বৃহস্পতিবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৮:০৬ পূর্বাহ্ন
মঠবাড়িয়া প্রতিনিধি॥ পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় পাওনা টাকা আদায় করতে তসিবুল শাওন (৯) নামের এক বাক প্রতিবন্ধী শিশুকে বন্দী করেছেন তার ফুফাত ভাবি। এ ঘটনায় ওই ভাবিকে আটক করেছে পুলিশ।
বুধবার সকালে ওই ভাবি শিশুকে তুলে নিয়ে বসতঘরে আটকে রাখে। পরে ৯৯৯ নম্বরে কল দিলে পুলিশ শিশুটিকে উদ্ধার করে। মঠবাড়িয়া পৌর শহরের সবুজ নগরে এ ঘটনা ঘটে।
আটককৃত ফুফাত ভাবী প্রতিবেশী হনুফা বেগম (৪০)। হনুফা পৌর শহরের কশাই জাহাঙ্গীরের স্ত্রী।
থানা ও ভুক্তভোগী পরিবার সূত্রে জানা গেছে, পৌর শহরের ৮ নম্বর ওয়ার্ড সবুজ নগরের বাসিন্দা হনুফা বেগম তার মামা শ্বশুর ও প্রতিবেশী ডাক বিভাগের রানার সিরাজুল ইসলামকে একটি এনজিও থেকে লোন নিয়ে দেন। ধারের টাকা কিস্তিতে পরিশোধ করলেও ১০ হাজার ৬০০ টাকা শোধ করেনি সিরাজুল। পাওনা টাকা সিরাজ দীর্ঘ দিনেও পরিশোধ না করায় বুধবার সকাল পৌনে ৯টার দিকে বসতঘরের সামনে দিয়ে শিশু শাওন যাওয়ার সময় হনুফা বেগম আপেল খেতে দিয়ে তাকে ধরে বসতঘরের একটি কক্ষে আটকে রেখে তালা দিয়ে রাখে। এ সময় প্রতিবন্ধী শাওন ডাক চিৎকার দিলে জাহাঙ্গীরের ছোট বোন সুরাতন (৪৫) দেখে ফেলে এবং বিষয়টি শাওনের মা তাসলিমাকে জানান।
জানা যায়, তাসলিমা ঘটনাস্থলে গেলে ঘরের মধ্যে ছেলেকে তালাবদ্ধ দেখতে পেয়ে উদ্ধারের চেষ্টা করে ব্যর্থ হন। পরে তিনি নিরুপায় হয়ে ৯৯৯ ফোন দেন। পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনার এক ঘণ্টা পর শিশুটিকে তালাবদ্ধ ঘর হতে উদ্ধার করে এবং হনুফাকে আটক করে।
হনুফা জানান, তার মামা শ্বশুর সিরাজকে ওই এনজিও হতে নিজের নামে লোন এনে দিয়েছিল। কিন্তু কিস্তির পাওনা টাকা চাইতে গেলে তাকে গালমন্দ করেন। এজন্য রাগ করে টাকা পাওয়ার জন্য তার ছেলেকে আটক করে বলে জানান তিনি।
সিরাজুল ইসলাম জানান, ভাগ্নে বউ হনুফা তার কাছে কিস্তির ১০ হাজার ৬০০ টাকা পান। কিন্তু যোগাড় করতে পারে নাই বলে তার প্রতিবন্ধী ছেলেকে আটক করবে এটা দুঃখজনক।
থানা অফিসার ইনচার্জ নূরুল ইসলাম বাদল জানান, পাওনা টাকা নিয়ে আত্মীয়-স্বজনদের মধ্যে এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়েই প্রতিবন্ধী শিশুটিকে উদ্ধার করা হয় এবং ওই নারীকে আটক করা হয়েছে। লিখিত আভযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
Leave a Reply