মঙ্গলবার, ০৬ মে ২০২৫, ১১:৪০ পূর্বাহ্ন
আন্তর্জাতিক ডেস্ক ॥ জম্মু-কাশ্মীরের পেহেলগামে সাম্প্রতিক ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলার জেরে ভারত-পাকিস্তান সম্পর্ক চরম উত্তেজনায় পৌঁছেছে। দু’দেশই একে অপরের বিরুদ্ধে পাল্টাপাল্টি অভিযোগ এবং হুমকি-ধমকির মাধ্যমে পরিস্থিতি আরও জটিল করে তুলছে। সীমান্তে গোলাগুলির ঘটনা, সামরিক মহড়া এবং কূটনৈতিক চুক্তি বাতিল—সব মিলিয়ে দুই প্রতিবেশীর মধ্যে যুদ্ধাবস্থা ঘনিয়ে এসেছে।
গত ২২ এপ্রিল জম্মু ও কাশ্মীরের পেহেলগামে একটি সন্ত্রাসী হামলায় প্রাণ হারায় ২৬ জন। ২০১৯ সালের পুলওয়ামা হামলার পর এটিই ছিল সবচেয়ে বড় হামলা। ভারত হামলার জন্য পাকিস্তানকে পরোক্ষভাবে দায়ী করে একাধিক পদক্ষেপ নেয়। এর অংশ হিসেবে ভারত ১৯৬০ সালের ঐতিহাসিক সিন্ধু পানি চুক্তি স্থগিত করে দেয়।
জবাবে পাকিস্তানও কড়া অবস্থান নেয়। তারা সিমলা চুক্তি স্থগিত করার পাশাপাশি ভারতীয় বিমানের জন্য আকাশসীমা বন্ধ করে দেয় এবং ভারতের সঙ্গে সবধরনের বাণিজ্যিক সম্পর্ক ছিন্ন করে। একই সঙ্গে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরীফ দৃঢ়ভাবে ঘোষণা করেন, তারা তাদের পানির অধিকার রক্ষা করবেন যেকোনো মূল্যে।
পাকিস্তান পিপলস পার্টির নেতা ও সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী বিলাওয়াল ভুট্টো ভারতের বিরুদ্ধে আরও হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন। তিনি বলেন, “সিন্ধু দিয়ে পানি বইবে, না হয় রক্ত বইবে।” পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা মুহাম্মদ আসিফ এবং রেলমন্ত্রী মোহাম্মদ হানিফ আব্বাসি বলেন, দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় প্রয়োজনে পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহারের জন্য প্রস্তুত আছে পাকিস্তান।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও কড়া প্রতিক্রিয়া জানান। তিনি বলেন, “আমরা প্রতিটি সন্ত্রাসী এবং তাদের মদতদাতাদের খুঁজে বের করে এমন শাস্তি দেব, যা তারা কল্পনাও করতে পারবে না। সন্ত্রাসের আশ্রয়স্থল চূর্ণ করতে সময় এসেছে।”
এই অবস্থায় সীমান্তে গোলাগুলির ঘটনা ক্রমেই বাড়ছে। ভারতের সেনারা গুলিবর্ষণ করলে পাকিস্তান নিয়ন্ত্রণ রেখা পেরিয়ে পাল্টা হামলায় ভারতের একটি চেকপোস্ট ধ্বংস করে। এমন পরিস্থিতিতে দুই দেশের সেনাদের প্রস্তুতি যুদ্ধের দিকে ইঙ্গিত দিচ্ছে।
Leave a Reply