটিক্যালস লিমিটেড এবং আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য আমির হোসেন আমুর বিরুদ্ধে বরিশালের ৭টি পরিবারের জমি আত্মসাতের গুরুতর অভিযোগ উঠেছে। এই অভিযোগে বরিশাল প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে পুরো ঘটনার বিস্তারিত তুলে ধরা হয়।
ভুক্তভোগীদের পক্ষে লিখিত বক্তব্যে বোরহান উদ্দিন মিলন অভিযোগ করেন, নলছিটি উপজেলার জাগুয়া ইউনিয়নের ১৮ একর ১৫ শতাংশ জমি মিস কেস ২৩০/৬৫-৬৬ নামে ভূয়া বন্দোবস্ত দেখিয়ে অপসোনিন ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডের মালিক রাকিব খানের নামে রেজিস্ট্রেশন করা হয়েছে। অথচ এসিল্যান্ড অফিসে রেজিস্ট্রার বইয়ে এই কেস নম্বরের কোনো অস্তিত্ব নেই।
তিনি আরও জানান, এই জমির দলিলে উল্লেখ আছে জে এল নং ১২৭, কিন্তু প্রকৃত জমিটি জে এল নং ৫৪-তে অবস্থিত। এমন ভুল তথ্য দিয়ে জালিয়াতির মাধ্যমে দলিল সৃষ্টি করা হয়। এতে করে স্থানীয় ৭টি পরিবার তাদের পৈত্রিক সম্পত্তি হারাতে বসেছে।
সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা বলেন, সাবেক শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু অপসোনিন কোম্পানির অংশীদার এবং তার রাজনৈতিক প্রভাব কাজে লাগিয়ে দীর্ঘদিন ধরে এসব অনিয়ম ঢেকে রেখেছেন। অভিযুক্ত রাকিব খান ও রউফ খান, যারা পরস্পর ফুফাতো ভাই, তাদের বিরুদ্ধে নদী দখল, পরিবেশ ধ্বংস, এবং সরকারি জমি জবরদখলের অভিযোগও রয়েছে।
ভুক্তভোগীরা অভিযোগ করেন, অভিযুক্তরা ঝালকাঠির আদালতে চলমান মামলায় হাজির না হয়ে কোর্ট অবমাননা করেছেন। এমনকি আদালত থেকে তাদের বিরুদ্ধে দুটি মামলায় (জি আর ৩১/২৫ ও সি আর ১৪৭/২৫) গ্রেপ্তারি পরোয়ানাও জারি করা হয়েছে।
দুদকের প্রতি সঠিক তদন্তের আহ্বান জানিয়ে মিলন বলেন, যারা ভুয়া দলিল করে মানুষকে উচ্ছেদ করছে, তাদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে সমাজে বিচারহীনতার সংস্কৃতি গড়ে উঠবে।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন জাহাঙ্গীর খান, সিরাজুল ইসলাম গাজী, জালাল আহমেদ খান, অ্যাডভোকেট সাইফুল ইসলামসহ অনেকে। তারা বলেন, অবিলম্বে জালিয়াতি বন্ধ করে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর জমি ফিরিয়ে দিতে হবে।
এই বিষয়ে অপসোনিন ফার্মাসিটিক্যালসের পক্ষ থেকে কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি, কারণ ফোনে যোগাযোগ করা হলেও প্রতিষ্ঠানটির কর্মকর্তা রফিক আহমেদ সাড়া দেননি।
Leave a Reply